মহাত্মা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল পিস আওয়ার্ড গ্রহণ করলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান শাহসূফী ডক্টর সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী। ভারতের পশ্চিম বঙ্গ জোড়া শাকো ঠাকুর বাড়ি রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রথীন্দ্র মঞ্চে গত কিছু দিন পূর্বে তাঁকে সাউথ এশিয়ান সোশ্যাল কালচারাল ফোরাম এই সম্মানায় ভূষিত করেন, কিন্তু বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচী থাকায় তিনি ভারতে গিয়ে সম্মাননা গ্রহণ করতে পারেননি আজ তাঁকে এ সম্মাননা আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে ভারত সরকারের মাননীয় মন্ত্রী, বিচারপতি, সাংবাদিক ও বরেণ্য সংস্কৃতিজনেরা উপস্থিত ছিলেন। প্রতিনিধির মাধ্যমে এই পুরস্কার পাঠানো হলে গতকাল বিকেল ০৫ ঘটিকায় মিরপুর খানকাহ শরীফে আমেরিকার আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান চিকিৎসাবিদ ও মানবিক দার্শনিক ডাক্তার চার্লস ডেভিড ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান দার্শনিক ও গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর আনিসুজ্জামান আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁকে এ সম্মাননা হস্তান্তর করেন
মহাত্মা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল পিস আওয়ার্ড গ্রহণ করলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান শাহসূফী ডক্টর সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারী। ভারতের পশ্চিম বঙ্গ জোড়া শাকো ঠাকুর বাড়ি রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রথীন্দ্র মঞ্চে গত কিছু দিন পূর্বে তাঁকে সাউথ এশিয়ান সোশ্যাল কালচারাল ফোরাম এই সম্মানায় ভূষিত করেন, কিন্তু বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচী থাকায় তিনি ভারতে গিয়ে সম্মাননা গ্রহণ করতে পারেননি আজ তাঁকে এ সম্মাননা আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে ভারত সরকারের মাননীয় মন্ত্রী, বিচারপতি, সাংবাদিক ও বরেণ্য সংস্কৃতিজনেরা উপস্থিত ছিলেন। প্রতিনিধির মাধ্যমে এই পুরস্কার পাঠানো হলে গতকাল বিকেল ০৫ ঘটিকায় মিরপুর খানকাহ শরীফে আমেরিকার আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান চিকিৎসাবিদ ও মানবিক দার্শনিক ডাক্তার চার্লস ডেভিড ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান দার্শনিক ও গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর আনিসুজ্জামান আনুষ্ঠানিক ভাবে তাঁকে এ সম্মাননা হস্তান্তর করেন।
এ সময় সংগঠন এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি মিসেস মমতা রোজারিও, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ, গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান, নজরুল গবেষক প্রফেসর ডক্টর শহীদ মনজু, বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ইসমাইল হোসেন ইসমী, সৈয়দ শামসুল আলম চৌধুরী সুরমা, এস এম রাশিদুল আলম তর্কবাগীশ, ডক্টর আবু ইউসুফসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
সংবর্ধিত শাহ্সূফী ডক্টর সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী মাইজভান্ডারী বাংলাদেশকে সম্প্রীতির রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি সর্বক্ষেত্রে সুফিবাদের চর্চা, গবেষণা ও পাঠ্যসুচিতে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়েছেন সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী মাইজভান্ডারী।
বিশেষভাবে উল্লেখ গত ১৯ মে ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ “দ্যা ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি অব সুফি স্কলারস অব গ্রেট ব্রিটেন”, “শেখ মা আল আইনিন ফাউন্ডেশন অব সায়েন্স এন্ড হেরিটেজ” এবং “মরক্কোর ইউনিভার্সিটি অব মোহাম্মদ আল আউয়াল” এর যৌথ আয়োজনে ১০ম ইন্টারন্যাশনাল সুফিজম কনফারেন্স মরক্কোতে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে মাইজভান্ডার দরবার শরীফের ইমাম হযরত শাহ্সূফী সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী মাইজভান্ডারীকে “দ্যা ইন্টারন্যাশনাল একাডেমি অব সুফি স্কলারস অব গ্রেট ব্রিটেন” সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রী প্রদান করেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে ‘শেখ মা আল আইনাইন ফাউন্ডেশন ফর সায়েন্স এন্ড হেরিটেজ’ মিশরের অর্গানাইজেশন ফর টলারেন্স এন্ড পিস এবং যুক্তরাজ্যের “দ্যা একাডেমি অব সুফি স্কলারস” তাঁকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করেন। এই প্রাপ্তিতে ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী মাইজভান্ডারী বলেন, আমি মানুষের মাঝে ইসলাম ধর্মের মুল কথা শান্তি, উদারতা, মানবিকতা প্রতিষ্ঠা ও ত্বরিকায়ে মাইজভান্ডারীয়ার খেদমত করে যেতে চাই। সকল ধর্মের মুল কথাই হলো ‘মানব প্রেম ও মানবতা’। তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় ও জঙ্গি, উগ্রবাদ প্রতিরোধে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ আদর্শিক সংগ্রাম করে যেতে হবে।
তিনি আরো বলেন, দেশ ও সমাজকে শান্তির নীড়ে পরিণত ও সহাবস্থান নিশ্চিত করতে হলে সুফিবাদের বিকল্প নেই। তিনি বলেন, একজন প্রকৃত সুফি লোভ হিংসা পরশ্রীকাতরতা ও দুর্নীতির উর্ধ্বে থাকে। দুনিয়ার কোনো লোভই একজন প্রকৃত সুফিকে আকৃষ্ট করতে পারে না। সর্বক্ষেত্রে সুফিবাদ প্রতিষ্ঠিত হলে মানুষে মানুষে প্রেম ভালোবাসা, মহানুভবতার মেলবন্ধন রচিত হবে। তিনি সম্প্রীতি ও শান্তির পথে আমাদের অগ্রযাত্রা আরো বেগবান করতে সর্বক্ষেত্রে সুফিবাদের চর্চা, গবেষণা ও পাঠ্যসুচিতে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, আজকে আমাকে সম্মানিত করায় আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
সম্মাননা প্রদান শেষে গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির ভিসি ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান দার্শনিক শাহসূফি অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান বলেন, একজন বিশিষ্ট সুফি ও আধ্যাত্মিক নেতা হিসেবে বিশ্বের নানা দেশে রয়েছে হযরত শাহ্সূফী সাইয়্যিদ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী মাইজভান্ডারীর সুখ্যাতি। শান্তি ও সহাবস্থানপূর্ণ মানবিক বিশ্ব নির্মাণের বাণী নিয়ে তিনি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে তিনি কর্মরত বিশ্ব নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষন করতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁরা তাঁকে নানাভাবে সম্মানিত করছেন। তিনি গতানুগতিক ইসলামের সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির বাইরে মানবিক ও উদার নৈতিক চৈতন্যকে প্রতিষ্ঠিত করতে যে প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন, তাঁর জন্য আমি এই কীর্তিমান ব্যক্তিত্বের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও সাধুবাদ জানাই। প্রকারœতরে তিনি বাংলাদেশকে সম্প্রীতির রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর এই মহৎ কর্মের জন্য সকল সূফি ও দেশবাসীর পক্ষ থেকে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।
সম্মাননা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট নজরুল গবেষক ও শিক্ষাবিদ শাহসুফী প্রফেসর ডক্টর শহীদ মনজু বলেন, হযরত সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল্-হাসানী মাইজভান্ডারী একজন আধ্যাত্মিক সাধক মরমীবাদী মানুষ, সুফি গবেষক ও লেখক। তিনি আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও আদর্শ ধারণ করেন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধর্মানুরাগী জীবন ও মানবিক মূল্যবোধের প্রতি তিনি গভীর শ্রদ্ধাশীল। তিনি মহাত্মা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল পিস এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তিতে আমি গর্ববোধ করছি। আমি মনে করি, আজকে সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারীকে উক্ত সংস্থা যে সম্মান দেখিয়েছে প্রকারন্তরে এটা আমাদের সকলের জন্যই। আমি সকল নজরুল প্রেমীদের পক্ষ থেকে সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভান্ডারীকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান বলেন, এদেশ ও বিশ্বকে বৈষম্যহীন মানবিক রাষ্ট্র বিনির্মানে সম্প্রীতির আলোকে আলোচিত করে আত্ম মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের সুফি চেতনা ভাবনার কাছেই যেতে হবে। খুঁজতে হবে হৃদয়, খুঁজতে হবে মানুষ, খুঁজতে হবে মানবিক দর্শন। গড়ে তুলতে হবে মানবিক মেল বন্ধন। তিনি তার সুখ শান্তি, সমৃদ্ধি সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন। শেষে শাহসূফী ডক্টর সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাজভান্ডারী মুসলিম বিশ্বের কল্যাণ কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।