সোমবার(৩ জুন) দুপুরে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শিহাবুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল।
ঝিনাইদহ জেলার সাবেক ট্রাফিক ইন্সপেক্টর শেখ আজম কে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৩ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার(৩ জুন) দুপুরে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শিহাবুল ইসলাম এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিল।
সাজাপ্রাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ কর্মকর্তা শেখ আজম(৩৪) নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার পাচুরিয়া গ্রামের আলী আহমদ শেখের পুত্র। বর্তমানে তিনি সিলেট জেলায় কর্মরত ছিলেন।
আদালতের সরকারি কৌসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট ছানোয়ার হোসেন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর মধুখালী থানার এস আই কামরুজ্জামান মোবাইল ফোনে খবর পান জেলার মধুখালী রেলগেট পশ্চিম পাশে ঢাকা খুলনা মহাসড়কে একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে। ওই দুর্ঘটনার সমিল মিস্ত্রি মোঃ মজিবর মোল্লা আহত হন। সেসময় মোটর সাইকেল আরোহী দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা কালে স্থানীয় জনতা শেখ আজম কে আটক করে। তিনি ঝিনাইদাহ জেলার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ এসে এরপর মোটরসাইকেলের সাথে গোপন একটি বাক্স থেকে ৪৩ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করে। আসামিরা চুয়াডাঙ্গা জেলা সীমান্ত থেকে রাজবাড়ী জেলা গোয়ালন্দ ঘাট এলাকায় প্রায় যাতায়াত করত।
মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনের ১৯(১) টেবিলের ৩(খ) ধারায় আদালত ওই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আজ ( সোমবার) এই রায় ঘোষণা করেন।
এছাড়াও এই ঘটনার সাথে সম্পৃক্ততা না পাওয়ায় মোটরসাইকেল আরোহী অপর এক আসামি নুর আলমকে খালাস প্রদান করা হয়।