সাবেক ছাত্র নেতারা হলেন বতর্মান জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কিবরিয়া স্বপন, ফরিদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ, যুগ্ম আহবায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল ও সদ্য ( সাময়িক পদ স্থগিত) ফরিদপুর জেলা মহানগর যুবদলের সভাপতি ও সাবেক ফরিদপুর সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান বেনজির আহমেদ তাবরিজ।
ফরিদপুরে ৫ই আগষ্টের পর থেকে সাবেক তুখোড় চার ছাত্র নেতারা রাজনৈতিক দৌড় ঝাপ শুরু করেছে। সাবেক ছাত্র নেতারা হলেন বতর্মান জেলা বিএনপির সদস্য সচিব কিবরিয়া স্বপন, ফরিদপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আফজাল হোসেন খান পলাশ, যুগ্ম আহবায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল ও সদ্য ( সাময়িক পদ স্থগিত) ফরিদপুর জেলা মহানগর যুবদলের সভাপতি ও সাবেক ফরিদপুর সদর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান বেনজির আহমেদ তাবরিজ। জানা যায়, শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর দেশে অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠন করা হয়। অন্তবর্তী কালীন সরকার ক্ষমতায় বসে প্রথমে দেশের বিগত সরকারের আমলের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সকল পৌরসভা ও সিটি কর্পোরেশনের পরিচালনার ক্ষমতা ভেঙ্গে দিয়ে প্রশাসক নিয়োগ করেছে। যে কোন সময় অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে ঘোষণা আসতে পারে। বিএনপির পরীক্ষীত সাবেক এ চার ছাত্র নেতা ফরিদপুর পৌরসভার মেয়র পদে নির্বাচন করবে। তাই আগে থেকেই প্রতিটি এলাকায় মহলায় মহলায় গিয়ে গনসংযোগ অব্যাহত রেখেছে। ফরিদপুরের সাধারণ জনগনেরা জানান, এই চার সাবেক ছাত্র নেতার ফরিদপুরে গ্রহণযোগ্য আছে এবং কম বেশী সকলে এদের চিনে ও জানে। এ চার নেতার মধ্যে ৯০ দশকে এরশাদ বিরোধী আন্দোলনের সময় সাবেক তিন ছাত্র নেতা সক্রিয় ছিল।তবে সাবেক এই চার ছাত্র নেতা বিভিন্ন সময় দলের বিভিন্ন পদপদবীর দায়িত্ব পালন ও করেছে । প্রতিদিনই কোন না কোন এলাকায় এদের গনসংযোগ থেকেই যাচ্ছে। এ নিয়ে সাধারণ ভোটারা পরেছে দ্বিধা দন্দে। সারা ফরিদপুর শহর জুড়ে গুঞ্জন কিবরিয়া স্বপন, আফজাল হোসেন খান পলাশ, সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল, বেনজির আহমেদ তাবরিজ এরা সকলে সাবেক সফল ছাত্র নেতা এবং প্রতিটি শহরের মানুষ এদেরকে চিনে। এরা কাকে বাদ দিয়ে কাকে বিজয়ী করবে? তবে আলাপকালে সাবেক চার নেতার কন্ঠে একই সুর , তারা জানান , দল যাকে যোগ্য মনে করে মনোয়ন দিবে আমরা তার হয়েই দলের সার্বিক স্বার্থে কাজ জনগণের জন্য করে যাবো এবং দেশে গনতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনবো। তারা আরো জানান , দিনের ভোট দিনেই হবে কিন্তু রাতে হতে দিবো না, সেই সুযোগ ও নেই । তত্তাবধায়ক সরকার আসার পরে সুষ্ঠ পরিবেশে ভোট হবে এ বিশ্বাস আমাদের রয়েছে, আমাদের কাজ হচ্ছে জনগণের নিকট গিয়ে ভোট চাওয়া এবং তারা যেন সুষ্ঠ পরিবেশে ভোট দিতে পারে তাদের সুরক্ষা এবং নিরাপত্তা দেওয়া। জনগণের কাছে অতীতের সরকারের আমলের দুঃস্মৃতি তুলে ধরে জীবন মানের উন্নয়ন করানোর প্রতিশ্রুতি । শহররের সকল ধরণের সুযোগ – সুবিধা ও সেবা নিশ্চিত করা । আশা করি ফরিদপুরের জনগণ আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রদানের মাধ্যমে তাদের জনগণের সেবককে নির্বাচিত করবে ।