ফরিদপুরে সৎ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে সাবেক বিডিআর কর্মকর্তার যাবজ্জীবন কারাদন্ড

দিলীপ কুমার চন্দ প্রকাশিত: ২৯ জুন , ২০২৪ ১৪:৩৫ আপডেট: ২৯ জুন , ২০২৪ ১৪:৩৫ পিএম
ফরিদপুরে সৎ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে সাবেক বিডিআর কর্মকর্তার যাবজ্জীবন কারাদন্ড
দন্ডপ্রাপ্ত হারুনার রশিদ ওরফে মাসুদ রানা (৪০) সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলার খামারবড়ধুল গ্রামের আবদুল্লাহ আল মাহমুদের ছেলে।

ফরিদপুরে  ৭ম শ্রেনীর পড়ুয়া  সৎ মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে  হারুনার রশিদ ওরফে মাসুদ রানা (৪০) নামে সাবেক এক বিডিয়ার সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন  আদালত। একইসঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড আনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদন্ড দেওয়া হয়।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় ফরিদপুরের  জেলা ও দায়রা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মো: হাফিজুর রহমান  এ রায় ঘোষনা করেন। রায় ঘোষনার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে পুলিশ পাহারায় কারাগারে প্রেরণ করা হয়। 

দন্ডপ্রাপ্ত হারুনার রশিদ ওরফে মাসুদ রানা (৪০) সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলার  খামারবড়ধুল গ্রামের আবদুল্লাহ আল মাহমুদের ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৯  সালে সেপ্টেম্বর  মাসে হারুনার রশিদ ওরফে মাসুদ রানা সাথে ফরিদপুরে নগরকান্দা উপজেলার গোপালপুর গ্রামের তারা ফকিরের মেয়ে তানিয়া সুলতানা সাথে ২য় বিবাহ হয়।  এর সুত্র ধরে ২০২০ সালে জানুয়ারী মাসে তানিয়ার নিজ ঘরে বসবাস কালে তানিয়ার বড় মেয়ে  স্কুল পড়ুয়া সপ্তম শ্রেনীর ছাত্রীকে তার ঘরে গিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারন করে রাখে। পরে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি এবং খুন করার হুমকি প্রদান করে একাধিকবার ধর্ষন করে। পরবর্তীতে ওই মেয়েকে ২৯ জানুয়ার ২০২০ইং তারিখে স্কুলে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কৌশলে মোটরসাইকেল যোগে হারুন ঢাকায় এক বাসায়  নিয়ে যায়। সেখানেও জোরপূর্বক একাধিক বার ধর্ষণ করে মোবইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে ভয়ভীতি দেখায়। পরের দিন ৩০ জানুয়ারী সৎ মেয়েকে নিয়ে নেগরকন্দায় বাড়িতে আসলে ওই মেয়ের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ফুলা ও জখম দেখতে পায়। পরে   মেয়েটির মা তানিয়া সুলতানা গ্রামের স্থানীয় লোকজন কে ডাক দিলে তারা ভিকটিমকে পুলিশে সোপর্দ করে এবং নগরকান্দা থানায় ধর্ষন মামলা দায়ের করে। 

নগরকান্দা থানার এএসআই অসীম মন্ডল ২০২০ সালের এপিল মাসের ৩০ তারিখে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দান করেন। আদালত দীর্ঘ শুনানী শেসে এ রায় প্রদান করেন।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) এ্যাডভোকেট  স্বপন পাল  জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন  ২০০০ এর ৯ এর ধারায়  অপরাধ প্রমানিত হওয়ায় তাকে দন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আদালতের নির্দেশে দন্ডপ্রাপ্ত আসামীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ এ রায়ে  সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।


এই বিভাগের আরোও খবর

Logo