ফরিদপুরের শতবছরের ঐতিহ্যবাহী জেনারেল হাসপাতালটি(সদর) শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত । প্রতিদিন গড়ে ২০০/৩০০ শত রোগী চিকিৎসা সেবা নেবার জন্য এই হাসপাতালে আসেন । কিন্তু চিকিৎসক ও জনবলের অভাবে সুনামধণ্য জেনারেল হাসপাতালটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ সেবা নিতে আসা হাজারো রোগী ও স্বজনদের ।
ফরিদপুরের শতবছরের ঐতিহ্যবাহী জেনারেল হাসপাতালটি(সদর) শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। প্রতিদিন গড়ে ২০০/৩০০ শত রোগী চিকিৎসা সেবা নেবার জন্য এই হাসপাতালে আসেন । কিন্তু চিকিৎসক ও জনবলের অভাবে সুনামধণ্য জেনারেল হাসপাতালটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ সেবা নিতে আসা হাজারো রোগী ও স্বজনদের ।
সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় , হাসপাতালের অভ্যন্তরে ২ নং যক্ষা চিকিৎসাসেবা কক্ষ ও ৩ নং জলাতঙ্ক চিকিৎসাসেবা কক্ষের সামনে বিভিন্ন ধরণের আবর্জনা ফেলে রাখা হয়েছে । কিন্তু এই দুইটি কক্ষে প্রতিদিন গড়ে শতাধিক রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসে । এই দুইটি রুমের সামনে অনিয়ন্ত্রিত ভাবে বিভিন্ন ধরণের পচা – আবর্জনা ফেলার কারণে দুর্গন্ধে লাইনে দাড়িয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে ।
এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোন পদক্ষেপ নেবার মাথাব্যাথা নেই । চিকিৎসাসেবা নিতে আসা কামরুল , আসমা বেগম সহ একাধিক রোগীরা জানান , হাসপাতালের পচা দুর্গন্ধের কারণে লাইনে দাড়িয়ে থাকা দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে ।
জলাতঙ্ক চিকিৎসা সেবায় দায়িত্বে নিয়োজিত ব্রাদার ( স্টাফ নার্স ) আনসার জানান , জেনারেল হাসপাতালে আয়া , সুইপার , নাইটগার্ড না থাকার কারণে রোগীরা উক্ত স্থানে আবর্জনা ফেলে রাখে । এতে সৃষ্ট দুর্গন্ধে আমাদের ও চিকিৎসা সেবা দিতে সমস্যা হচ্ছে । তিনি আরো জানান , আমাদের হাসপাতালে ডাক্তার সহ ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর জনবল সংকট । তার মধ্যে সুইওপার ও আয়া অন্যতম । সিভিল সার্জন স্যারকে জনবল সংকটের কারণে অবগত করা হয়েছে ।
এ ব্যাপারে ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ডা মো সিদ্দিকুর রহমান জানান , আমাদের জনবল সংকটের বিষয়টি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চিঠি দিয়ে ও মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে । অতিসত্বর সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে ।