ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার ঐত্যিহ্যবাহী দাদনার খালের পানি প্রতিবন্ধকতা ও ময়লা আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হওয়ায় পরিষ্কারের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতনের নিদের্শনায় ও পৌর মেয়র ওমর ফারুক খানের সার্বিক তত্বাবধানে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য যে, জাতীয় দৈনিক বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত দখল ও দূষনে দাগনভূঞা দাদনার খাল, পৌরবাসীর মধ্য ডেঙ্গুর ঝুকি এই শিরোনামে নিউজের কারণে নজরে আসে উপজেলা পরিষদ চেয়াম্যান সহ অন্যাদের। পরে তিনি পরিদর্শনে এসে এই কার্যক্রম গ্রহনের নির্দেশ প্রদান করেন। স্থানীয় বাসিন্দা জানান, দীর্ঘদিন এই খালের পানির স্রোতধারা বন্ধ হয়ে রয়েছে। চারদিকে ছড়াচ্ছে দুগন্ধ, বেড়েছে ডেঙ্গুর উপদ্রোপ। আমরা খুবই কষ্টে জীবনযাপন করছিলাম। কিন্তু পৌর মেয়র ওমর ফারুক খান এই খালটি পরিষ্কার করার কার্যক্রমে আমরা অনেক খুশি। এক কৃষক জানান, অনেকদিন যাবত আমরা কৃষিকাজ করতে পারছি না।
কিন্তু এই খালটি যদি পরিষ্কার করা হয় তাহলে খালের পানি দিয়ে আমরা আবার আগের মতো কৃষি কাজ করতে পারবো। পৌর মেয়র ওমর ফারুক খানকে ধন্যবাদ ও জানান তিনি। দাগনভূঞার ব্যাবসায়ী কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবুল কায়েস রিপন জানান, বাজারের ময়লা আবর্জনা, বাসা বাড়ির ময়লা আবর্জনা ও পথচারিরা তাদের অব্যবহৃত ময়লা আবর্জনা এখানে ফেলার কারণে খালটি দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ হয়ে রয়েছে। এখন খালটি পরিষ্কার করা হচ্ছে। আমি অনুরোধ করবো যেন বাজারের কোনো ব্যবসায়ী বা পথচারি এই খালে ময়লা আবর্জনা না পেলে। তাহলে খালটি আগের মতো স্রোতধারা ফিরে পাবে এবং এই এলাকার মানুষের কল্যাণে আসবে। পৌর কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নুরুল হুদা সেলিম জানান, মেয়র মহোদয়ের উদ্যোগের কারণে এখন এই খালটি পরিষ্কার হচ্ছে। আমরা আশা করবো আর কেউ যেন এই খালে কোনো রকম ময়লা আবর্জনা না পেলে। তাহলে এই খালটি ব্যবহার করে এই অঞ্চলের মানুষ তাদের নিত্যদিনের কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মহিউদ্দিন মজুমদার বলেন, এই খালটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে এই অঞ্চলের শত শত হেক্টর অবাদি জমি অনাবাদিতে রয়েছে।
পানি প্রতিবন্ধকতার করণে তারা এই জমিগুলোতে কৃষি চাষাবাদ করতে পারছে না। খালটি পরিষ্কার হলে এবং পানির স্রোতধারা আগের মতো হলে এই অঞ্চলের কৃষকদের ভাগ্য বদল হবে এবং তারা এই অনাবাদি জমিগুলো আবার আগের মতো চাষাবাদ করে নিজেদের খাদ্য চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে ও অংশীদার হতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি। পৌর মেয়র ওমর ফরুক খাঁন জানান, দাগনভূঞার ঐত্যিবাহী দাদনার খালটি ময়লা আবর্জনার স্তুপ কিন্তু আমরাই তৈরি করেছি এবং ক্ষতিটা কিন্তু আমাদেরই হচ্ছে। এখন খালটি পরিষ্কার করা হচ্ছে। এই খালে আর কোনো ব্যবসায়ী বা বাসা বাড়ীর লোকেরা যদি ময়লা আবর্জনা পেলে তাহলে তাদের প্রতি পৌরসভার পক্ষ থেকে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান দিদারুল কবির রতন জানান, যেসব জায়গায় পানি প্রতিবন্ধকতা রয়েছে সেইসব জায়গা খুব শীঘ্রই তা অপরসারণ করা হবে। পাশাপাশি জনগনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কেউ যেন আর এই খালটিতে ময়লা আবর্জনা না পেলেন এবং সবাই সচেতন হওয়ার আহ্বান ও জানান তিনি।