নেত্রকোণা জেলার পূর্বধলা উপজেলায়, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও মুষলধারে বৃষ্টিতে পানিবন্দী। বিশেষভাবে যেসব ইউনিয়নগুলো বেশি বন্যা প্লাবিত হয়েছে জারিয়া,ঘাগড়া,ধলামুলগাঁও ও হোগলা।
এদিকে কংস নদের পানি উপজেলার জারিয়া পয়েন্টে বিপদ সীমার ১৫ সেন্টি মিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ।গত ২৪ ঘন্টায় নেত্রকোণার জারিয়া-ঝানজাইল পয়েন্টে ৩১৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ইতোমধ্যে রবিবার পৌনে ৬টার দিকে উপজেলার নাটেরকোনা আনসার ক্যাম্পের পশ্চিম পাশের এলাকায় দামপাড়া পানি ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের বেড়িবাধটি ভেঙ্গে গেছে। বন্যায় প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা।
দুর্গতদের সহায়তায় জন্য পর্যাপ্ত ত্রাণের প্রয়োজন রয়েছে । ৭ অক্টোবর সোমবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: খবিরুল আহসান বলেন বন্যায় প্লাবিত উপজেলার ইউনিয়নগুলোতে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার পরিবার প্লাবিত।উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। এদিকে হোগলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জনাব সিরাজুল ইসলাম খোকন বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এর মধ্যে ৩শ অসহায় দরিদ্র পরিবারে খাবার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পর্যাপ্ত খাবার মজুত রয়েছে।এখন পর্যন্ত ৬ টি আশ্রায় কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।তার মধ্যে ২টি আশ্রয় কেন্দ্রে ১৯ জন আশ্রয় নিয়েছে।সর্বশেষ তথ্য মতে পানি কমতে শুরু করেছে এখন. ০৮ সে.মি পানি প্রবাহিত হচ্ছে।অপর দিকে কৃষি অফিসের উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা উদ্ভদ সংরক্ষণ মো: রফিকুল ইসলাম খান এর তথ্য মতে এখন পর্যন্ত ১৭ শ হেক্টর ফসলি জমি ও ৪০ হেক্টর সবজি জমি আক্রান্ত হয়েছে।এতে প্রায় ৩ হাজার ৭ শ ৫২ মে:টণ ধান ও ৩২৪ মে:টণ সবজি নষ্ট হওয়ার আশংকা রয়েছে। এছাড়া ১০ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকার ধান এবং ৮১ লক্ষ টাকার সবজি ক্ষতি হতে পারে।