বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যান গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১৮ মার্চ) বিকেলে উপজেলার ১নং চেঁচরী রামপুর ইউনিয়নের কৈখালী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ১নং চেঁচরী রামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান মো.হারুন অর রশীদ ও সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ফরাজীর গ্রুপের মধ্যে এ সংঘর্সের ঘটনা ঘটে।
এক পর্যায় উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
জানাগেছে, উপজেলার ১নং চেঁচরী রামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান চেয়ারম্যান মো.হারুন অর রশীদ ও সাবেক চেয়ারম্যান মো.জাকির হোসেন ফরাজীর গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্ধন্ধ চলছে। আজ সোমবার স্থানীয় কৈখালী বাজারের ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক মো.আবদুস সালাম ডিলারের দোকানের সামনে সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ফরাজীর কর্মী হৃদয় হাওলাদার এবং বর্তমান চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদের কর্মী রেজভী ও উজ্জল খানের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ফরাজী গ্রুপের সাইফুল ইসলাম সুজন ও নেপালসহ কয়েকজন সেখানে উপস্থিত হলে উভয় গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায় জাকির চেয়ারম্যানের কর্মী সাইফুল ইসলামকে ধাওয়া করে তার বাড়ীতে ওঠায় বর্তমান চেয়ারম্যান হারুন অর রশীদ ও তার লোকজন।
সাবেক চেয়ারম্যান জাকিরের কর্মী আহত হৃদয় হাওলাদার বলেন, দুপুরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়ীতে যাবার জন্য বের হওয়ার সাথে সাথে হারুন চেয়ারম্যানের কর্মী রেজভী খান, উজ্জল খান ও মনির হোসেন তার ওপর হামলা চালায়। এতে সে আহত হয়েছে।
উজ্জল খান বলেন, হৃদয় হাওলাদার আমাদের ওপর চড়াও হয় এনিয়ে তর্কবির্তক ও সামান্য হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
সাবেক চেয়ারম্যান জাকির হোসেন ফরাজীর ছোট ভাই, জিয়াউর রহমান ফরাজী জানান, খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছি। তবে হারুন চেয়ারম্যান লাঠিসোটাসহ শতাধিক লোক নিয়ে সাইফুল ইসলাম সুজনকে ধাওয়া করে।
ধাওয়ার কথা অস্বীকার করে বর্তমান চেয়ারম্যান মো.হারুন অর রশীদ বলেন, সুজন নামের একটি ছেলে এলাকায় সব সময় দ্ধন্ধ সংঘাতে লিপ্ত থাকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লোকজন নিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছি। থানার ওসি নাসির উদ্দিন সরকার জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি সম্পুর্ন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। তদন্ত করে দোষীদের বিরূদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।