চট্টগ্রাম নগরীর বৃহত্তর বাকলিয়া চাক্তাই নতুন ব্রীজ নোমান কলেজ সড়কের বাসিন্দাদের ময়লা পানি দুর্গন্ধ ও খাদ খন্দকারের ঝক্বি ঝামেলার দৈনন্দিন জীবন অতিবাহিত করতে হচ্ছে। হাল্কা বা ভারি বর্ষণে বর্ষার দিন না হলেও ঠিক বর্ষাকালের মতো কাঁদা ময়লা পানি জমে থাকে রাস্তায়। বাকলিয়া বাস্তূহারা, খেতচর, মোহাব্বত নগর, এলাকার বাসিন্দারা বর্ষার মত জলাবদ্ধতার সঙ্গে যুদ্ধ করেই মৌসুম পার করে।
চট্টগ্রাম নগরীর বৃহত্তর বাকলিয়া চাক্তাই নতুন ব্রীজ নোমান কলেজ সড়কের বাসিন্দাদের ময়লা পানি দুর্গন্ধ ও খাদ খন্দকারের ঝক্বি ঝামেলার দৈনন্দিন জীবন অতিবাহিত করতে হচ্ছে। হাল্কা বা ভারি বর্ষণে বর্ষার দিন না হলেও ঠিক বর্ষাকালের মতো কাঁদা ময়লা পানি জমে থাকে রাস্তায়। বাকলিয়া বাস্তূহারা, খেতচর, মোহাব্বত নগর, এলাকার বাসিন্দারা বর্ষার মত জলাবদ্ধতার সঙ্গে যুদ্ধ করেই মৌসুম পার করে।
এসব যেন দেখার কেউ নেই। সরেজমিনে ঘুঁরে ও এলাকাবাসির অভিযোগে জানা যায় নোমান কলেজের পর থেকে সড়কের একপাশে গাড়ি পাকিং আরেক পাশে দোকানদারদের দখলে। ফলে চলাচলের রাস্তা সরু হয়ে আসছে। সম্প্রতি উক্ত সড়কে যাত্রীবাহী রিক্সা উল্টে ২ বৃদ্ধ নারী -পুরুষ ও অভি নামক অপর এক ব্যবসায়ী গুরুতর আহত হয়ে মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান এলাকাবাসী। উক্ত সড়কে অবৈধ বালুবাহী ভারি ট্রাক চলাচলের কারনে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হওয়ার ফলে প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট বড় দূর্ঘটনা। এলাকাবাসী জানান এই বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর হাজী নুরুল হককে আমরা অনেক বার বলেছি বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।লিখিত অভিযোগ করা হলেও কোন সুফল আমরা পাইনি।
স্থানীয় জনগণ আরও বলেন বিশেষ করে বাকলিয়া সেইল সেন্টার ও হাসানের সেইল সেন্টারের বালির কাঁদা মাটি গিয়ে নালা ভরাট হয়ে পড়ে, নালার গভীরতা ৮ ফিট হলেও ১ ফুট খালি নাই, সব বালি আর কাদাঁ মাটিতে ভরাট। প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় বালি ব্যবসায়ীদের ক্ষমতা বেশি থাকায় তাদের সাথে কেউ প্রতিবাদ করেনা বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
এলাকার জনপ্রতিনি বলেন, কর্ণফুলী নদী থেকে যে বালি তুলে,বালির সেইল সেন্টার খুলে ব্যবসা করা হয় তা আমাদের সকলের জানা সেটি নতুন কিছু নয়!তবে তাদের অসচেনতার কারণে মানুষের কষ্টের শেষ নেই।সেইল সেন্টারের যে বালি নদী থেকে তুলে,তার সাথে শুধু বালি নয় কাঁদা মাটিও ওঠে আসে নদী থেকে।বালি ছাড়া যে ময়লা পানি আর কাঁদা মাটি আসে সেইটি আলাদা কোন রাস্তা ব্যবহার করা হয়না। সেইটি সিটি কর্পোরেশন যে নালা রয়েছে সেইটি দিয়ে আবার ময়লা আর কাঁদা ফেরত পাটানো হয় নদীতে।তাদের সেইল সেন্টারের পাইপের সাথে নালার সাথে জোগান দিয়ে সেই পানি নালা দিয়ে আবার পাটানো হয় নদীতে।২ টা সেইল সেন্টারের ময়লা কাঁদা যুক্ত পানি এইভাবে নালা দিয়ে আলাদা পাইপ লাগিয়ে নালায় পেলা হয়।
ব্যবসায়ী ও অভিবাবকরা জানান, রাস্তায় যাতায়াতের সমস্যা ছেলে মেয়েরা স্কুল কলেজে যেতে পারেনা,রাস্তা জুড়ে কাদাঁ মাটি ময়লা পঁচা দুর্গন্ধ হয়, ময়লার ভাগাড় তৈরি হয়।ব্যবসা করতে সমস্যা হয়।এই বিষয়ে কাউন্সিলরের পক্ষ থেকে কোন সহযোগিতা,আশ্বাস পায়নি এলাকাবাসী।
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালক ও খাতুনগঞ্জ ট্রেড ইন্ডাস্ট্রির সাধারণ সম্পাদক, বাকলিয়া শহীদ এন.এম.এম.জে কলেজ গর্ভনিং বডির সভাপতি সৈয়দ ছগীর আহমদ বলেন,আমাদের কলেজে ১৩০০ এর বেশি ছাত্রছাত্রী রয়েছে,প্রতিনিয়ত যাতায়ত করে এ রাস্তা দিয়ে। কিন্ত এই রাস্তার বিষয়ে বার বার স্থানীয় কাউন্সিলর হাজী নুরুল হককে বলা হয়ছে কিন্ত এখনো কোন ধরনের সদুত্তর বা প্রতিকার পায়নি।
এই বিষয়ে ৩৫নং বক্সিরহাট ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী নুরুল হকের সাথে কথা বললে অফিসে যেতে বলেন। তবে এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি কাউন্সিলর। পরবর্তীতে একাধিক বার মুটোফোনে যোগাযোগ করেও পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে কথা বলতে দুই বালু সেইল সেন্টারের মালিক পক্ষের অফিসে গেলে ম্যানেজাররা বলেন আমাদের মালিক নেই।একাধিক বার মুটোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে মুটোফোনে পাওয়া যায়নি মালিক পক্ষের কাউকেই।