বাকৃবিতে "খাদ্য নিরাপদতা ও স্বাস্থ্য" বিষয়ক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত

মোঃ আশিকুজ্জামান প্রকাশিত: ২৭ অক্টোবর , ২০২৪ ১৭:২৭ আপডেট: ২৭ অক্টোবর , ২০২৪ ১১:২৯ এএম
বাকৃবিতে "খাদ্য  নিরাপদতা  ও স্বাস্থ্য" বিষয়ক সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বিশ্ব ডিম দিবস ও বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে "খাদ্য নিরাপদতা এবং স্বাস্থ্য" বিষয়ক জাতীয় কারিগরি সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বিশ্ব ডিম দিবস ও বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে "খাদ্য  নিরাপদতা এবং স্বাস্থ্য" বিষয়ক জাতীয় কারিগরি সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০টায় বাকৃবির সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনফারেন্স হলে বাংলাদেশ সোসাইটি ফর সেফ ফুডের আয়োজনে ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ সোসাইটি ফর সেফ ফুডের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. খালেদ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম; প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক; বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মি. জাকারিয়া; রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরীন সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাকৃবির ফার্মাকোলজি বিভাগের অধ্যাপক  ড. মো. মাহমুদুল হাসান শিকদার এবং সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন সেমিনার বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব ও বাকৃবির মাইক্রোবায়োলজি এন্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড.  কেএইচএম নাজমুল হুসাইন নাজির। প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, গবাদিপশু ও পোল্ট্রির ফীডে বিভিন্ন ধরনের এন্টিবায়োটিক ব্যবহার হচ্ছে যা বিভিন্নভাবে ফুড চেইনের মাধ্যমে মানুষের শরীরে প্রবেশ করছে। ফসলের জমিতে ক্ষতিকর আগাছানাশক ব্যবহারেও তা খাদ্যে বিষক্রিয়া তৈরি করছে। খাদ্য উৎপাদনের ক্ষেত্রে কিটনাশক ও এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার কমাতে হবে।তিনি আরো বলেন, পোল্ট্রির দাম কমাতে সবচেয়ে বড় বাধা হলো ফিড। এক্ষেত্রে ফিডের নিরাপদতাও আমাদের দেখতে হবে। অনেক জায়গায় মাছ ধরার ক্ষেত্রে জাল দিয়ে না ধরে কিটনাশক বা বিষ প্রয়োগ করে ধরা হচ্ছে যা মানুষের শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে।উপদেষ্টা আরো বলেন, আমাদের শুধু খাদ্যের নিরাপদতার কথা মুখে বললেই হবে না, এর সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন হবে।বাকৃবির উপাচার্য বলেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি নিশ্চিতকরণে শুরু থেকেই অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। আমাদের গবেষণা এবং শিক্ষার মাধ্যমে আমরা টেকসই কৃষি উৎপাদন, নিরাপদ খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং খাদ্য সরবরাহের চেইনকে উন্নত করার জন্য কাজ করছি। বিশেষ করে আমাদের ভেটেরিনারি, কৃষি, পশুপালন, মৎস্য, কৃষি প্রকৌশল এবং কৃষি অর্থনীতি অনুষদগুলো একসাথে মিলে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য কাজ করছে। ডিম উৎপাদন এবং এর মান উন্নয়নে ভেটেরিনারি এবং পশুপালন অনুষদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা আধুনিক প্রযুক্তি ও গবেষণার মাধ্যমে ডিম উৎপাদন বৃদ্ধি এবং এর পুষ্টিগুণ নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করছে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo