বাগেরহাটের মোংলায় ফাতেমা আক্তার ময়না (২৮) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার (২৯ অক্টোবর) বিকালে মোংলা পৌর শহরের ৭ নং ওয়ার্ড খোসেরডাঙ্গা এলাকার ইসমাইল হাওলাদারের ভাড়া বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দিন।
বাগেরহাটের মোংলায় ফাতেমা আক্তার ময়না (২৮) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার (২৯ অক্টোবর) বিকালে মোংলা পৌর শহরের ৭ নং ওয়ার্ড খোসেরডাঙ্গা এলাকার ইসমাইল হাওলাদারের ভাড়া বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দিন।
নিহত ফাতেমা আক্তার ময়না ইসমাইল হাওলাদারের বাড়ির ভাড়াটিয়া মৃত আঃ জব্বারের পুত্র মো: জাকির হাওলাদার (৪৫) এর ২য় স্ত্রী ও পৌর শহরের মোরশেদ সড়ক এলাকার লোকমান হোসেনের মেয়ে। গত মার্চ মাসের ৭ তারিখ সম্পর্কের জেরে জাকির হাওলাদারের সঙ্গে ফাতেমা আক্তার ময়নার বিয়ে হয়েছিল। জাকির হাওলাদারের ১ম স্ত্রীর ঘরে কলেজ পড়ুয়া একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
নিহতের আত্মীয় ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, সাত মাস আগে মোংলা পৌর শহরের চাল ব্যবসায়ী জাকির হোসেনের সাথে বিয়ে হয় ফাতেমার। ভাড়া বাসা নিয়ে মোংলার খোসেরডাঙ্গা এলাকায় বসবাস করতেন এই দম্পতী। কিন্তু জাকিরের আগের সংসারে স্ত্রী সন্তান থাকায় প্রতি নিয়ত তাদের মধ্য মন মালিন্য চলে আসছিলো। আজ দুপুরে তারা ফাতেমার কান্নাকাটির শব্দ শুনতে পান।
নিহত ফাতেমার চাচাতো ভাই সোহাগ বলেন, দুপুরে ফাতেমার স্বামী জাকির তার শাশুড়িকে ফোন দিয়ে বাসায় আসতে বলে। এ সময় তিনি বাসায় আসলে ঘরের বাহির থেকে তালা মারা দেখতে পান, কিছুক্ষন পর জাকির এসে জানায় সে খাবার আনতে গিয়েছিলো বাহির থেকে তালা মেরে। নিহত ফাতেমার মা ও স্বামী গেটের তালা খুলে রুমের ভিতর প্রবেশ করে সিলিং ফ্যানের সাথে মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে ডাক চিৎকার করেন। পরে পুলিশে খবর দেন নিহত ফাতেমার মা আম্বিয়া বেগম।
তবে নিহতের স্বামী জাকির হাওলাদার বলেন, তার সঙ্গে কোনো শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের ঘটনা ঘটেনি। আমার ছেলের কথার ঘটনার রেশ ধরে সে আমাদের শয়নকক্ষে গিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামসুদ্দিন বলেন, ঘটনা শোনার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের স্বামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। লাশের ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর আসল কারন জানা যাবে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যাবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।