বীরগঞ্জে নাশকতাকারী, লম্পট রেজ্জাকুল হাজীকে গ্রেফতারের দাবীতে এলাকা উত্তাল

মোঃ ফেরদৌস ওয়াহিদ সবুজ প্রকাশিত: ২৭ ডিসেম্বর , ২০২৩ ০৯:৫৮ আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর , ২০২৩ ০৯:৫৮ এএম
বীরগঞ্জে নাশকতাকারী, লম্পট রেজ্জাকুল হাজীকে গ্রেফতারের দাবীতে এলাকা উত্তাল
পুর্ব পরিকল্পনা ও নাশকতা মুলক ভাবে কুখ্যাত রেজ্জাকুল হাজী পুরো গ্রামবাসী ও বসতবাড়ি পুড়িয়ে উচ্ছেদ করার অপচেষ্টা চালিয়ে আংশিক সফল হয়েছে, তারা জানান ভবিষ্যতে সবাইকে কৌশলে পুড়িয়ে মারবে তাতে সন্দেহ নেই বলে তারা মনে করেন

ইতিহাস স্বাক্ষি বীরগঞ্জ সেন্টার পাড়ার চাঞ্চল্যকর শ্যালিকা ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যাকারী, সেই লম্পট, রেজ্জাকুল হাজী'র বিরুদ্ধে এবার তার গ্রামের বাড়ি দক্ষিণ ফরিদপুর তেলিপাড়ায় নাশকতা মূলকভাবে প্রতিবেশীদের গরু-ছাগল পুড়িয়ে মারাসহ বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়ে প্রায়  ৩০ লাখ টাকা ক্ষতি সাধনের অভিযোগ উঠেছে।

প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় টাউট বাটপারদের টাকার বিনিময় ম্যানেজ করে প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে, বার বার জঘন্য ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেও পার পাওয়ায় এলাকার মানুষ হতাশ। 

তারা অনতি বিলম্বে নারী লোভী লম্পট রেজ্জাকুল হাজী কে গ্রেফতার করার দাবী করেন অন্যথায় তারা কঠোর আন্দোলন করতে বাধ্য হবেন বলেও নিশ্চিত করেছেন । 

পুর্ব পরিকল্পনা ও নাশকতা মুলক ভাবে কুখ্যাত রেজ্জাকুল হাজী পুরো গ্রামবাসী ও বসতবাড়ি পুড়িয়ে উচ্ছেদ করার অপচেষ্টা চালিয়ে আংশিক সফল হয়েছে, তারা জানান ভবিষ্যতে সবাইকে কৌশলে পুড়িয়ে মারবে তাতে সন্দেহ নেই বলে তারা মনে করেন। 

তাছাড়া তাদের অভিযোগ এমন কোন জঘন্য কাজ নেই, রেজ্জাকুলের দ্বারা সম্ভব নয়। তাই সীমাহীন অপরাধীর চুড়ান্ত বিচার দাবী করেন তারা।

নারী লোভী লম্পট রেজ্জাকুল হাজীকে রক্ষা করতে মাঠে নেমেছে খোদ ঐ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ মতিয়ার রহমান মতি।

সরজমিনে গেলে উপস্থিত অনেক গ্রামবাসীর সামনে রেজ্জাকুলের সহোদর ভাইয়েরা জানান, আমরা নাশকতার অপরাধ থেকে রেহাই পেতে চেয়ারম্যান কে ঘটনার রাত থেকে এখন পর্যন্ত ১৩ লাখ টাকা দিয়েছি।

হাজী রেজ্জাকুলের মুখোমুখি হলে তিনি জানান টাকার বিনিময়ে দুইজন বৈদ্যুতিক মেকানিক দিয়ে সকলের বাধা উপেক্ষা করে এবং অজান্তে আবাসিক মিটার স্থানান্তর কালে বৈদ্যুতিক শট সার্কিটে প্রতিবেশীদের বাড়িঘর পুড়ে গেছে, গরু ছাগল মরেছে। বিদ্যুৎ অফিস বা কর্তৃপক্ষ কে অবগত করি নাই তাতে কি হয়েছে? 

ক্ষতিপূরণ দিয়ে দিব। ইউপি চেয়ারম্যান মতি আমার পক্ষে আছে, তাই কোন চিন্তা করি না। ইতোপূর্বে  এর চেয়ে বেশী ভয়াবহ পরিস্থিতি মুকাবিলা করেছি, টাকা থাকলে সবকিছু সম্ভব। 

আমি জানি ক্ষতিগ্রস্তরা হলো.

১. মোঃ মজিদুল ইসলাম.
২. মোঃ ছামিউল ইসলাম.
৩. মোঃ রুবেল ইসলাম,
৪. মোঃ হুমায়ুন কবির
৫. শফিউল আলম.
৬. রবিউল ইসলাম সকলের ঠিকানা তেলীপাড়া, বীরগঞ্জ, দিনাজপুর। 

ইতোমধ্যে আপোষ নামায় তাদের সহি স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছি, কেউ আমার বিপক্ষে যাওয়ার ক্ষমতা নাই, তার পরেও যদি কেউ যায় বা যাওয়ার চেষ্টা করে, তাকে উচিত শিক্ষা দিয়ে ছাড়ব।

এ ব্যপারে প্রশাসনের সর্ব মহল তথা ইউএনও, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, বীরগঞ্জ সার্কেল, অফিসার ইনচার্জ বীরগঞ্জ থানা'র সাথে কথা হলে তারা সকলে জানান কেউ আইনের উর্ধ্বে নন, ঘটনায় একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে, তদন্ত চলছে। অপরাধীরা যত বড়ই হউক না কেন, কোন ছাড় নেই।
আইনের আওতায় এতে বিচার নিশ্চিত করা হবে।

ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে ১৩ লাখ টাকা দিয়ে আপোষ করেছি, আমি কাউরো সাথে কথা বলতে চাই না। প্রশাসনসহ সকলকেই ম্যানেজ করেছি, আর কোন সমস্যা হলে সেটাও চেয়ারম্যান সাহেব দেখবেন।

চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান মতির সাথে কথা হলে তিনি জানান ১৩ লাখের কথা সত্য নয়, ৫ লাখ টাকা দফা রফা করে লিখিত মিমাংসা করা হয়েছে। 

লিখিত মিমাংসায় উভয় পক্ষের স্বাক্ষর আছে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo