দিনাজপুরের বীরগঞ্জে পিতা কর্তৃক পরিকল্পিতভাবে নিজ সন্তান হত্যা মামলায় প্রধান অভিযুক্ত লক্ষ্মণ চক্রবর্তীকে আটক করেছে বীরগঞ্জ থানা পুলিশ। হত্যা মামলার তদন্তকারী অফিসার এস আই সুমন দেবনাথ সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,শুক্রবার রাতে লক্ষ্মণ চক্রবর্তী আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এজাহার সূত্রে জানা যায়,
ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার মৃত কালিপদ মজুমদারের একমাত্র মেয়ে মৃত অঞ্জলী চক্রবর্তীর সাথে বীরগঞ্জ বলাকা মোড় এলাকার মৃত দেবীচরণ চক্রবর্তী ছেলে হিন্দু বিবাহ রেজিস্ট্রার লক্ষণ চক্রবর্তীর প্রায় ২৫ বছর পূর্বে বিবাহ হয়। বিবাহিত জীবনে একমাত্র ছেলে জয়ন্ত চক্রবর্তী (২২) কে রেখে গত ২০১০ সালে মৃত্যু বরণ করেন অঞ্জলী চক্রবর্তী। পরবর্তীতে লক্ষণ চক্রবর্তী ২০১২ সালে পুনরায় দ্বিতীয় বিবাহ করেন।
বিয়ের পরে জয়ন্তকে ঠিক মত দেখাশোনা না করে প্রায় সময় অত্যাচার ও মানসিক নির্যাতন করত। সেই নির্যাতনের সূত্র ধরে গত ১৩ আগস্ট ২৪ইং তারিখে শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করে লাশ এবং হত্যার আলামত ধ্বংস সহ বিনষ্ট করার উদ্দেশে ১নং আসামী লক্ষণ চক্রবর্তী ও ২নং আসামী বীরগঞ্জ পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর বনমালী রায় সহ অজ্ঞাতনামা আসামীদের পরামর্শ এবং সহযোগিতায় একই তারিখে রাত আনুমানিক ৩ টা ১০মিনিট থেকে ৩টা ৩০ মিনিটের মধ্যে অজ্ঞাতনামা এ্যাম্বুলেন্স যোগে লক্ষণ চক্রবর্তী এর পৈত্রিক বাড়ি কাহারোল উপজেলার মুটুনি ইউনিয়নে নোয়াবাড়ী বেলডাঙ্গী গ্রামে নিয়ে যায়। হত্যার আলামত বিনষ্ট করার লক্ষ্যে মৃত দেবীচরণ চক্রবর্তী এর ছেলে রামচন্দ্র চক্রবর্তী, দিপু চক্রবর্তী, শংকর চক্রবর্তী, রামচন্দ্র চক্রবর্তী ছেলে মধু চক্রবর্তী ও মৃত ঋষিকেশ এর ছেলে লিটন চক্রবর্তীর সহযোগিতায় রাতের আধারে আত্মীয়-স্বজনদের খবর না দিয়ে তরিঘরি করে ভোর আনুমানিক ৪ টা ৪০মিনিটের সময় লাশ পুড়ে ফেলে লক্ষণ চক্রবর্তী। এ ব্যাপারে জয়ন্ত চক্রবর্তী মামা স্বপন মজুমদার বাদি হয়ে বীরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং ১১,তারিখ ২২ আগস্ট ২৪ইং।