১৯৯৯ সালে যশোর উদীচীর দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলনে বোমা হামলার বিচারের দাবীতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়েছে। সংগঠনের নেতৃবৃন্দবুধবার দুপুরে যশোরের জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন। জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্মারকলিপি গ্রহন করেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক রফিকুল হাসান।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ১৯৯৯ সালের ৪,৫ ও ৬ মার্চ যশোরে উদীচীর দ্বাদশ জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের শেষ দিন ৬মার্চ গভীর রাতে অনুষ্ঠান চলাকালীন পরপর দুপি বোমা বিস্ফোরিত হয়। ইতিহাসের জঘণ্যতম সেই বোমা হামলায় দশজন শিল্পী নিহত হয়। আহত হয় দুই শতাধিক, যারা এখনো পঙ্গুত্বে অভিশাপ বহন করে চলেছেন। এরপর একেএক পল্টনে সিপিবির সমাবেশে, রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সমাবেশে বিভিন্ন স্শানে সিনেমা হলে, দেশের ৬৪ জেলায় একযোগে সিরিজ বোমা হামলা এবং নেত্রকোনায় উদচিীর কার্যালয়ের সামনে বোমা হামলা চালানো ঞয়। এরই মধ্যে প্রায় সবগুলো বোমা হামলাই বিচার কার্য সম্পন্টন হলেও যশোর উদীচীর সম্মেলনে বোমা হামলার বিচার কার্য সম্পন্ন হয়নি। ১৯৯৯ সালের বোমা হামলার পর সরকার বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করে এবং কয়েকজনকে গ্রেফতার করলেও পরবর্তীি সরকারের অমনোযোগিতায় উপযুক্ত প্রমানের অভাবে তারা বেকসুর খালাস পেয়ে যায়। পরবর্তী সময়ে মামলাইট পুনরুজীবীত করার নির্দেম দেয়া হয় এবং ২০১৩ সালে উদীচীকে একুশে পদক প্রদান সত্বেও মামলাটি এখনো পুনরুজীবীত হয়নি।
তাই মামলাটি পুনরুজীবীত করেে বিচার কার্য সম্পন্ন করার দাবী জানানো হয়।উপস্থিত ছিলেন উদীচীর সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান খান বিপ্লব, সহসভাপতি আব্দুল আফফান ভিক্টর, দীলিপ দাস, সহ সাধারণ সম্পাদক আসিফ আকবর নিপ্পন প্রমুখ।