ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যা নয় প্রতারনার মাধ্যমে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেওয়াই ছিল আসামী সোহাগের মূল উদ্দেশ্য

মোঃ সিজিল মিয়া চৌধুরী প্রকাশিত: ১১ জুলাই , ২০২৪ ১৩:৪০ আপডেট: ১১ জুলাই , ২০২৪ ১৩:৪০ পিএম
ব্যারিস্টার সুমনকে হত্যা নয় প্রতারনার মাধ্যমে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেওয়াই ছিল আসামী সোহাগের মূল উদ্দেশ্য
প্রেস বিফিং"এ তিনি জানান, হত্যা নয়, প্রতারণার মাধ্যমে ব্যারিস্টার সুমনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়াই ছিল গ্রেফতারকৃত সোহাগের মূল উদ্দেশ্য। সে পেশায় একজন ভয়ংকর প্রতারক। তার বিরুদ্ধে একাধিক প্রতারণার মামলাও রয়েছে। ইতিপূর্বে সে প্রতারণার মামলায় জেলও খেটেছে। পুলিশের অনুসন্ধানে এসব তথ্য জানিয়েছে গ্রেফতারকৃত সোহাগ।

হবিগঞ্জ ৪ আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে হত্যার হুমকি দাতা সোহাগকে গ্রেফতার করে প্রেস ব্রিফিং" করেছেন হবিগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার।

প্রেস বিফিং"এ তিনি জানান, হত্যা নয়, প্রতারণার মাধ্যমে ব্যারিস্টার সুমনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়াই ছিল গ্রেফতারকৃত সোহাগের মূল উদ্দেশ্য। সে পেশায় একজন ভয়ংকর প্রতারক। তার বিরুদ্ধে একাধিক প্রতারণার মামলাও রয়েছে। ইতিপূর্বে সে প্রতারণার মামলায় জেলও খেটেছে। পুলিশের অনুসন্ধানে এসব তথ্য জানিয়েছে গ্রেফতারকৃত সোহাগ।

বুধবার (১০ জুলাই) বিকালে এক প্রেস ব্রিফিং"এ পুলিশ সুপার মোঃ আক্তার হোসেন বলেন, প্রতারক আসামী সোহাগ (২৭) মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার হিংগাজিয়া মোবারকপুর গ্রামের মন্তাজ মিয়ার ছেলে। সে (২৬ জুন) চুনারুঘাট থানার ওসির মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে জানায় তার জীবনের ঝুঁকি আছে এমন তথ্য তার কাছে রয়েছে।

এ বিষয়ে (২৭শে জুন) ঢাকার শেরেবাংলা নগর থানায় ও (২৮শে জুন) চুনারুঘাট থানায় একটি করে সাধারণ ডায়েরী করা হয়। বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যায়। এর প্রেক্ষিতে হবিগঞ্জ পুলিশ ও ঢাকার কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সমন্বয়ে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নামে।গত মঙ্গলবার দুপুরে তাকে সিলেট থেকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। পুলিশ সুপার জানান, তার কাছ থেকে আরও জানা গেছে, সে একজন দালাল ও পেশাদার প্রতারক কয়েক বছর বিদেশে ছিল। দেশে এসে মানুষকে বিদেশে পাঠানোর নাম করে হাতিয়ে নেয় লাখ লাখ টাকা। এসব কারনে তার বিরুদ্ধে মৌলভীবাজার ও নবীগঞ্জ থানায় একাধিক প্রতারনা মামলা রয়েছে। 

সে জানায়, ইন্টারনেটে ভারতীয় একটি মুভি দেখে সে এই প্রতারণার কৌশল শিখে। তার অংশ হিসেবেই সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনকে ফাঁদে ফেলার চেষ্টা করে।  কিন্তু যেহেতু সংসদ সদস্যের মোবাইল ফোন নাম্বার তার কাছে ছিলনা তাই সে ওসির মোবাইল ফোন নাম্বারটি ব্যবহার করেছে। তার উদ্দেশ্য ছিল সংসদ সদস্য হুমকির কথা শুনলেই হয়তো বলবেন কারা হত্যা করতে চায় তাদের নাম বলো। তখন সে টাকা চাইবে। কিন্তু তার পরিকল্পনা কোন কাজে আসেনি। উল্টো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ছড়িয়ে পরলে সে বিভিন্ন জেলায় পালানোর চেষ্টা করে। কিন্তু পালাতে সে ব্যর্থ হয়।

আরো জানা যায়,আসামী সোহাগ মিয়া বিদেশে থাকা অবস্থায় একটি বিয়ে করে এবং তার একটি কন্যা সন্তান আছে। পরবর্তীতে বিদেশ থেকে আসার পর আরেকটি বিয়ে করে। স্ত্রীদের সাথে তার পারিবারিক কলহ রয়েছে। উভয় স্ত্রী তাদের পিত্রালয়ে বসবাস করে। মূলত: সে অভাব-অনটন ও উচ্ছাকাংখার কারনে বিদেশ পাঠানোর নামে মানুষকে ফাঁদে ফেলে প্রতারণা করত: বিভিন্ন লোকজনের নিকট থেকে টাকা পয়সা আত্মসাৎ করে। সে অনলাইন জুয়ায় আসক্ত।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo