ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলা সদর ইউনিয়নের উচালিয়াপিড়া প্রাণিসম্পদ হাসপাতাল সংলগ্ন ৬ তলা বিল্ডিংয়ে ডা. এ.এফ.এম শহীদুল হকের বাসার দ্বিতীয় তালার রোমে চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোরেরা নগদ অর্থও স্বর্ণালংকারসহ ১৭ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। এ ঘটনায় সরাইল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলা সদর ইউনিয়নের উচালিয়াপিড়া প্রাণিসম্পদ হাসপাতাল সংলগ্ন ৬ তলা বিল্ডিংয়ে ডা. এ.এফ.এম শহীদুল হকের বাসার দ্বিতীয় তালার রোমে চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোরেরা নগদ অর্থও স্বর্ণালংকারসহ ১৭ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। এ ঘটনায় সরাইল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, সরাইল উচালিয়াপাড়া গ্রামের( জাকিরম্যানশন এর ২য় তলা) বসবাস কারি ডা. এ এফ এম শহীদুল হক মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি ) সকাল আটার দিকে উচালিয়াপাড়া মোড়ের ডে নাইট ফার্মেসীর চেম্বারে ছিলেন। তার স্ত্রী জেবুন্নেছা দুপুর ১২ টার সময় বাসার দরজা তালাবদ্ধ করিয়া বাসার নিচ তলায় তাহার চেম্বারে আসে। আমার ছেলে মেয়েরা ঢাকায় আছেন। ফলে আমার দোতলার বাসাটি তালাবদ্ধ ছিল। দুপুর ১.৩০ ঘটিকার সময় চেম্বার হইতে বাহির হইয়া বাসার নীচ তলায় থাকা আমার স্ত্রী নিকট হইতে বাসার চাবি নিয়ে দোতালায় যাইয়া দরজার তালা খুলি। কিন্তু দরজা ভিতর দিক দিয়ে বন্ধ পাই।
তখন আমি নিশ্চিত হই যে, ভিতরে কোন লোক রহিয়াছে।পরে আমি নিচে নামিয়া আসিয়া আমার স্ত্রীসহ আরো লোকজনকে ডাকিয়া দোতালায় উঠিয়া দরজার তালা ও ভিতরের ছিটকারীর কড়া ভাঙিয়া প্রবেশ করিয়া দেখি আমার বাসার দুইটি বেডরুমের মালামাল তছনছ এলোমেলো অবস্থায় পড়িয়া আছে। বেডরুমে থাকা ষ্ঠীলের আলমারি তালা ভেঙ্গে। এসময় তারা ষ্ঠীলের আলমারি ভেঙে নগদ ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, ১৫.৫০ ভরি স্বর্ণালংকার, আমার এনআইডিসহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে যায়। সরাইল থানা ইন্সপেক্টর এস আই মো.জয়নাল উদ্দিন বলেন,চুরির ঘটনার পর খবর পেয়ে ঘটনাস্থল তদন্ত করেছি।এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে।