মাদারীপুরে ভুল ঠিকানা দিয়ে স্বাস্থ্য সহকারী পদে আবেদন করে চূড়ান্তভাবে চাকরির সুপারিশ পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে । বৈধ প্রার্থী আল আমিন এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন । সিভিল সার্জন বলছে, ভুল বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে আবেদন করে চাকরির সুপারিশ প্রাপ্ত হলে তদন্তসাপেক্ষে ঐ প্রার্থীর নিয়োগ বাতিল হয়ে যাবে। এদিকে সুপারিশ প্রাপ্ত প্রার্থী সিভিল সার্জন অফিসকে চাকরিতে যোগদান না করার কথা জানিয়ে দিয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কালকিনি উপজেলার এনায়েতনগর ইউনিয়নের মো: নুরুল হকের ছেলে মো: হাসান সাবেক ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হয়ে সেই তথ্য গোপন করে সাবেক ৩নং ওয়ার্ডে স্বাস্থ্য সহকারী পদে আবেদন করেছেন। আবেদন মোতাবেক প্রবেশপত্র পেয়ে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন। পরে চূড়ান্তভাবে চাকরির সুপারিশ পেয়েছেন।
এদিকে চাকরির বিজ্ঞপ্তিতে বলা আছে, স্বাস্থ্য সহকারী পদের ক্ষেত্রে প্রার্থী যে ওয়ার্ডের (পুরাতন) জন্য আবেদন করবেন সে ওয়ার্ডের (পুরাতন) স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে। একই ইউনিয়নের অন্য ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দাগণ আবেদন করতে পারবেন (এ ক্ষেত্রে প্রার্থী যে ওয়ার্ডের বাসিন্দা সে ওয়ার্ড অবশ্যই আবেদনপত্রে উল্লেখ করতে হবে)। কিন্তু মো: হাসান ২ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা হয়ে আবেদনপত্রে ৩নং ওয়ার্ড উল্লেখ্য করেছেন ।
অভিযোগকারী আল আমিন খান বলেন, স্থায়ী ঠিকানা গোপন করে চাকরি নেওয়া, যা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত শর্তাবলির বহির্ভূত। ভুল ও অসত্য তথ্য প্রদানের কারণে তাহার নিয়োগ বাতিল হওয়ার শামিল। আমি চাই যোগ্য ও বৈধ প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হোক।
ভুল আবেদনের বিষয়ে জানতে চাইলে মো: হাসান বলেন, আমি এলাকায় বেশি থাকি না, তাই জানিও না কোনটি সঠিক,কোনটি ভুল। আমাকে সিভিল সার্জন অফিস থেকে বৃহস্পতিবার ফোন দিয়েছিল, ফোন রিসিভ করতে না পেরে আমি তাদের হোয়াটসঅ্যাপে জানিয়ে দিয়েছি আমি এই চাকরিতে যোগদান করবো না।
মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আহমদ খান বলেন, এ ধরনের অভিযোগ আমরা পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া তিনি বলেন, যদি কেউ ভুল বা মিথ্যা তথ্য দিয়ে আবেদন করে চাকরির সুপারিশ প্রাপ্ত হয় তাহলে তার নিয়োগ বাতিল হয়ে যাবে।
উল্লেখ্য মাদারীপুর সিভিল সার্জন অফিস থেকে গত ৩ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আওতাধীন শূন্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে । ১৭ মে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে সদর দপ্তর। এখানে ৯টি পদে মোট ৭২জন চূড়ান্তভাবে সুপারিশ পেয়েছেন। সুপারিশ প্রাপ্তদের ২৩ মে পূর্বাহ্নে স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্টসহ যোগদান করতে বলা হয়েছিল।