ভোলার চরফ্যাশনে শনিবার মধ্যরাতে যমুনা এক্সপ্রেস পরিবহন নামে একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ৪ বিএনপি নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (৫ নভেম্বর) দুপুরে গাড়িটির চালক হাসান ফরাজি চরফ্যাশন থানায় অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্ত উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ সেই মামলায় বিএনপির ওই ৪ নেতাকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করেছে।
ভোলার চরফ্যাশনে শনিবার মধ্যরাতে যমুনা এক্সপ্রেস পরিবহন নামে একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় ৪ বিএনপি নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার (৫ নভেম্বর) দুপুরে গাড়িটির চালক হাসান ফরাজি চরফ্যাশন থানায় অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্ত উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। পুলিশ সেই মামলায় বিএনপির ওই ৪ নেতাকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার করেছে।
চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, শনিবার মধ্যরাতে যাত্রীবাহী বাস যমুনা এক্সপ্রেসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় আজ রোববার দুপুরে গাড়িটির চালক অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্ত উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে বিএনপির ৪ নেতাকে চরফ্যাশন শহরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ৪ বিএনপি নেতা হলেন- চরফ্যাশন সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব মো. হাবিব, যুবদল নেতা মহিউদ্দিন, ছাত্রদল নেতা মঞ্জু ও মাহমুদ আলম। ওসি আরও জানান, গ্রেফতারকৃত এই চার নেতা দাবি করছে তাঁরা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। তাদের ৪ জনের বিরুদ্ধে রিমান্ড চাওয়া হবে।
তবে চরফ্যাশন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর মালতিয়া অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নিজেরাই গাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে আমাদের বিএনপি তাদেরকে ফাঁসাচ্ছে। পুলিশ এবং আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আমাদের বিএনপি নেতা-কর্মীদেরকে দমিয়ে রাখছে। মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের নেতা-কর্মীদেরকে জেলে পাঠাচ্ছে। বাসে আগুন দেয়ার ঘটনার সঙ্গে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী জড়িত নয় বলেও তিনি দাবি করেন। উল্লেখ, শনিবার (৪ নভেম্বর) মধ্যরাতে চরফ্যাশনের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যমুনা এক্সপ্রেস পরিবহন নামে একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। পরে চরফ্যাশন ফায়ারসার্ভিসের ২টি ইউনিট ঘন্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।