ভোলার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসকের অবহেলায় মাকসুদুর রহমান (৪২) নামে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) জুমার নামাজের সময় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পরপরই বিক্ষুব্ধ স্বজন ও স্থানীয়রা জরুরি বিভাগে কর্মরত মেডিকেল অফিসার ডা. নাইমুল হাসানের ওপর হামলা চালান। পরে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মাকসুদুর রহমান জুমার সময় বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করলে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। অভিযোগ রয়েছে, এ সময় জরুরি বিভাগে দায়িত্বে থাকা চিকিৎসক জুমার নামাজ পড়তে চলে যান এবং নামাজ শেষ হওয়ার দীর্ঘ সময় পরেও হাসপাতালেই ফিরে আসেননি।
পরিস্থিতি খারাপ দেখে ইমারজেন্সিতে দায়িত্বরত রাকিব নামে এক নার্স রোগীকে অক্সিজেন মাস্ক পরিয়ে প্রেসার পরীক্ষা করেন। রোগীর অবস্থার আরও অবনতি হলে পরে ব্রাদারই বাইরে থেকে চিকিৎসককে ডেকে আনেন। চিকিৎসক এসে ইনজেকশন প্রয়োগ করে পালস চেক করেন এবং কিছু না বলে চলে যান। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীর মৃত্যুর সময় উল্লেখ করেন 'হাসপাতালে আনার আগেই মারা গেছেন', যা স্বজনদের দাবি অনুযায়ী মিথ্যা।
রোগীর পরিবারের দাবি, তারা জীবিত অবস্থায় মাকসুদুর রহমানকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছেন এবং চিকিৎসকের অবহেলার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। তারা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন।
চিকিৎসকের ওপর হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক শেখ সুফিয়ান ইসলাম বলেন, “ঘটনাটি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। কাগজপত্র খতিয়ে দেখে যদি চিকিৎসকের অবহেলা প্রমাণিত হয়, তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”