শটের তীব্রতা এতো বেশি ছিলো যে আপনি চোখের পলক ফেললে মিস করে ফেলবেন। ম্যাজিক অ্যালিস্টারের গোলটা ঠিক জাল ছিড়ে ফেলার মতোই একটা শট ছিলো।
শটের তীব্রতা এতো বেশি ছিলো যে আপনি চোখের পলক ফেললে মিস করে ফেলবেন। ম্যাজিক অ্যালিস্টারের গোলটা ঠিক জাল ছিড়ে ফেলার মতোই একটা শট ছিলো।
ম্যাচ তখনও ১-১ এ সমতায়। ড্র করলে টাইটেল রেসে আবার পিছিয়ে যাবে লিভারপুল। সেই সময়ে বক্স থেকে আসা একটা বলের দিকে দৌড়ে গেলেন ম্যাকা। গিয়ে কোনো টাচ নিয়ে জোড়ালো এক শট। মুহুর্তের মধ্যে সবাইকে পেছনে ফেলে বল জালে জড়িয়ে গেছে। ইচ্ছা হলে শেফিল্ড কাল ৪ জনকে দাড় করাতে পারতো গোলকিপার হিসেবে। কিন্ত এই শটকে ফেরানোর সাধ্য তবুও কারো হতো না।
সিজনটা শুরু করেছিলো ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার রোলে। সেখানে নিজেকে পটেনশিয়ালের পুরোটা দিতে পারছিলো না ক্লাবকে। তবে ক্লাবে এন্ডো যোগ দেয়ার পর থেকে ম্যাক অ্যালিস্টার পেয়েছে নাম্বার ৮ রোল। সেখানে এখন এমন পারফরমেন্স দিচ্ছে যে এক সিজনের ভেতরেই অল রেডদের খুব প্রিয় একজন হয়ে উঠেছে।
লিভারপুলের হয়ে শেষ ১০ ম্যাচে গোল করেছে ৫টি, সাথে অ্যাসিস্টও করেছে ৫টি। মধ্যমাঠ সে একাই কন্ট্রোল করতেছে। প্রতিটা অ্যাটাকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। লিভারপুলের ফরওয়ার্ড লাইনকে ডিক্টেট করতেছে মাঝমাঠ থেকে। একজন ম্যাক অ্যালিস্টার তাই এখন লিভারপুল ফ্যানদের খুব প্রিয় একজন।
ব্রাইটন থেকে বিশ্বজয় করে ফুটবল বিশ্বে নিজের পরিচয় দেয়া। সেখান থেকে ফুটবলের অন্যতম ঐতিহাসিক ক্লাবে যোগ দিয়ে প্রথম সিজনেই দেখাচ্ছে ঝলক।
নামটা তাই ম্যাক অ্যালিস্টারের চেয়ে 'ম্যাজিক' অ্যালিস্টারই বেশি যুৎসই মনে হচ্ছে।