যশোরের অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেও ছিল ফাঁকা, ব্যাংকে লেনদেন হয়নি বললে চলে, দোকানপাট ছিল বন্ধ

এসএম মিরাজুল কবীর টিটো প্রকাশিত: ৭ আগস্ট , ২০২৪ ১৮:০৩ আপডেট: ৭ আগস্ট , ২০২৪ ১৮:০৩ পিএম
যশোরের অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেও ছিল ফাঁকা, ব্যাংকে  লেনদেন হয়নি বললে চলে, দোকানপাট ছিল বন্ধ
অফিসগুলো ফাঁকা ছিল। যশোর পৌরসভায় মেয়র কাউন্সিল বা কোন কর্মকর্তা আসেনি। সেই সাথে শহরের অধিকাংশ মার্কেট দোকানপাট বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। মানুষের মাঝে আতংঙ্ক থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি বলে অনেকে জানান।শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে সোমবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। এঘটনায় সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে উল্ল্যাস করে।

যশোরের সকল অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা ছিল। জনসংযোগ পরিদপ্তর সাধারণ ছুটি প্রত্যাহার করে খোলা রাখার নির্দেশ দেন। অথচ অফিস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হলেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা  আসেনি বললে চলে।

অফিসগুলো ফাঁকা ছিল। যশোর পৌরসভায় মেয়র কাউন্সিল বা কোন কর্মকর্তা আসেনি। সেই সাথে শহরের অধিকাংশ মার্কেট দোকানপাট বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। মানুষের মাঝে আতংঙ্ক থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি বলে অনেকে জানান।শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে সোমবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন। এঘটনায় সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে উল্ল্যাস করে।

এই সুযোগে দুর্বৃত্তরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে, নেতাকর্মীদের বাড়িতে ভাংচুর, লুটপাত ও অগ্নিসংযোগ করে। রাতে পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হলে অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষনা দেয়া হয়। সরকারি ঘোষনা অনুযায়ী মঙ্গলবার সারাদেশের ন্যায় যশোরে অফিস, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা ছিল। সকালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে শিক্ষকরা উপস্থিত থাকলেও শিক্ষার্থীরা তেমন একটা উপস্থিত হয়নি। দুই থেকে তিন জন শিক্ষার্থীকে অভিভাবক নিয়ে আসলেও ক্লাস হয়নি। একই কথা বলেন শিক্ষা বোর্ড সরকারি মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউর রহমান।

তিনি জানান পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও অভিভাবকদের মাঝে আতংঙ্ক কাটেনি। অভিভাবকরা সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছে। আমিও আমার সন্তানকে স্কুলে পাঠাইনি।জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক শোয়াইব হোসেন জানান, আর দুই একদিন গেলে ছাত্ররা স্কুলে আসতে শুরু করবে। সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মাহবুবুল হক খান বলেন, আমাদের কলেজের শিক্ষার্থীরা অধিকাংশ বাইরে থাকে। যাতায়াতের সমস্যার কারনে তারা আসতে পারেনি। পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হলে শিক্ষার্থীরা কলেজের আসতে শুরু করবে।

এদিকে সরকারি অফিস ঘুরে দেখা গেছে, সরকারি ঘোষনা অনুযায়ী সরকারি অফিস খোলা থাকলেও অন্যদিনের তুলনায় ফাঁকা ছিল। কোন মানুষের  উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, পানি উন্নয়ন বোর্ড, সড়ক ও জনপথ, শিক্ষা বোর্ডেসহ সব অফিসে কর্মকর্তা ছিল। সেবা নিতে কোন মানুষ আসেনি। অফিস গুলোতে মানুষের উপস্থিতি না আসায় একথায় কর্মবিরতির মতো অফিস করেছেন কর্মকর্তারা।

যশোর পৌরসভায় মেয়র,কাউন্সিলর  উপস্থিত ছিলেন না। পৌরসভা কোন কার্যক্রম হয়নি। শহরের ময়লা পরিস্কার না করাই শহর নোংরা ছিল। শহর ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী কামাল আহমেতদ জানান, জানান এই পরিস্থিতি মদ্যে পৌরসভা গাড়ি বের করতে ভয় পাচ্ছিল, যদি ভাংচুর করে পুড়িয়ে দেয়। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছে। আজ বুধবার থেকে পুরোপুরি ভাবে কাজ শুরু করা হবে।

এদিকে শহরের অধিকাংশ মার্কেট, দোকানপাট বন্ধ ছিল। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দুর্বৃত্তরা আগুন লাগিয়ে লুটপাত করেছে। সেই আতংঙ্কে ব্যবসায়ীরা দোকান খোলেননিএদিকে শহরের অধিকাংশ মার্কেট, দোকানপাট বন্ধ ছিল। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দুর্বৃত্তরা আগুন লাগিয়ে লুটপাত করেছে। সেই আতংঙ্কে ব্যবসায়ীরা দোকান খোলেননিবলে জানান বড়বাজারের ছিট কাপড় ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি বিশ্বনাথ দত্ত।

তিনি জানান সকল ব্যবসায়ী একত্রিত হয়ে মিটিং করা হয়েছে। বুধবার থেকে আগের মতো সকল মার্কেট দোকান খোলা হবে।জাবী হোটেলে অগ্নিসংযোগে নারকীয় হত্যাকন্ড এবং দেশ ব্যাপি সাম্প্রদায়িক নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে শহরে শোক র‌্যালি বের করা হয়।নাম প্রকাশে অনি”ছুক কয়েকজন ব্যাংক কর্মকর্ত জানান, ব্যাংকে তেমন একচা লেনদেন হয়নি। শাখা ব্যাংকগুলোতে টাকা ছিল না। পুলিশ না থাকায় প্রধান অফিস থেকে টাকা না আসায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo