ঈদুল আযহায় যশোর জেলা চাহিদার তুলনায় ৫ হাজার ৫৯৬ টি বেশি পশু কোরবানী হয়েছে। চাহিদা ছিল ৯৬ হাজার ৭১৮, পশু কোরবানী হয়েছে ১ লাখ ২ হাজার ৩১৪টি। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে জেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ মাসুমা আখতার।
জেলা প্রাণী সম্পদ অফিস সূত্র জানায়, ঈদুল আযহায় মজুদ ছিল ১ লাখ ২৬ হাজার ৮৫২, উদৃত্ত ৩০ হাজার ১৩৩ । পশুর চাহিদা ছিল ৯৬ হাজার ৭১৮। । অথচ পশু কোরবানী হয়েছে ১ লাখ ২ হাজার ৩১৪টি । চাহিদার তুলনায় ৫ হাজার ৫৯৬ পশু বেশি কোরবানী হয়েছে।
সদর উপজেলায় ২০ হাজার ৭২৮ পশু কোরবানী হয়েছে। এর মধ্যে বকনা ৪৭১, বলদ ৭ হাজার ৪০৩, ছাগল ১১ হাজার ৯৬৩, ভেড়া ৮৯১। ঝিকরগাছায় ১১ হাজার ৫৮৫ পশু কোরবানী হয়েছে। এর মধ্যে বকনা ৩১২, বলদ ৩ হাজার ৪৫৩, ছাগল ৭ হাজার ৬১৮ ও ভেড়া ২০২। শার্শায় ১১ হাজার ৪১১ পশু কোরবানী হয়েছে। এর মধ্যে বকনা ৫৩৪, বলদ ২ হাজার ৯৫৪, মহিষ ৩ , ছাগল ৭ হাজারে ৬৪৫, ভেড়া ২৭৫ । মনিরামপুরে ১৪ হাজার ৯৯৪ পশু কোরবানী হয়েছে। এর মধ্যে বকনা ৯৯, বলদ ৪ হাজার ৬৮৫, ছাগল ১০ হাজার ১টি, ভোড়া ২০৯টি। কেশবপুরে ১২ হাজার ১৭৫ পশু কোরবানী হয়েছে। এর মধ্যে বকনা ৪৪৮, বলদ ৩ হাজার ৫০৬, ছাগল ৮ হাজার ১৬, ভেড়া ২০৫। অভয়নগরে ১০ হাজার ৩৮৬ পশু কোরবানী হয়েছে। এর মধ্যে বকনা ২৩০, বলদ ৩ হাজার ৩০, ছাগল ৬ হাজার ৯৬১, ভেড়া ১৬৫। বাঘারপাড়ায় ১০ হাজার ৪৩২ পশু কোরবানী হয়েছে। এর মধ্যে বকনা ৫৭২, বলদ ২ হাজার ৬৫৩, ছাগল ৬ হাজার ৯০১, ভেড়া ৩০৬। চৌগাছায় ১০ হাজার ৬০৩ পশু কোরবানী হয়েছে। এর মধ্যে বকনা ৮৩৯,বলদ ২ হাজার ৬৬২, ছাগল ৬ হাজার ৯৩৫, ভেড়া ১৬৭ ।
জেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ মাসুমা আখতার, চাহিদা ও উদৃত্ত দিয়ে কোরবানীর পশু মজুদ ছিল ১ লাখ ২৬ হাজার ৮৫১টি। উপজেলা অফিস থেকে দেয়া তথ্যানুযায়ী পশু কোরবানী হয়েছে ১ লাখ ২ হাজার ৩১৪। এতে করে চাহিদার তুলনায় ৫ হাজার ৫৯১ পশু কোরবানী উদৃত্ত পরও উদৃত্ত আছে ২৪ হাজার ৫৩৭ পশু।