যশোরে নিখোঁজের একদিন পর শিশুর মরদেহ উদ্ধার

এসএম মিরাজুল কবীর টিটো প্রকাশিত: ৩ এপ্রিল , ২০২৪ ০৯:০৫ আপডেট: ৩ এপ্রিল , ২০২৪ ০৯:০৫ এএম
যশোরে নিখোঁজের একদিন পর  শিশুর মরদেহ উদ্ধার
যশোরে নিখোঁজের একদিন পর জোনাকি খাতুন (৯) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২এপ্রিল) দুপুরে শহরের মডেল মসজিদের পিছনে একটি পুকুর থেকে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে যশোর ২৫০শয্যা জেনারেল হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করেছে।

যশোরে নিখোঁজের একদিন পর জোনাকি খাতুন (৯) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২এপ্রিল) দুপুরে শহরের মডেল মসজিদের পিছনে একটি পুকুর থেকে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে যশোর ২৫০শয্যা জেনারেল হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করেছে।  

নিহত জোনাকি খাতুন যশোরের বেনাপোল পোড়াবাড়ি এলাকার শাহিন তরফদারে মেয়ে। জোনাকি খাতুন শাহিনের প্রথম স্ত্রীর ছোট সন্তান। বর্তমানে শাহিন তরফদার দ্বিতীয় স্ত্রী নার্গিস বেগমকে নিয়ে যশোর শহরের মডেল মসজিদের পিছনে ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন।জোনাকির  দাদির দাবি, সৎমা পরিকল্পিতভাবে জোনাকি খাতুনকে হত্যা করেছে। 

স্বজনরা জানিয়েছেন, জোনাকি খাতুন বেনাপোলে দাদার বাড়িতে থাকে। ৬ দিন আগে বেনাপোলের দাদা বাড়ি থেকে যশোর শহরের রেলগেট এলাকার পিতা বাড়িতে বেড়াতে আসে। সোমবার দুপুর থেকে সে নিখোঁজ ছিল। অনেক খোঁজাখুজির পর মঙ্গলবার দুপুরে জোনাকির লাশ বাড়ি পিছনের পুকুরে ভেসে থাকতে দেখা যায়। জোনাকির শরীরে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। স্বজনদের অভিযোগ, জোনাকির পিতা শাহিনের সম্পত্তি আত্মসাৎ করতে সৎমা নাগিস বেগম জোনাকি খাতুনকে নির্যাতন করে হত্যা করেছে।  

জোনাকির মেজো বোন চুমকি খাতুন বলেন, আমার মা শাহিনের প্রথম স্ত্রী। আমার ছোট বোন বেনাপোলে আমার দাদির কাছে থাকে এবং সেখানে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়াশুনা করে। আমার আব্বুর (শাহিন তরফদারে) অনেক সম্পত্তি আছে। আমার সৎমা সেই সম্পত্তি নিজের নামে নিতে চায়। সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে পরিকল্পিতভাবে সৎমা নার্গিস বেগম আমার বোন জোনাকি খাতুনকে নির্যাতন করে হত্যা করেছে।

নিহতের দাদি সুববান বেগম বলেন, ‘আদর যত্নে আমার কাছে মানুষ হচ্ছিল জোনাকি। আমার ছেলের কাছে ঘুরতে আইছিল ছয়দিন আগে। সোমবার শুনি আমার কলিজার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। পরে আমি কালকেই চলে আইছি আমার সোনার খোঁজে। অনেক খোঁজাখুঁজি করে কালকে আর পাইনি। পরে আজ (মঙ্গলবার) এক বাচ্চা এসে বলে বাড়ি পিছনের পুকুরে জোনাকি লাশ ভাসছে। পানি থেকে জোনাকি এর উঠিয়ে দেখি হাঁটু, পা, হাত, গলা শরীরে সব জায়গায় ক্ষত চিহৃ। আমার নাতিরে হত্যা করা হয়েছে। আমি হত্যার বিচার চাই।’যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, ‘শিশুর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় অনুসন্ধান চলছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসারবাদের জন্য সৎমা নার্গিস বেগমকে আটক করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo