যশোর শহরতলীর ছোট শেখহাটি গ্রামে ও ঝিকরগাছায় পৃথক ঘটনায় দুইজন খুন হয়েছে। একজন খুন হয়েছে অজ্ঞাত দুর্বত্তের হাতে ,অপরজন বন্ধুর হাতে।
শুক্রবার গভার রাতে ছোট শেখহাটি গ্রামে গভীর রাতে বাড়িতে ঢুকে রিপন হোসেন দিপু নামে এক মাংশ ব্যবসায়ীকেছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। দিপু ওই এলাকার রফিকুল ইসলাম মনুর ছেলে। তবে কারা তাকে ছুরিকাঘাত করেছে এই বিষয়ে পুলিশ বা স্বজনদের কেউ কিছু বলতে পারছে না। তবে তার ব্যবসায়ীক তিন পার্টনারের দিকে সন্দেহ করছে পুলিশ। কারন শুক্রবার দুপুর ওই তিন পার্টনারের সাথে তার টাকা নিয়ে বিরোধ বাঁধে। আর গভীর রাতে দিপু ছুরিকাঘাতে জখম হয়।
নিহত দিপুর স্বজনরা জানিয়েছে, নিহত দিপু একই এলাকার ইমরান, আসাদুল ও তপুর সাথে মাংস বিক্রির কাজ করতেন। বেশ কিছুদিন আগে দিপুর কাছ থেকে তারা ১ হাজার টাকা ধার নেয়। শুক্রবার সকালে দিপু তাদের কাছে পাওনা টাকা চাইতে গেলে তারা টাকা দিতে তালবাহানা করে। এক পর্যায়ে টাকা দিকে অস্বীকার করে। এ সময় তাদের সাথে দিপুর বাকবিতন্ডা ও কথাকাটাকাটি হয়। শুক্রবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে বেশ কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি তার বাড়িতে যায় এবং তাকে ডেকে ঘরের বাইরে নিয়ে আসে। এ সময় দিপুকে ছুরিকাঘাতে জখম করে। এ সময় তার চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ও পরিবারের লোকজন এগিয়ে আসলে দুর্বৃত্ত¡রা পালিয়ে যায়। পরে তাকে দ্রুত যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল সাড়ে ৩ টায় তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে কোতয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে আহত ব্যবসায়ীর মৃত্যু বিকেল হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। এই বিষয়ে কোন অভিযোগ এখনো থানায় দেয়া হয়নি। কাউকে আটক করাও যায়নি। তবে পুলিশ ওই এলাকায় বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। আসামি আটকের জন্য বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে।
এদিকে ঝিকরগাছায় বন্ধুর ছুরিকাঘাতে তৌফিক আহমেদ (২৭) নামে এক যুবক খুন হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে উপজেলার কাটাখাল এলাকায় তাকে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত করা হয়। নিহত তৌফিক কৃষ্ণনগর গ্রামের শাহাদাত মোল্যার ছেলে। স্বজনরা জানিয়েছেন,ঘটনার দিন সকালে মৃত কাশেম মন্ডলের ছেলে আসমত ওরফে ক্যাসেট কাঠাখাল এলাকায় তৌফিককে ডেকে নিয়ে যায়। কথাবার্তার একপর্যায়ে কৌশলে তার (তৌফিক) ছুরিকাঘাতকরে পালিয়ে যায় আসমত। তারা দুই জন সম্পর্কে বন্ধু। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই হত্যকান্ড বলে ধারণা করছেন স্বজনরা। যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক রেজওয়ান জানিয়েছেন, বেলা ১১ টার পর তৌফিককে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়। ছুরিকাঘাতে লাঞ্চ ছিদ্র হয়ে যাওয়ায় তার মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করা হচে্ছ। ঝিকরগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিএম কামালহোসেন ভুঁইয়া জানান, ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনাটি শুনেছেন।