ভারী বর্ষণের পর সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় যশোরের চার উপজেলার ২৬ ইউনিয়ন ও ২ পৌরসভার ১৬ হাজার ১৩০ পরিবার এখনো পানিবন্দি। এসব পরিবারের ৬৬ হাজার ৭২০ সদস্য পানিবন্দি দশার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এই বৃষ্টিপাতে ওজোপাডিকো’র বিতরণ ও বিক্রয় বিভাগ-১’র ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২ লাখ টাকার কাছাকাছি।
এদিকে কৃষি বিভাগ জানায়, ফসলের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায় ,নিম্নচাপের কারণে শনিবার ও রোববার ১৫৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। এতে যশোরে ৩৭টি ইউনিয়নের ৯৩টি গ্রাম ও ২টি পৌরসভায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। সেখানকার পানি এখনো নামেনি বলে জানান জেলা ত্রাণ ও পুনর্বসান কর্মকর্তা রিজিবুল ইসলাম।
তার দেয়া তথ্যানুযায়ী, কেশবপুর উপজেলার ১১ টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৬ হাজার ৩২০ পরিবার। অভয়নগরের ৪টি ইউনিয়নের ১ হাজার ৬০০ পরিবার। মণিরামপুর উপজেলার ১১ ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৪ হাজার ৭’শ পরিবার পানিবন্দি। ঝিকরগাছায় ১ হাজার ২০০ পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২টি কাঁচা ঘর। সেই সাথে প্লাবিত হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহু মৎস্য ঘের ।তিনি জানান, এসব ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য তিন উপজেলায় ৩০ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ৩ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। জেলা অফিসে মজুদ আছে ৭৫৫ মেট্রক টন চাল ও নগদ ১০ লাখ ৮২ হাজার ৫০০ টাকা।
ওজোপাডিকো’র বিতরণ ও বিক্রয় বিভাগ-১’র নির্বাহী প্রকৌশলী জিএম মাহমুদ প্রধান জানান, নিম্নচাপের কারণে বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ায় ৪ থেকে ৫টি খাম্বা ভেঙে যাওয়াসহ বৈদ্যুতিক তার ছিড়ে যায়। ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ২ লাখ টাকা।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রমতে, ভারি বর্ষণে জেলার ১০ হাজার ১৫০ হেক্টর ধানের ও ৪৫৪ হেক্টর সবজি ক্ষেত তলিয়ে যায়। ক্ষেত থেকে পানি নেমে যেতে শুরু করেছে। চার থেকে পাঁচদিন পর বোঝা যাবে কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। তার আগে কিছু বলা যাচ্ছে বলে জানান অধিদপ্তরের যশোর উপপরিচালক ড. সুশান্ত কুমার তরফদার।