যশোর শহরে অধিকাংশ ড্রেন দখল হয়ে গেছে। ড্রেন দখল করে দোকানপাট ও একটি সংগঠনের ক্লাব নির্মান করা হয়েছে। এতে পথচারীদের মানুষে ফুটপথ দিয়ে হাটা বন্ধ হয়ে গেছে। সেই সাথে সেখানকার দোকানের কারনে শহরে যানজটের সৃষ্টি হচে্ছ। অথচ জেলা প্রশানসনের উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটি সভা থেকে ড্রেনের উপরে থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দেয়া হয়। অথচ এক মাস পেরিয়ে গেলেও পৌরসভা এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়নি।
শহর ঘুরে দেখা , শহরের রাস্তার ধারে অধিকাংশ ড্রেন নির্মান করে স্লাপ দেয়া হয়েছে। মুজিবসড়ক, পৌরসভা সামনে, জেলা প্রশাসকের সামনের ড্রেন সহ বিভিন্ন ড্রেনের উপর টাইলস দিয়ে ফুটপথ তৈরি করা হয়। এর আগের মেয়র জহিরুল ইসলাম চাকলাদার রেন্টুর সময় একাজ করা হয়। যাতে মানুষ নিরাপদে শহরে চলাচল করতে পারে।
অথচ শহরের অধিকাংশ ড্রেনের ফুটপথ দখল করে দোকান,ক্লাব নির্মান করা হয়েছে। দখল হয়ে গেছে ঘোপ জেল রোড, সেন্ট্রাল রোড, ষষ্টিতলা, রেল রোড সহ অধিকাংশ এলাকার রাস্তার ধারের ড্রেন। ঘোপ জেল রোডের কারাগারের দেয়ালের সামনে বড় ড্রেন নির্মান করেছে পৌরসভা। এর উপর স্লাপ দিয়েছে পথচারীদের চলাচলের জন্য। কিন্তু কিছু স্লাপ ভেঙ্গে গেছে। আর যতটুকু স্লাপ রয়েছে তার উপর চায়ের ও কবুতরের দোকান নির্মান করে ব্যবসা করা হচ্ছে। দোকানে চা খেতে এসে ইজিবাইক , অটো রিক্সা দোকানের সামনের রাস্তায় থামিয়ে রাখায় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
কারিখানা রোডে পুনাক মেলার পোশে ড্রেনের উপর চায়ের দোকান দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করছে। এ দোকানে চা খেতে এসে রিক্সা , ইজিবাইক, মটরসাইকেল রাখায় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। একই অবস্থা ষষ্টিতলা, মুজিব সড়ক, রেলরোড এলাকার। সেন্ট্রাল রোডে হাসপাতালের দেয়ালে ধারে ড্রেনের উপর ক্লাব নির্মান হয়েছে অনেক দিন আগে। এসব কারনে পথচারীদের ফুটপথের পরিবর্তে রাস্তা দিয়ে চলাচল করা হচ্ছে
জুন মাসের উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছে দের জন্য পদক্ষেপ নিতে পৌরসভাকে নির্দেশ দেয়া হয়। অথচ পৌরসভা কতৃপক্ষ এখনও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।যশোর পৌরসভার প্রধান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাবিদ হোসেন,পৌর এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করার কারনে হয়তো ড্রেনের উপর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করা হয়নি। খুব শীঘ্র উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হবে।