শত চেষ্টায় থামানো যাচ্ছেনা বালুখেকুদের

বাবলু হাসান প্রকাশিত: ১২ মে , ২০২৪ ০৫:৪৬ আপডেট: ১২ মে , ২০২৪ ০৫:৪৬ এএম
শত চেষ্টায় থামানো যাচ্ছেনা বালুখেকুদের
আদালতের আদেশে জব্দকৃত বালু মিশিয়ে দিল প্রকৃতিতে।কক্সবাজার জেলার পেকুয়ার উপজেলার সংরক্ষিত বনভুমিতে জব্দকৃত প্রায় ৪ লক্ষ ঘনফুট বালু বনবিভাগের জায়গাতে মিশিয়ে দেওয়া হইছে। গত বুধবার ৮ই মে ভোর হতে বৃহস্পতিবার ৯ই মে মধ্যরাত পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলে বলে জানা যায়।

আদালতের আদেশে জব্দকৃত বালু মিশিয়ে  দিল প্রকৃতিতে।কক্সবাজার জেলার পেকুয়ার উপজেলার সংরক্ষিত বনভুমিতে জব্দকৃত প্রায় ৪ লক্ষ ঘনফুট বালু বনবিভাগের জায়গাতে মিশিয়ে দেওয়া হইছে। গত বুধবার ৮ই মে ভোর হতে  বৃহস্পতিবার ৯ই মে মধ্যরাত পর্যন্ত এ কার্যক্রম চলে বলে জানা যায়।

বনবিভাগ সুত্রে জানা যায়,চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বারবাকিয়া রেঞ্জের টৈটং বনবিটের মধুখালি এলাকায় সংরক্ষিত বনভূমিতে বনদস্যুরা গোপনে বালু মজুত করেছিল। বিষয়টি নজরে এলে এসব বালু জব্দ করে বিভাগীয় মামলা করা হয়। মামলা সূত্রে জানা গেছে, সংরক্ষিত বনে ৪-৫ বছর আগে মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করেছিল বালি খেকোরা। ২০২৩ সালের ২৫ মে ওই বালি জব্দ করে ইউ.ডি. আর মামলা করেন টৈইটং বনবিট কর্মকর্তা।

চলতি বছরে বালি দস্যুরা এ বালি নিলামের নামে বের করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের কাছে বিভিন্নভাবে তদবির করে। নিলাম দেওয়া ও নিলাম বন্ধ করা নিয়ে উপজেলা প্রশাসন ও বন বিভাগের মধ্যে শুরু হয় রশি টানাটানি। সেই সঙ্গে কাঁদা ছোটাছুটি। বনবিভাগ ও মিডিয়ার তৎপরতায় বন্ধ হয়ে যায় নিলাম কার্যক্রম। চলতি বছরের ৩১ মার্চ ওই বালি প্রকৃতির সঙ্গে মিশে দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেন বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুল হক।  আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে বালুগুলি পরিমাপ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যথাসময়ে প্রতিবেদন দাখিল না করায় আদালত রেঞ্জ কর্মকর্তার আবেদনের প্রেক্ষিতে জব্দকৃত বালু বনের ভেতরের নিচু জায়গা ভরাট করে প্রকৃতির সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়ার আদেশ দেন।

বালি নিচু স্থানে ভরাট করে গাছ রোপন করে আদালতে ভিডিও চিত্র সহ প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন বারবাকিয়া রেঞ্জ হাবিবুল হককে।গত বৃহস্পতিবার ০২ মে, চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মোহাম্মদ জাহিদ হোসাইন। এতে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুনের দিক নির্দেশনায় সহকারী বন সংরক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে বালুগুলো মিলিয়ে দেওয়া শুরু হয়। এতে বনবিভাগের প্রায় অর্ধশতাধিক বনরক্ষী ও শতাধিক শ্রমিক অংশ নেয়। এসময় চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের শহর, বারবাকিয়া, পটিয়া, মার্দাশা, পদুয়া, চুনতি রেঞ্জের কর্মকর্তাসহ চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

বারবাকিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা হাবিবুল হক বলেন,আদালতের আদেশক্রমে জব্দ করা বালুর স্তুপের আংশিক অংশ প্রকৃতির সঙ্গে মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে। জব্দকৃত সব বালু প্রকৃতির সঙ্গে মিলিয়ে সেখানে বনজ গাছ রোপণ করা না পর্যন্ত অভিযান চলমান থাকবে বলেন। 

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo