ভারত বর্ষে খাজনা আদায়ে লক্ষ্যে মুঘল সম্রাট আকবর মোঘল আমলে ১৫৫৬ সালে ১৪ এপ্রিল বাংলা সাল প্রবর্তন করেন। তবে শুরুর দিন তখন এ দেশে হিজরি সাল প্রচলিত ছিল। হিজরি বছরটিকে ঠিক রেখেই নতুন একটি বর্ষপঞ্জি চালু করা হয়।
ভারত বর্ষে খাজনা আদায়ে লক্ষ্যে মুঘল সম্রাট আকবর মোঘল আমলে ১৫৫৬ সালে ১৪ এপ্রিল বাংলা সাল প্রবর্তন করেন। তবে শুরুর দিন তখন এ দেশে হিজরি সাল প্রচলিত ছিল। হিজরি বছরটিকে ঠিক রেখেই নতুন একটি বর্ষপঞ্জি চালু করা হয়।
বাংলা দিনপঞ্জির সঙ্গে হিজরি ও খ্রিষ্টীয় সালের মৌলিক পার্থক্য হলো হিজরি সাল চাঁদের উপর নির্ভশীল এবং খ্রিষ্টীয় সাল ঘড়ির হিসেবে চলে।এ কারণে হিজরি সালে নতুন তারিখ শুরু হয় সন্ধ্যায় নতুন চাঁদের আগমনে। ইংরেজি দিন শুরু হয় মধ্যরাতে। আর বাংলা সন শুরু হয় সূর্যোদয়ের সঙ্গে পহেলা বৈশাখের উৎসব, বাংলা সন ও বাঙালির ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িয়ে আছে আবহমান বাংলার চিরাচরিত প্রথা। এই দিনটি উপলক্ষে বাঙালির জাতি রঙিন আয়োজনে বৈশাখী মেলায় মাটির হাড়ি পাতিল,রং-বেরং এর খেলনা, নাগরদোলা, সার্কাস,কবির গান, বাঙালির জাতির ঐতিহ্য সম্বলিত খাবার পান্তা-ইলিশসহ স্টল গুলোতে পাওয়া যেত।
সেই ধারাবাহিকতায় হরিপুর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে,মঙ্গল-শোভা যাত্রায় বাঙালির ইতিহাস সংস্কৃতির ফেস্টুন প্যালে কার্ড বহন করে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা চত্বরে শেষ হয়। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বাঙালির ঐতিহ্য সম্বলিত খাবার পান্তা-ইলিশ বিভিন্ন দপ্তর ও স্কুল কলেজ ছাত্র ছাত্রী স্কুলের মাঝে খাওয়ার পরিবেশন করা হয়। স্থানীয় শিল্পী ও ধীরগন্জ উচচ বিদ্যালয়ের শিল্পীর গোষ্ঠীর মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গ্রাম পুলিশ বাংলার মাটি ও মানুষের গান পরিবেশন করেন।
র্যালী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও , হরিপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অধ্যক্ষ মো,জিয়াউল হাসান মুকুল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো,আরিফুজ্জামান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল নোমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছা,মোতাহারা পারভীন সুমি, পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তা বৃন্দ অফিসার ইনচার্জ আব্দুল লতিফ শেখ , হরিপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, এস এম আলমগীর, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মো, আনোয়ার হোসেন,ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো মনোয়ারুল ইসলাম রিপন, বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ ও স্কুল কলেজ থেকে আগত ছাত্র-ছাত্রী ঋণ য্বৎরা,ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া সাংবাদিকগণ।