রাজশাহীতে সুশীতল মেহমান

কামরুজ্জামান বাবু প্রকাশিত: ৮ মে , ২০২৪ ১০:২৮ আপডেট: ৮ মে , ২০২৪ ১০:২৮ এএম
রাজশাহীতে সুশীতল মেহমান
সূর্যের একরোখা মেজাজ হারানো নিরব প্রতিশোধে ; বৈশাখ যখন নীরব । তখন বৈশাখের চিরচেনা ঝড়-বৃষ্টি মোটেও পাত্তা দেয়নি রাজশাহী নগরবাসিকে । তাই তো অনাবৃষ্টি আর সূর্যের উত্তপ্ত তাপদহের খপ্পরে নগর বাসি নাস্তানাবুদ অবস্থা ।

সূর্যের একরোখা মেজাজ হারানো নিরব প্রতিশোধে ; বৈশাখ যখন নীরব । তখন বৈশাখের চিরচেনা ঝড়-বৃষ্টি মোটেও পাত্তা দেয়নি রাজশাহী নগরবাসিকে । তাই তো অনাবৃষ্টি আর সূর্যের উত্তপ্ত তাপদহের খপ্পরে নগর বাসি নাস্তানাবুদ অবস্থা ।

তখন নগরবাসি বৃষ্টির জন্য মহান সৃষ্টি কর্তার নিকট দু‘হাত তুলে আর্জি করেছেন। হে পৃথিবীর মালিক । দয়াময় মহান সৃষ্টি কর্তা । আমরা ভুল করেছি । পাপ করেছি । তুমি আমাদের ক্ষমা করে দাও । তীব্র তাপদহনে আজ শিশু থেকে বয়স্ক । নারী থেকে পুরুষ সকলেই কষ্টে দিশেহারা । তুমি বৃষ্টি দাও মাবুদ ।তুমি বৃষ্টি দাও ।এমন আকুতিতে বিভিন্ন স্থানে ইসতিস্কার নামাজ সহ মসজিদে মসজিদে ইমাম সাহেবগন হাল না ছাড়া নাবিকের মত ওয়াক্তে ওয়াক্তে দোওয়া চালিয়ে যাচ্ছেন । এতে দু‘দিন জুটেছিল সেকেন্ড কিংবা মিনিটের এক দন্ডের ক‘ফোঁটা বৃষ্টি । তাতে তাপ কমেনি ।

অতিষ্ঠ নগরবাসি । ঠিক এমন বিভীষিকাময় তপ্ত নগরে মহান দয়াময় স্বস্তির মসৃন শীতল বাতাস ; আর ধীরগতির দীর্ঘ সময়ের বৃষ্টি দিয়ে,শীতল করে দিল তপ্ত নগরকে। ৭মে । দিবাগত রাত । ঘড়ির কাটায় রাত ১২টা ৩০মিনিট । আকাশে তখন মেঘেদের ছুটোছুটি । শীতল বাতাস পৃথিবীতে নেমে এসে রাজশাহী নগরের ওলিগলিকে শীতল করে যাচ্ছে ।রাত ১টা ৫৮মিনিট । আকাশ থেকে প্রথম নেমে এলো মৃদু ছন্দে বৃষ্টির দল । তার পর ধীরে ধীরে আরো নেমে আসছে বৃষ্টি ও সুশীতল বাতাস । সময় অতিক্রম করে বৃষ্টি ওঠান্ডা বাতাস চলতে থাকে । টানা ৩টা ৩৫ মিনিট পর্য্ন্ত শীতল হাওয়া ও নরম বৃষ্টির সমন্বয় নগরবাসিকে স্বস্তি দিয়ে ওরা ফিরে যায় অন্য কোনো গন্তব্যে । রাতের বৃষ্টিতে নগরবাসি সকালের পুষ্পহাসিতে স্বস্তির ঢেঁক তুলেন । ধুমায়িত চায়ের আড্ডায় রাতের বৃষ্টির গল্প জমে উঠে মুখে মুখে ।


এই বিভাগের আরোও খবর

Logo