শোরে কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীদের উপরে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতৃবৃন্দের হামলা

এসএম মিরাজুল কবীর টিটো প্রকাশিত: ১৭ জুলাই , ২০২৪ ১৪:২২ আপডেট: ১৭ জুলাই , ২০২৪ ১৪:২২ পিএম
শোরে কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীদের উপরে মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নেতৃবৃন্দের হামলা
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চলাকালিন শিক্ষার্থীরা পানি পান করার জন্য ডিসি অফিস চত্তরে টিউবওয়েল যান। এসময় যশোর সন্তান কমান্ডার বাঁশের লাঠি দিয়ে চার -পাঁচ জন শিক্ষার্থীকে মারপিট করে। ছত্রভঙ্গ হওয়ে আন্দোলনকারিনা পালিয়ে যান।

যশোরে কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীদের উপরে হামলা করার অভিযোগ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডার বিরুদ্ধে।মঙ্গলবার (১৬জুলাই) সাড়ে ১১টার দিকে যশোর জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্তরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আন্দোলন চলাকালিন শিক্ষার্থীরা পানি পান করার জন্য ডিসি অফিস চত্তরে টিউবওয়েল যান। এসময় যশোর সন্তান কমান্ডার বাঁশের লাঠি দিয়ে চার -পাঁচ জন শিক্ষার্থীকে মারপিট করে। ছত্রভঙ্গ হওয়ে আন্দোলনকারিনা পালিয়ে যান।

পরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আন্দোলন কারী শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। মিছিলটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রেসক্লাব যশোরের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে।এরআগে কোটা সংস্কারের এক দফা দাবি এবং আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে খুলনা-যশোর মহাসড়কের নতুন রাস্তা মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় খুলনা-যশোর মহাসড়ক যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এ সময় ‘চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার’, ‘কোটা না মেধা, মেধা মেধা’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’- ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছেন বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা। তাদের এই আন্দোলনে বেশ কয়েকজন সাধারণ মানুষকেও একাত্মতা প্রকাশ করে স্লোগান দিতে দেখা গেছে।আন্দোলনকারীরা জানান, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতিবাদ জানাচ্ছেন তারা।

একইসঙ্গে সব ধরনের কোটার সংস্কার চান। স্কুল, কলেজ, চাকরি সব ক্ষেত্রে মেধাবীদের অগ্রাধিকার দেবার দাবি তাদের। কিন্তু সরকার বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছে না। ফলে দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না।

একইসঙ্গে শান্তিপূর্ণভাবে চলতে থাকা একটি যৌক্তিক আন্দোলনের উপর পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা হামলা করে তাদের রক্তাক্ত করেছে, যা গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্তরায় ও নিন্দনীয় অপরাধ। তারা এর সুষ্ঠু বিচার চান।যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের কথা শোনেন। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করার জন্য অনুরোধ জানান।


এই বিভাগের আরোও খবর

Logo