শেরপুরের শ্রীবরদীতে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সন্ত্রাসী হামলায় আহত হয়েছেন মনজুরুল ইসলাম মঞ্জু (৪৮) নামের এক সংবাদ কর্মী। গত ৮ই মে বুধবার রাতে ষষ্ঠ শ্রীবরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তথ্য সংগ্রহকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে যাওয়ার সময় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা প্রার্থী হাবিবুল্লাহ হাবি ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীরা সাংবাদিক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জুর উপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়।
গুরুতর আহত করে শেরপুর প্রেসক্লাবের স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ঢাকা থেকে প্রকাশিত বহুল প্রচারিত ইংরেজি সংবাদপত্র ডেইলি ইন্ডাস্ট্রির শেরপুর প্রতিনিধি কবি ও সাংবাদিক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু । আহত সাংবাদিক মনজুরুল ইসলাম মঞ্জু বলেন, বুধবার ষষ্ঠ শ্রীবরদী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তথ্য সংগ্রহের জন্য তিনি দিনব্যাপী ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করে। রাত আনুমানিক পনে আটটার দিকে শ্রীবরদী উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থিত নির্বাচনী কন্ট্রোলরুমে প্রবেশের সময় উপজেলা পরিষদ গেইটে যাওয়া মাত্রই আইসক্রিম প্রতীকের পরাজিত ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রভাবশালী সাবেক পৌর কাউন্সিলর হাবিবুল্লাহ হাবি ও তার সহোদর ভাই চাঁদাবাজি মামলায় বিগত সময়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া বিল্লাল হোসেন সহ তাদের সহযোগী সন্ত্রাসী বাহিনীরা পরিকল্পিতভাবে আমার উপর হামলা চালায়।
পরে স্থানীয়রা আমাকে সন্ত্রাসীদের কবল হতে উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। বর্তমানে আমার উপর হামলার ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করতে হাবিবুল্লাহ হাবি মিথ্যা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছে। এ বিষয়ে আমি স্থানীয় সরকার দলীয় সংসদ সদস্য, শেরপুরের পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাচনের দায়িত্বেরত রিটার্নিং কর্মকর্তা সহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। বিচারের দাবিতে থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছি। এদিকে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকের উপর আতঙ্কিতভাবে হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন শেরপুর ও শ্রীবরদী উপজেলায় কর্মরত গণমাধ্যম কর্মীরা। এ প্রসঙ্গে অভিযুক্ত সাবেক কাউন্সিলর হাবিবুল্লাহ হাবিবের সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি কাইয়ুম খান সিদ্দিকী অভিযোগ দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, লিখিত অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।