ঈদ মানুষের কাছে সবচেয়ে আনন্দের ও খুশির দিন। কিন্তু এই দেশের মানুষের মনে ঈদের নেই বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, গরিব অসহায় মানুষ অত্যন্ত নিদারুণ কষ্টের মধ্যে দিন যাপন করছে। এর মূল কারণ হচ্ছে দ্রব্যমূল্যের চরম উর্ধ্বগতি।সরকারি ব্যবসায়ি সিন্ডিকেটরা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এই সরকার জনগণের সরকার নয় বলেই জনগণের কল্যাণে কোন কাজ করে না।এই সরকার লুটপাটের সরকার। তারা হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। জনগণের অর্থ লুটেপরে খেয়েছে। দেশের অর্থনীতি ও গণতান্ত্রিক অধিকার ধ্বংস করে দিয়েছে।
তিনি শুক্রবার, ১২ এপ্রিল দুপুরে পবিত্র ওমরাহ্ পালন শেষ চট্রগ্রাম বিমান বন্দর থেকে সরাসরি পশ্চিম বাকলিয়া ডিসি রোডে এসে দলীয় নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।
ঈদের ২য় দিনে পশ্চিম বাকলিয়া ডিসি রোডস্হ নিজ বাস ভবনে বিভিন্ন শ্রেণির পেশাজীবী, দলীয় নেতাকর্মী ও সর্বস্তরের জনসাধারণের সাথে ডা. শাহাদাত হোসেন ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। আগত নেতা কর্মীদের সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং পরোটা ও মেজবানি মাংস, খেজুর এবং জমজমের পানি দিয়ে আপ্যায়ন করান।
এসময় সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, মানুষের মাঝে ঈদের আনন্দে নাই। মানুষ এখন কষ্টে জর্জরিত। এক শ্রেণীর মানুষের কাছে টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছে। গুটিকয়েক ব্যবসায়ী ও সুবিধাভোগী মানুষের কারণেই সারা দেশের মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে। ঈদের আনন্দ গ্রাস করেছে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি আর বাজার সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট ভাঙতে হলে এই সরকারকে নামাতে হবে। এই দামি সরকারের পতন হলেই দেশের সার্বিক পরিস্থিতির স্বাভাবিক হবে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ পরিকল্পিত ভাবে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশকে তলাহীন ঝুড়ির দেশে পরিণত হয়েছে। ডামি সরকারের কথিত মন্ত্রী এমপিদের আবোল তাবোল কথা বার্তায় মানুষ এখন আওয়ামী লীগকে দেউলিয়া রাজনৈতিক দল হিসেবে মনে করছে। বিএনপির আন্দোলন মানুষের জন্য, দেশের মানুষের গণতন্ত্রের অধিকার, ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করব। আন্দোলন দুর্বল হয়নি, চলমান আন্দোলন দিন দিন গতি বাড়ছে।
তিনি বলেন, বিএনপির হাজার হাজার নেতা কর্মী আজ কারাগারে। হামলায় জর্জরিত বিএনপির লাখ লাখ নেতাকর্মী। আদালতে হাজিরা দিতে দিতে ক্লান্ত বিরোধী দলের নেতাকর্মীরা। সরকারের জুলুম নির্যাতন এতই ভয়াবহ হয়েছে ঈদ করার জন্য অনেক নেতাকর্মী গ্রামে যেতে পারছে না। পালিয়ে মানুষের আশ্রয় নিয়ে দিন পার করছে। এই সরকার এখনো একটি আতঙ্কের মধ্যে আছে। এই সরকারের বিরুদ্ধে দেশের মানুষ কোন সমর্থন দেয়নি। সমর্থন হীন ভাগ ভাটোয়ারা নির্বাচন করে ক্ষমতা দখল করে আছে। এই ডামি সরকারের পতন অনিবার্য। এই সরকারের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র, ভোটাধিকার পুনরুদ্ধার করতে আনতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব আবু সুফিয়ান,ইয়াছিন চৌধুরী লিটন,আনোয়ার হোসেন লিপু গাজী মোহাম্মদ সিরাজুল্লাহ, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, এডভোকেট সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী সহ দলীয় নেতাকর্মী, আইনজীবী, ডাক্তার, পেশাজীবী সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।