চাঁদাবাজির অভিযোগে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে দুই ভুয়া সাংবাদিককে আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করে উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা। পরে আর অপসাংবাদিকতা এবং চাঁদাবাজি করবে না মর্মে ইউএনওর কাছে মুচলেকা দিয়ে মুক্তিপায় তারা।
চাঁদাবাজির অভিযোগে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে দুই ভুয়া সাংবাদিককে আটক করে থানা পুলিশে সোপর্দ করে উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা। পরে আর অপসাংবাদিকতা এবং চাঁদাবাজি করবে না মর্মে ইউএনওর কাছে মুচলেকা দিয়ে মুক্তিপায় তারা।
রবিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়। তারা হলেন, জেলার ঘিওর উপজেলার ছোট রঘুনাথপুর গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে আবুল হোসেন (৪০) ও একই উপজেলার বাসুদেব বাড়ি গ্রামের মোন্নাফ আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩৭)। তারা সাংবাদিক পরিচয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন ভূমি অফিস, ইটভাটা ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদা আদায় করে আসছিল।
উপজেলা ভূমি অফিস ও ইটভাটা মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে, আবুল হোসেন ও জাহাঙ্গীর আলম দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পরিচয়ে উপজেলার বিভিন্ন ভূমি অফিস, ইটভাটা ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে চাঁদাবাজি করে আসছিল। দাবিকৃত টাকা না দিলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের হুমকি দামকি দেয় তারা। এমন অভিযোগে রবিবার দুপুরে উপজেলা চত্বরে থেকে তাদের আটক করে উত্তম মধ্যম দেয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিকস মিডিয়ায় কর্মরত স্থানীয় সাংবাদিকরা। এক পর্যায়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে তারা। এরমধ্যে আবুল হোসেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের এক অফিস কক্ষের বাথরুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে তাদের উদ্ধার করে থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়।
থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) জিয়ারুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে দুই সাংবাদিককে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। পরে তাদের উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ কুমার বসুর কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ কুমার বসু বলেন, আটক দুই সাংবাদিক দোষ স্বীকার ও এমন অনৈতিক কাজ ভবিষ্যতে করবেনা মর্মে লিখিত মুচলেকা দেয়। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।