শুদ্ধাচার বেনজীর

কামরুজ্জামান বাবু প্রকাশিত: ২৩ জুন , ২০২৪ ১৫:১১ আপডেট: ২৩ জুন , ২০২৪ ১৫:১১ পিএম
শুদ্ধাচার বেনজীর
তাই তো খুঁটির জোরের কাছে ন্যায় অন্যায়ের কিচ্ছু যায় আসেনা । ছাগল মাত্র দর্শন । মূল শক্তি থাকে আড়ালে ।আমরা ৩০ তম সাবেক পুলিশ মহা পরিদর্শক Inspector General Of Bangladesh Police ( IGP ) বেনজীর আহমেদকে সবাই কম বেশি চিনি বা জানি । চাকরি জীবনে তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী সৌভাগ্যবান জৈষ্ঠ্য কর্মচারি । তার নামের আগে মাননীয়,মহোদয়, মহাশয় এমন কতোই না বিশেষণ শুনেছি । না জানি তেল কম হলে গুম অথবা বাসার পরিবর্তে মিথ্যা মামলায় কারাগারে ঠিকানা হয় কি না । এমন মহা আতংকের নাম বেনজীর আহমেদ। সত্যি তিনি অপ্রতিরোধ্য ভাগ্যবান । পুলিশ সার্ভিসে যত কাঙ্খিত পদ পদবি তিনি উপভোগ করেছেন । অবশ্য দায়িত্ব পালনের কথা বলা যেত ; কিন্তু তাকি করেছেন ? তিনি একাধারে ডিএমপি কমিশনার, র‌্যাব মহাপরিচালক ও পুলিশ মহাপরিদর্শক ছিলেন । সাথে নয় ছয়ের ডক্টরেট ডিগ্রী আর শুদ্ধাচার পুরষ্কার । এমন কি তার স্ত্রী জিশান মির্জা মস্য চাষে স্বর্ণ পদকও অর্জন করেন ! আহ: কি নেই এই মহাগুণী বেনজীর প্রাণীর ভিতরে ?সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ১৯৬৩ সালের ১ অক্টোবর গোপালগঞ্জ জেলায় বেনজীর আহমেদ জন্ম গ্রহন করেন । তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজী সাহিত্যে লেখা পড়া শেষ করেন । ১৯৮৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ৭ম বিসিএস পরীক্ষায় পুলিশ ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে সহকারী পুলিশ সুপার হিসাবে পুলিশে যোগদান করেন । ২০১১/১২/১৪/ ও ২০১৬ সালে বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল ( বিপিএম ) ও ২০২১ সালে শুদ্ধাচার পুরষ্কারে ভূষিত হন । ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর অবসর গ্রহণ করেন । স্ত্রী জিশান মির্জা ( ৫০ ) দুই কন্যা সন্তান নিয়ে তার পরিবার । বড় মেয়ে ফারহিন রিস্তা বিনতে বেনজীর ( ২৯ ) বিবাহিত মেজ মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীর ( ২৪ ) অবিবাহিত ও জারা বিনতে বেনজীর ।

বস খেলে আমি খায়, আমি খেলে তুমি । তুমি আমি বস মিলে, মিলে মিশে চলি । এটি খুব সাধারন কথা । তবে সাধারণ ভেবে থেমে গেলে চলবেনা । আমরা এর একটু বিশ্লেষণে যেতে চাই । বিশ্লেষণে যাওয়ার আগে বিশ্লেষণকে সহজ করতে আর একটা বহুল প্রচলিত কথা স্বরণ করি । ছাগল নাচে খুঁটির জোরে । যে খুঁটি যেনতেনো খুঁটি না । মাটির উপর থেকে মাটির গভিরে ৫৬ হাজার বর্গ ফুট পুঁতে রাখা । আর ছাগলের গলার রশি যদি ৫৬ হাজার বর্গ ফুট হয় । তাহলে ছাগলের জন্য এটা খুবই অস্বাভাবিক ও বিরল ঘটনা । ছাগল ইচ্ছে মত তার আশে পাশের ক্ষেত খামার ধ্বংস করতেই থাকবে । অন্যদিকে মালিক বলবেন আমি তো ছাগল বেঁধে রেখেছি। আর এর সাথে মালিক যদি রাষ্ট্রিয় প্রভাবশালী হয় , তাহলে বিষয়টা সয়ে নেয়া ছাড়া কারও কোনো উপায় নেই। কারণ অভিযোগ করার কোন জায়গা নেই । ছাগল তখন স্বেচ্ছাচারি এক ভয়ংকর দস্যু । তখন কেউ না ছাগলকে বাধা দিতে পারে । না মালিকের নিকট কৈফিৎ চাওয়ার সাহস রাখে । আর এমন অবিশ্বাস্য ছাগল প্রভাবশালীরা ছাড়া কেউ বেঁধে রাখতে পারেননা । তাই কল্পনার চেয়ে কোনো মানুষ যখন অধিক ক্ষমতাবান হয়ে ওঠে । তখন সাধারণ মানুষ বলেন, ও ( ছাগল ) তো এমনি লাফায় না । ওর খুঁটির জোর আছে । তাই লাফাচ্ছে (দেমাগ দেখাচ্ছে ) ।

তাই তো খুঁটির জোরের কাছে ন্যায় অন্যায়ের কিচ্ছু যায় আসেনা । ছাগল মাত্র দর্শন । মূল শক্তি থাকে আড়ালে ।আমরা ৩০ তম সাবেক পুলিশ মহা পরিদর্শক Inspector General Of Bangladesh Police ( IGP ) বেনজীর আহমেদকে সবাই কম বেশি চিনি বা জানি । চাকরি জীবনে তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী সৌভাগ্যবান জৈষ্ঠ্য কর্মচারি । তার নামের আগে মাননীয়,মহোদয়, মহাশয় এমন কতোই না বিশেষণ শুনেছি । না জানি তেল কম হলে গুম অথবা বাসার পরিবর্তে মিথ্যা মামলায় কারাগারে ঠিকানা হয় কি না । এমন মহা আতংকের নাম বেনজীর আহমেদ। সত্যি তিনি অপ্রতিরোধ্য ভাগ্যবান । পুলিশ সার্ভিসে যত কাঙ্খিত পদ পদবি তিনি উপভোগ করেছেন । অবশ্য দায়িত্ব পালনের কথা বলা যেত ; কিন্তু তাকি করেছেন ? তিনি একাধারে ডিএমপি কমিশনার, র‌্যাব মহাপরিচালক ও পুলিশ মহাপরিদর্শক ছিলেন । সাথে নয় ছয়ের ডক্টরেট ডিগ্রী আর শুদ্ধাচার পুরষ্কার । এমন কি তার স্ত্রী জিশান মির্জা মস্য চাষে স্বর্ণ পদকও অর্জন করেন ! আহ: কি নেই এই মহাগুণী বেনজীর প্রাণীর ভিতরে ?সংক্ষিপ্ত পরিচিতি ১৯৬৩ সালের ১ অক্টোবর গোপালগঞ্জ জেলায় বেনজীর আহমেদ জন্ম গ্রহন করেন । তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজী সাহিত্যে লেখা পড়া শেষ করেন । ১৯৮৮ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ৭ম বিসিএস পরীক্ষায় পুলিশ ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে সহকারী পুলিশ সুপার হিসাবে পুলিশে যোগদান করেন । ২০১১/১২/১৪/ ও ২০১৬ সালে বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল ( বিপিএম ) ও ২০২১ সালে শুদ্ধাচার পুরষ্কারে ভূষিত হন । ২০২২ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর অবসর গ্রহণ করেন । স্ত্রী জিশান মির্জা ( ৫০ ) দুই কন্যা সন্তান নিয়ে তার পরিবার । বড় মেয়ে ফারহিন রিস্তা বিনতে বেনজীর ( ২৯ ) বিবাহিত মেজ মেয়ে তাহসিন রাইসা বিনতে বেনজীর ( ২৪ ) অবিবাহিত ও জারা বিনতে বেনজীর ।

বিরোধী দল ও মত দমনে বেনজীর অভিযোগ আছে সরকারের আশ্রয় প্রশ্রয়ে বিরোধী দল দমনে বেনজীর আহমেদ সীমালঙ্ঘনে বেপরোয়া ছিলেন। এমন কি চাকরিরত থাকা কালিন সরকারি দলের নেতার মত তার ভাষণ বচন ছিল । রাজনীতির ইতিহাসে অভাবনীয় গুম আর বিচার বর্হিভুত হত্যা কান্ড তিনি প্রত্যাক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে পরিচালনা।


পাতা-২

করতেন বলে অভিযোগ আছে। অপর দিকে ডিজিটাল আইন জঙ্গী নাটক আর সাজানো ও গায়েবি মামলার মহামারিতে বিরোধী শিবীর প্রতি নিয়ত ছিন্ন ভিন্ন অবস্থায় রাখতেন । আর এই সব কর্ম-কান্ডে সরকারি দলের নেতা কর্মীদের ব্যবহার করতেন বলে বিরোধী দলের অভিযোগ আছে । এই সুবাদে সরকারি দলের নেতা কর্মীরা অঘোষিত পুলিশের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় বলে বিরোধীরা অভিযোগ করে আসছেন।এতে সরকারি দল তার রাজনীতিসহ সকল কর্ম-কান্ড বীর দর্পে পরিচালনার সুযোগ ভোগ করেন । অপর দিকে বিরোধী দল রাজনীতি কর্মসূচি পালনে নানান অজুহাতে বাধা প্রাপ্ত হয়ে বিভিন্ন হামলা মামলা গ্রেপ্তার মাথায় নিয়ে দিক বিদিক  পথ খুঁজে বেড়ায় । যার ফলে দেশের রাজনীতি সরকারি দল ছাড়া বিরোধী দল নিস্ক্রিয় হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে শক্তিশালি (প্রকৃত ) বিরোধী দল দেশের জনগণের কল্যাণের জন্য অপরিহার্য । কারণ সক্রিয় বিরোধী দল না থাকলে সরকারি দল জনগণের কল্যাণের চেয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার ফন্দি ফিকিরে বেশী মনযোগী হয় ।বেনজীর ও অপারেশন সিকিউর শাপলা চত্বর ২০১৩ সালের ৫মে ঢাকার শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলাম অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন । সেই সময় ডিএমপি কমিশনার ছিলেন বেনজীর আহমেদ। হেফাজতে ইসলামকে শাপলা চত্বর ব্যবহার করার অনুমতি না দেয়ার নানান নাটকীয়তা চলে । অবশেষে বিকেল ৫টার মধ্যে সমাবেশ শেষ করার শর্তে সমাবেশে করার অনুমতি দেন।ডিএমপির অনুমতির পর হেফাজতে ইসলাম তাদের অবরোধ কর্মসূচির মাধ্যমে ১৩ দফা দাবি উত্থাপন করেন ।তখন সেখানে উপস্থিত কিছু নেতা দাবি আদায় না হওয়া পর্য্ন্ত সমাবেশ স্থলে অবস্থান নেয়ার ঘোষণা দেন ।যার আলোকে হেফাজত ইসলাম বিকেল ৫টার পর সমাবেশ না ভেঙে রাত্রি যাপন শুরু করেন ।

বেনজীর সেই সময় সমাবেশ ভাঙতে বিদ্যুৎ ও নেটওয়ার্ক বন্ধের অনুমতি প্রাপ্ত হন । এবং সমাবেশ স্থলসহ আশে পাশের বিদ্যুৎ ও নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেয়া হয় । সেই সাথে মিডিয়া কভারেজও বন্ধ হয়ে যায় । ব্যতিক্রমে দিগন্ত টিভি কভারেজ বন্ধ না করার সিদ্ধান্ত নেন ।যার খেশারত হিসেবে আজও দিগন্ত টিভির প্রচার বন্ধ । অভিযোগ আছে মধ্য রাতে সমাবেশ স্থলে হেফাজতের নেতা কর্মীদের উপর পুলিশ সরাসরি গুলি চালিয়ে বহু নেতা কর্মীকে হত্যা করেছে । হত্যাকৃত লাশ গুম ও আলামত ধ্বংসে অন্যান্য বাহিনীসহ ফায়ার সার্ভিস ব্যবহার করা হয় । সেই অভিযানে কতো সংখ্যক নেতা কর্মী হত্যা করা হয়েছে তার সঠিক সংখ্যা আজও অজানা । তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এর তথ্য ও বিশ্লেষণ ঘুরে ফিরে বেড়াচ্ছে । হেফাজতে ইসলামীর সমাবেশ পন্ড করার ক’দিন পর ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহমেদ একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি বলেন , হেফাজতে ইসলামীর সমর্থকদের সরিয়ে দিতে ‘অপারেশন সিকিউর শাপলা ‘ নামে অভিযান চালানোহয়।এ অভিযানে পুলিশ র‌্যাব ও বিজিবি অংশ গ্রহণ করেন । অনেকের ধারনা বিরোধী দমনে এটি ছিল সরকারের  নতুন মাত্রা । আর বেনজীর আহমেদের উত্থানের প্রথম সিঁড়ি ।বালুর ট্র্রাক প্রথা আবিষ্কার ২০১৩ সাল । সরকার বিরোধী দমন ও নির্যাতনের নতুন মাত্রা দিন দিন যোগ করে যাচ্ছে পুলিশ । বেনজীর আহমেদ তখন ডিএমপি কমিশনার । তিন বারের প্রধান মন্ত্রী , বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার ও সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সহধর্মিণী এবং প্রধান বিরোধী দল বিএনপি”র চেয়ার পার্সন বেগম খালেদা জিয়া । যার সাথে বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষের শ্রদ্ধা সম্মান আবেগ ভালোবাসা নীবিড় ভাবে ছড়িয়ে ছিটে জড়িয়ে আছে । এমন জনপ্রিয় দেশ বরেণ্য রাজনীতিবিদের।


পাতা-৩

গুলশানের বাসায় বালুর ট্রাক আড়াআড়ি করে রেখে দেয়া হয় । সেই সাথে পুলিশ পাহাড়া বসানো হয়েছিল । যাতে বাসার ভিতরে বা বাইরে কেউ যাতায়াত করতে না পারে । এমন ঘটনায় বিরোধী দল তো বটেই সাধারণ মানুষও ঘৃণিত কাজ বলে মন্তব্য করেছে । তবু বেনজীর ক্ষান্ত হননি । দ্বিতিয় বার বালুর ট্রাক নিয়ে খালেদা জিয়ার অফিসে প্রবেশের পথ বন্ধ করে দিয়েছিল । অনেকের ধারনা শাপলা চত্বরের অভিযান,অপেশাদারি মনোভাবে বিরোধী দমন আর বেগম জিয়ার সাথে সীমালঙ্ঘন আচরনে বেনজীর রাতারাতি সরকার দলিয়র নিকট মহা নায়কের ভূমিকায় উঠে আসে । সেই সাথে সরকারি দলের বিশ্বাস্য ভাড়ায় চালিত অন্ধ সন্ত্রাসী বনে যায় । দু’চোখে পদ পদবি আর সীমাহীন ক্ষমতার মোহে ভুলে যায় সে একজন পাবলিক সার্ভেন্ট ।তার জবাবদিহিতা আছে । অনেকের চোখে বেনজীর আহমেদ অপেশাদারি লম্পট দুর্নীতিবাজ গুম খুনের বেপরোয়া কারিগর মনে হলেও সাহস করে কোনো মিডিয়া তা প্রকাশ করেননি । তাই সরকারি চাকরি বহাল তবিয়ত রেখেই বেশ দাপটের সাথে বেনজীর আহমেদ তার অপকর্ম চালিয়ে গেছেন । এর খুঁটির জোর কোথায় ? বেনজীর আহমেদ কোন মন্ত্রনালয়ের অধিনে ছিলেন ? সেই মন্ত্রনালয় কেন বেনজীর আহমেদকে ধরলনা ?

এমন কি কালের কন্ঠে খবর প্রকাশের পরও দুদুকের নিরবতা ! এ বিষয়ে ব্যারিষ্টার সুমন এমপি সবার নজরে আনলেও তেমন সাড়া মেলেনি । অবশেষে একজন আইনজীবি আদালতে রিট দাখিলের পর দুদুক মাঠে নামেন ; কিন্তু কেন ?ইত্যাদি প্রশ্ন আজ সচেতন মহলে মগজ ভারি করে চলছে ।১১ ডিসেম্বর ২০২১ যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশেরে মানবাধিকার সংগঠন গুলো দীর্ঘদিন ধরে গুম খুন ও বিরোধী মত দমন সহ নানান অভিযোগ তুলে আসছিল । এমন কি মার্কিন সিনেটে ৬ জন কংগ্রেসম্যান বাংলাদেশের মানবধিকার গুরুতর লঙ্ঘন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন । আর বিরোধী দলের পক্ষ থেকে অসহায় শিশুর মত বারংবার বলতে শোনা যায় ; সরকার তাদের একের পর এক ধারাবাহিক ভাবে মানবোধিকার লঙ্ঘন করেই যাচ্ছেন । দেশ যেন এক পুলিশি রাষ্ট্র । পুলিশি বেড়াজালে পুরো দেশ । পুরো দেশ আজ কারাগার ইত্যাদি। ১১ ডিস্মেবর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ ট্রেজারি অফিস অফ ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল ( ওএফএসি ) মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নিপীড়নের অভিযোগে বিশ্বের ১০টি প্রতিষ্ঠান ও ১৫ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন । এই তালিকায় বাংলাদেশ র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ( র‌্যাব ) ও তৎকালিন কর্মরত ও সাবেক ৬জন কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করা হয় । তার মধ্যে একজন বেনজীর আহমেদ । যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় তিনি মোটেও পাত্তা দেননি । তাই নিজ মানবধিকার আদায়ের লক্ষে পরের বছর জাতিসংঘের সম্মেলনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসার আবেদন করেন । এবং যুক্তরাষ্ট্র তার আবেদন গ্রহণ করে ভিসা প্রদান করেন । উল্লেখ ২০২২ সালে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে ৩১ আগষ্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পুলিশ প্রধানদের সম্মেলনে বেনজীর আহমেদ যোগদান করেন । যদিও তখনও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা বলবৎ ।কালের কন্ঠ ৩১ মার্চ ২০২৪ কালের কন্ঠ প্ত্রিকার অনুসন্ধান রিপোর্টার জনাব হায়দার আলী ও ফরিদ আহমেদে’র ’বেনজীরের ঘরে আলাদীনের চেরাগ’ শীরনামে অনুসন্ধানী রিপোর্ট প্রকাশের পর বেনজীর আহমেদের

পাতা-৪

প্রসন্ন ভাগ্যের শিঁকায় আগুন জ্বলে । বেনজীর আহমেদ ৩৪ বছর ৭মাস তার চাকরি জীবনে বেতন ভাতা বাবদ মোটআয় করেছেন ১কোটি ৮৪লাখ ৮৯হাজার ২০০টাকা ।আর সম্পদ কতো কিনেছেন তার হিসাব কে মেলাবে ?গোপালগঞ্জ জেলার সাহাপুর ইউনিয়নের বৈরাগীটোলা সাভানা ইকো রিসোর্ট আয়োতন প্রায়- ১৪ শত বিঘা !রিসোর্টে ১৫টি পুকুর, কৃত্রিম পাহাড় , প্রায় ৬৫টি ডুপ্লিক্স কটেজ যার একাটি নির্মান খরচ ৫০ লক্ষ টাকারও বেশী , কৃত্রিম ঢেউ খেলানো সুইমিংপুল, কনসার্ট হল ,রিসোর্টে ১৫ ফিট মাটি ভরাট ও প্রায় ৩০ কি:মি: পিচ ঢালা রাস্তা। কালের কন্ঠের অনুসন্ধনে বেনজীর আহমেদের স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে অন্তত ৬টি কোম্পানির সন্ধান পেয়েছেন ।

যার ৫টি নিজ জেলা গোপালগঞ্জ । বিনিয়োগের পরিমান ৫০০ কোটি টাকার উপরে । পূর্বাচলে ৪০ কাঠার উপর ডুপ্লেক্স বাড়ি আনুমানিক কম মূ্ল্যে ৪৫ কোটি টাকা তার নিকটে ১০ বিঘা জমি -২২ কোটি টাকা । সাভানা ফার্ম প্রডাক্টস, সাভানা অ্যাগ্রো লিমিটেড,সাভানা ন্যাচারাল ( ৬০০ বিঘা চলমান ৮০০ বিঘা নির্মানাধিন )পার্ক, সাভানা ইকো রিসোর্ট, সাভানা কান্ট্রি ক্লাব । ঢাকায় দুই মেয়ের নামে বেস্ট হোলডিংস ওপাঁচতারা হোটেল লা –মেরিডিয়ানে দুই লাখ শেয়ার, এম/এস একটি শিশির বিন্দু রেজি: পি-৪৩০৩৬ এই ফার্মে ২৫ শতাংশ স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে ।

গুলশানে ৪টি ফ্ল্যাট । গাজিপুর কালিগঞ্জে ১৮১ বিঘা জমি ,সেন্ট মার্টিনে ১ একর ৭৫ শতক,মেরিন ড্রাইভ ইনানী সৈকতে ৭২ শতাংশ দুদুকের অনুসন্ধানে বেনজীরের স্ত্রীর নামে উত্তরা ১১নং সেক্টরে ১টি ৭তলা বাড়ি ,বেনজীরের নামে ভাটারায় ১টি ৪তলা বাড়ি,ঢাকায় আরও ৮টি ফ্ল্যাটের খোঁজ মিলেছে । ৬টি ফ্ল্যাট আদাবরে ২টি বাড্ডায় । আদালতের আদেশে গোপালগঞ্জ ও মাদারীপুরে ৬২১ বিঘা জমি, ১৯টি কোম্পানীর শেয়ার,৩০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র,৩৩টি ব্যাংক হিসাব,৩টি বিও হিসাব ( বেনিফিশিয়ারি ওনার্স অ্যাকাউন্ট ) জব্দ বা অবরুদ্ধ করা হয়েছে ।সরকারি কর্মচারি বিধিমালা সরকারি কর্মচারি বিধিমালা অনুযায়ী, চাকরি চলা কালে কোনো সরকারি কর্মচারি বা তার পরিবারের সদস্যরা সরকারের পূর্বানুমোদন ছাড়া ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলতে পারবেনা । এমন কি আড়াই লাখ টাকার ওপরে স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রেও সরকারের পূর্বানুমোদন লাগবে । চলবে সাধারণ প্রতিক্রিয়া

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo