২৮ অক্টোবর (শুক্রবার) রাজধানী ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশের ঘোষণার পর থেকে বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহার জংশন স্টেশন দিয়ে ঢাকাগামী যাত্রীদের সংখ্যা বেড়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় সান্তাহার জংশন স্টেশনে গিয়ে দেখাযায়, ঢাকাগামী দ্রুতযান এক্সপ্রেস ট্রেনের বগির মধ্যে পা ফেলানোর জায়গা নেই। ঢাকাগামী এসব যাত্রীদের মধ্যে অধিকাংশয় বিএনপি নেতাকর্মী ছিলেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, সান্তাহার জংশন স্টেশন দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ২০জোড়া ট্রেন চলাচল করে। বিএনপির সমাবেশ ঘোষণার পর থেকে বগুড়ার আদমদীঘিসহ পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিএনপি নেতাকর্মীরা ট্রেনযোগে সমাবেশে যোগ দিতে এই স্টেশনে ভিড় করছেন। একারনে আগের তুলনায় টিকিটের চাহিদা প্রচুর বেড়েছে।
আর এই সুযোগে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন টিকিট কালোবাজারি চক্র। তারা প্রতি টিকিট প্রায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছেন। ফলে বেকায়দায় পড়ছেন সাধারন যাত্রীরা। ট্রেনযাত্রী শুভ চক্রবর্তি জানান, পূজার ছুটি শেষে নিজ কর্মস্থল ঢাকায় ফেরার জন্য সান্তাহার স্টেশনে আসেন। তিনদিন আগে কাউন্টারে এসে টিকিট না পেয়ে পাশের একটি ফটোকপির দোকান থেকে তিনি টিকিটের নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ২০০টাকা অতিরিক্ত দামে কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস আন্ত:নগর ট্রেনের দুইটি টিকিট কেনেন। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪০মিনিটে ওই ট্রেনে উঠে দেখেন বগিতে পা ফেলার জায়গা নেই।
এ দিকে আদমদীঘি উপজেলা থেকে পুলিশী ঝামেলা এড়াতে বিএনপির নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড ভাবে বিভিন্ন ট্রেনে ঢাকা যাচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির এক নেতা জানিয়েছন, তিনি বুধবার রাতে নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনে ৮জন কর্মীকে নিয়ে ঢাকায় পৌঁছেন। আবাসিক হোটেলে তল্লাশী হতে পারে এজন্য তিনি নিকট আত্মীয়ের বাসায় উঠেছেন।
সান্তাহার রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার হাবীবুর রহমান হাবীব জানান, পূজার ছুটিতে আসা লোকজন কর্মস্থলে ফিরছে। এজন্য স্টেশনে ভিড় বেড়েছে। ট্রেনের বগিতে শতকরা বিশজন দাড়িয়ে যেতে পারেন। কিন্তু তারা স্ট্যান্ডিং টিকিট নিচ্ছেন। টিকিট কালোবাজারি সর্ম্পকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাউন্টার থেকে টিকিট কালোবাজারির সুযোগ নেই। অনলাইন থেকে যেসব টিকিট বিক্রি হয় ওই সব টিকিট কালোবাজারে বিক্রি হতে পারে। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে বিষয়টি পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনী দেখেন।
সান্তাহার রেলওয়ে থানার ওসি মোক্তার হোসেন জানান, ইতিপূর্বে টিকিট কালোবাজারের ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এ রকম সংবাদ বা অভিযোগ পেলে আবারো অভিযান চালানো হবে।