মাদারীপুরে সাবেক স্ত্রীর সাথে কথা বলাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটনা ঘটেছে। প্রায় ৫ ঘণ্টা চলা সংঘর্ষে অর্ধশত ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় পুরো এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এতে দুই পুলিশসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
এঘটনায় ১৮ জনকে আটক করা হয়েছে । ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ।পুলিশ জানায়, মাদারীপুর সদর উপজেলার পূর্ব রাস্তি গ্রামের আক্কাস মুন্সির ছেলে অপু মুন্সির শহরের বিসিক শিল্প নগরী এলাকার বাদশা বেপারীর মেয়ে নিশি আক্তারের প্রেমের সম্পর্কে তাদের দেড় বছর আগে বিয়ে হয় ।৬ মাস আগে পারিবারিক কলহের কারণে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে। সোমবার (১০ জুন) বিকেলে বাড়ির কাছে হঠাৎ দেখায় নিশির সাথে অপু কথা বলে। নিশির পরিবার এ বিষয়টিতে ক্ষিপ্ত হয়ে অপুকে মারধর করে।
এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়ালে পূর্ব রাস্তি এলাকায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দুইপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় অর্ধশত ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা হয়। রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত সংঘর্ষ দফায় দাফয় চলে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এ সংঘর্ষে দুই পুলিশসহ আহত হয়েছে ১৫ জন।১৮ জনকে আটক করা হয়েছে। আর এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে এসআই নজরুল ইসলামসহ আহত দুই পুলিশ সদস্যকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী কহিনুর বেগম বলেন, হঠাৎ চারদিক থেকে শতশত লোকজন এসে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। ভয়ে দরজা বন্ধ করে দেই। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মূলত প্রেমিক-প্রেমিকা দুইগ্রুপ এই সংঘর্ষে জড়ায়। স্থানীয় বাসিন্দা ফাতেম বেগম বলেন, শতশত মানুষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। চালের উপর ককটেল বিস্ফোরনের শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরিবারের সদস্যের নিয়ে ঘরের ভেতর থাকি। পুলিশ প্রায় আড়াই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।আরেক প্রত্যক্ষদর্শী মাহিন্দ্র চালক বলেন, আমার গাড়িটি পার্কিং করা ছিল। একদল দুর্বৃত্ত গাড়িটি ভাঙচুর করে। আমি গরীব মানুষ, এই ঘটনার বিচার চাই।মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম সালাউদ্দিন জানান, সংঘর্ষ থামাতে ২২ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়তে হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত ১৮ জনকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়েরের পর আটকদের আদালতে তোলা হবে। এছাড়া এই ঘটনায় বাকি জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।