সাভারে ঢাকার আরিচা মহাসড়কের হাইওয়ে থানা সামনে থেকে কয়েকদিন আগে দুই লাখ টাকা মূল্যের মার্বেল পাথরের টাইলসসহ পিকআপ ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত দলের নেতাসহ ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ।
ঢাকার সাভারে আরিচা মহাসড়কের হাইওয়ে থানা সামনে থেকে কয়েকদিন আগে দুই লাখ টাকা মূল্যের মার্বেল পাথরের টাইলসসহ পিকআপ ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত দলের নেতাসহ ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোবাশশিরা হাবীব খান (পিপিেম, সেবা)। এর আগে গতরাতে কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার মধ্যপাড়া আব্দুল্লাহপুর এলাকার মোঃ হুমায়ূন কবিরের ছেলে মোঃ কাউছার (২৪), একই থানার খেজুরবাগ এলাকার মৃত দুলালের ছেলে মোঃ রফিকুল ইসলাম ফয়সাল (২৪), লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর থানার পূর্ব কেওরা এলাকার মৃত রুস্তম আলীর ছেলে মোঃ মিরাজুল ইসলাম সুমন (৩৫) ও মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানার শংকরদী গ্রামের মৃত এমদাদুলের ছেলে মোঃ মেহেদী হাসান মৃধা (২৬)। তারা সবাই দুর্ধর্ষ ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, গত ১২ অক্টোবর রাতে একটি পিকআপে ২ লাখ দুই টাকার মার্বেল পাথর বোঝাই করে রংপুরের উদ্দেশ্য রওনা হয় চালক মোঃ শহিদুল ইসলাম। তিনি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ডেইরিগেট সংলগ্ন এলাকায় আসামিরা একটি সিএনজি দিয়ে পিকআপের গতিরোধ করেন। পরে চালককে বেধে মার্বেল পাথরের টাইলসের ওপরে ট্রিপল দিয়ে ঢেকে রেখে পিকআপটি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ঘুরাতে থাকে। এক পর্যায়ে বিমশমাইল এলাকায় মহাসড়কের পাশে নির্জন জঙ্গলের একটি গাছের সাথে বেধে রাখে চালককে। পরে পিকআপটি নিয়ে আসামিরা পালিযে যায়। এঘটনায় ঢাকা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং প্রথমে কাউসারকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য মতে বাকিদের গ্রেপ্তার করে দুটি টাইলস ব্যাতিত সব টাইলস ও পিকআপটি উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ। ঘটনার পর দিন সকালে পিকআপের মালিক শহিদুল বাদী হয়ে মামলা দাযের করেছিলেন।
তিনি আরও বলেন, আসামিদের মধ্যে সিরাজুল ইসলাম সুমনের বিরুদ্ধে দুটি ও মেহেদী হাসান মৃধার বিরুদ্ধে ৮ টি ডাকাতি ও দস্যুতার মামলা রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারের সময় ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম মৃধা ও একজন কনস্টেবল আহত হন। তারা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বর্তমানে সুস্থ্য রয়েছেন। উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম মৃধা বলেন, ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান পিপিএম নেতৃত্বে, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোবাশশিরা হাবীব খানের দিক নির্দেশনা ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লবের তত্বাবধানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এই অভিযানে আসামিদের গ্রেপ্তারের সময় কাউসার দেয়াল টপকে পালানোর চেষ্টা করেন। আমিসহ এক কনস্টেবল আহত হই। গ্রেপ্তার আসামিদের দুপুরে আদালতে পাঠানো হবে।