সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগি সারোয়ার আহমেদ বলেন, তিন শত বছর পুরোনো আমাদের কয়েকটি প্রাচীন বাড়ি রয়েছে। সেখানে আমাদের দেওয়ান কমপ্লেক্স ও একটি প্রাচীন মসজিদও রয়েছে। ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষ ঢাকা মহানগর ইমারত (নির্মাণ, উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও অপসারণ) বিধিমালা, ২০০৮-এর উপ-বিধি ৬১ অনুযায়ী রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মহাপরিকল্পনাভুক্ত এলাকার ঐতিহাসিক, নান্দনিক, বৈজ্ঞানিক, সামাজিক অথবা ধর্মীয় গুরুত্বের বিবেচনায়।
প্রায় তিন শতাধিক বছর আগের প্রাচীন বাড়ি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ময়লা ফেলে চলাচলের পথ বন্ধ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। বছরের পর বছর ধরে দেয়াল টপকে চলাচল করছিল ভুক্তভোগী পরিবারটি। প্রায় ১৮ বছর পর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে ময়লা পরিস্কার করে রাস্তা খুলে দেওয়া হলেও মিলছে না সুরাহা।
সোমবার (১০ জুন) সকালে সাভারের আমিনবাজার এলাকায় সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান ভুক্তভোগি পরিবার ও আমিনবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: রকিব আহম্মেদ।
সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগি সারোয়ার আহমেদ বলেন, তিন শত বছর পুরোনো আমাদের কয়েকটি প্রাচীন বাড়ি রয়েছে। সেখানে আমাদের দেওয়ান কমপ্লেক্স ও একটি প্রাচীন মসজিদও রয়েছে। ২০০৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি রাজধানী উন্নয়ন কতৃপক্ষ ঢাকা মহানগর ইমারত (নির্মাণ, উন্নয়ন, সংরক্ষণ ও অপসারণ) বিধিমালা, ২০০৮-এর উপ-বিধি ৬১ অনুযায়ী রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মহাপরিকল্পনাভুক্ত এলাকার ঐতিহাসিক, নান্দনিক, বৈজ্ঞানিক, সামাজিক অথবা ধর্মীয় গুরুত্বের বিবেচনায় ।
দেওয়ান কমপ্লেক্স ও মসজিদ নগর উন্নয়ন কমিটির অনুমোদনক্রমে ঐতিহ্যবাহী বিশেষ ভবন/স্থাপনা ও গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হিসেবে সংরক্ষণের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়।
তিনি আরও বলেন, দেওয়ান কমপ্লেক্সে দেওয়ান পরিবার ভাগ হয়ে বসবাস করে। তবে গত কয়েক যুগ ধরে পরবিারের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরী হয়। দ্বন্দ্বের জেরে আমার চাচা বশির আহমেদ আমাদের যাতায়াতের রাস্তায় ময়লা ফেলে রাস্তা আটকে দেয়। ময়লা পরিস্কার করতে গেলে তারা ময়লা পানি ও ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। ফলে বাড়ির দেয়াল টপকে চলাচল করতে হতো। তাছাড়া পরিবাবের কোন সদস্য মারা গেলেও সেই রাস্তাটি ব্যবহার করতে দিতো না তারা। লাশও দেয়াল টপকে পার করতে হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে থানায় একাধিকবার বিচার করা হলেও তারা মানেনি।
আমিনবাজার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো: রকিব আহম্মেদ বলেন, গত কয়েক বছর ধরে এই দ্বন্ধ চলে আসছিলো। আমার কাছেও এসেছিল বিষয়টি সমাধানের জন্য। পরে জানতে পারি সারোয়ার হোসেন ও বশির আহমেদ চাচা-ভাতিজা। নিজেদের মধ্যে এতো দিন ধরে বিরোধ চলায় আমার সন্দেহ হয়। পরে কাগজপত্র ঘেটে দেখি ২০০৯ সালে ওই দেওয়ান কমপ্লেক্স ও মসজিদটি গেজেট ভুক্তি হয়। কিন্তু আমার পুর্বের চেয়ারম্যান গেজেট ভুক্ত হওয়ার পরেও গ্রাম আদালতে একটি রায় প্রকাশ করেন। যে রায়ে ময়লা দিয়ে বন্ধ করা রাস্তাটি সারোয়ার হোসেনের পরিবার ব্যবহার করতে পারবে না। কারন হিসাবে সারোয়ার হোসেনের বাড়ির উত্তরপাশে অবৈধ স্থাপনা নির্মান করে তার চাচা বশির আহমেদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। একটু গেজেটভুক্ত জায়গায় কিভাবে তিনি আদালত বসিয়েছিলেন এবং রায় দিয়েছেন এটা আমার বোধগম্য নয়। পুরো দেওয়ান কমপ্লেক্স গেজেট ভুক্ত হওয়ায় ময়লা পরিস্কার করে চলাচলের রাস্তা উম্মুক্ত করে দিয়েছি। আর ময়লা পরিস্কার করে ১৭ বছর ধরে বন্ধ করা রাস্তা উম্মুক্ত করা আমার অন্যায় হয়েছে দাবি করে মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। যা মোটেও কাম্য নয়।
তিনি আরও বলেন, এই জায়গা ও স্থাপনা সরকারি গেজেট ভুক্ত । এই জায়গায় তাদের অধিকার কম। তবে এখানে আমাদের কোন বিচার ও রায় দেওয়া উচিত না। মানবিক দিক থেকে রাস্তাটি খুলে দেওয়া হয়েছে। এখানে কোন মারমারি অথবা কোন পক্ষকে সুবিধা দেওয়া হয়নি।