নওগাঁর নিয়ামতপুরে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। সকাল থেকেই লোকজন ভীড় করছে বিভিন্ন দোকানে । পছন্দের সাজ পোশাক কিনতে ঘুরছেন এক দোকান থেকে আরেক দোকানে ।
বিক্রেতারা জানালেন, রমজানের প্রথম দুই সপ্তাহে বিপণিবিতানগুলোয় তেমন ভিড় না থাকলেও গত দুই দিন থেকে প্রতিটি বিতণিবিতানে জমজমাট বেচাকেনা হচ্ছে। কিশোর-কিশোরী, তরুণ-তরুণীরাই ঈদের কেনাকাটা করতে বেশি আসছেন। ছেলেদের পছন্দের শীর্ষে পাঞ্জাবি, জিনসের প্যান্ট হলেও মেয়েদের নজর কাড়ছে নায়রা কাট । তাই এসব পোশাকের বিক্রিও হচ্ছে বেশি।
বৃহস্পতি ও শুক্রবার বিভিন্ন বিপণিবিতানের কর্মচারী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এসব দোকানে তৈরি পোশাকের মধ্যে কিশোরী ও তরুণীদের ওয়ান–পিস, থ্রি–পিস, ওড়না, ফ্রক, কোর্টি, নায়রা, মিনি স্কার্ট, আলিয়া কাট, এবং ছেলেদের পাঞ্জাবি, টি–শার্ট, জিনস প্যান্ট, জুতা, স্যান্ডেল থেকে শুরু করে প্রসাধনসামগ্রী বিক্রির জন্য সাজিয়ে রাখা হয়েছে। তবে এবার কিশোরী ও তরুণীদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে নায়রা কাট ও থ্রি- পিস। মানভেদে এই দুই ধরনের পোশাক বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ৩ হাজার টাকায়।
নিউ কালেকশন এন্ড টেইলার্সের স্বত্বাধিকারী আব্দুল কুদ্দুস জানান, এবার কিশোরী আর তরুণীরা নায়রা কাট, আলিয়া কাট আর থ্রি- পিস বেশি কিনছে। ছেলেরা কিনছে জিনসের প্যান্ট আর পাঞ্জাবি।
গাবতলী বস্ত্রালয়ের স্বত্বাধিকারী মো: মঞ্জুর রহমান জানান, প্রতিটি নায়রা কাট ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা, ওয়ান–পিস ৭০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকা , থ্রি-পিস ৫০০ থেকে ২ হাজার টাকা, বড়দের পাঞ্জাবি ৫০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকা এবং ছোটদের পাঞ্জাবি ২০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে কিনতে পারছেন ক্রেতারা।
জোবায়ের ক্লথ স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো: মাহবুর রহমান জানান, আমারা এবার পাঞ্জাবির নতুন নতুন কালেকশন এনেছি। বিক্রিও ভালো হচ্ছে। বড়দের পাঞ্জাবি ৬০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকা আর ছোটদের পাঞ্জাবি ৩০০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
একই রকম পাঞ্জাবি,প্যান্ট,ঘড়ি আর চশমা কিনেছে দুই বন্ধু তানবীরুল ইসলাম ও পারভেজ হাসান। তারা জানালো, ঈদের দিনে একই রকম পোশাক পরে দুইজনে একসঙ্গে ঘুরবো বলে সবগুলো একই রকমের কিনলাম।