এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ফিরোজ জামাল প্রতিবেদককে মুঠোফোনে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসার জন্য চাহিদা অনুযায়ী ভ্যাকসিনের সরবরাহ নেই।
স্বাস্থ্যসেবায় বিশেষ অবদান রাখায় সুনাম অর্জন করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালটি সম্প্রসারণ করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে উন্নতি করা হয়। অথচ এ হাসপাতালেই কি না সাপে কাটা রোগীদের ভ্যাকসিন (অ্যান্টি স্নেক ভেনম) সরবরাহ নেই । ফলে চিকিৎসা না পেয়ে গত শুক্রবার সকালে সাপের কামড়ে রোগীর মৃত্যু হয়।
মৃত ধনবালার ছেলে জগদীশ চন্দ্র রায় বলেন, গত শুক্রবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৩ঃ৩০ মিনিটে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রাজাগাঁও ইউনিয়নের রাজারামপুর গ্রামে (বানিয়া পাড়া) নিজ ঘরে শুয়ে ছিল বৃদ্ধা ধনবালা (৭০)। এ সময় তাকে চাল গোখরা সাপ কামড় দেয়। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক ওঁঝার মাধ্যমে ঝাড়ফুঁক করে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।
কিন্তু সেখানে ‘অ্যান্টি স্নেক ভেনম’ ভ্যাকসিন না থাকায় চিকিৎসকরা রোগীকে দিনাজপুর নিতে বলেন।দিনাজপুর নিয়ে যাওয়ার পথে বৃদ্ধা ধনবালার মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা জানা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলার একটি সুনামধন্য চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালটি। কিন্তু এখানে সাপে কাটা রোগীদের ভ্যাকসিন নেই। অন্য বেসরকারি হাসপাতাল বা ক্লিনিকেও এ ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা নেই। ফলে সাপে কাটা রোগীদের চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর কিংবা রংপুর যেতে হয়। ঠাকুরগাঁও থেকে সড়কপথে দিনাজপুর দূরত্ব ৬৫ কিলোমিটার। আর রংপুর দূরত্ব ১১৮ কিলোমিটার। পথে যেতে অনেক সময় যানজটের কবলে পড়তে হয়। ফলে বেশির ভাগ রোগী পথেই মারা যায়।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ফিরোজ জামাল প্রতিবেদককে মুঠোফোনে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসার জন্য চাহিদা অনুযায়ী ভ্যাকসিনের সরবরাহ নেই। একাধিক বার উর্ধতন কর্মকর্তাকে ভেকসিনের চাহিদা দিয়ে আবেদন করেছি কিন্তু পাচ্ছি না। তিনি বলেন ভেকসিন গুলো সাধারণত পাহাড়ি এলাকায় বেশি বরাদ্দ দিয়ে থাকেন স্বাস্থ্য দপ্তর কিন্তু ঠাকুরগাঁও জেলা সমতল ভূমি হলেও এই এলাকাটি সাপের কামড় প্রবণতা অনেক বেশি। আমাদের এখানে ভেকসিন সরবরাহ না থাকায় সাপে কাটা রোগীকে না রেখে দ্রুত দিনাজপুর কিংবা রংপুর যেতে বলা হয়।