হাসিনার অপকর্ম ও অতঃপর

কামরুজ্জামান বাবু প্রকাশিত: ২৯ আগস্ট , ২০২৪ ১৩:৩৪ আপডেট: ২৯ আগস্ট , ২০২৪ ১৩:৩৪ পিএম
হাসিনার অপকর্ম ও অতঃপর
বাংলাদেশের মানচিত্রে ১৬ বছরের পচনশীল ক্যানসার । যে ক্যানসার সরানো মোটেও সহজ কাজ ছিলনা। পুরো মানচিত্রে শুরু থেকে মাথা পর্য্ন্ত পচন । সরকারি প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে পাহাড় সম বৈষম্য, লুটপাট আর দলিয় করণ । আর হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকতে প্রিয় দেশটা ভারতের হাতে তুলে দেন । মানচিত্র কি ভাবে বাঁচবে ?তাই তো জাতির আস্তিত্ব রক্ষায় এই বিপ্লব ।

অতঃপর হাসিনার মহা পতন ৫ আগষ্ট ২০২৪। নির্ভিক ছাত্র জনতার অদম্য বিপ্লব । জীবন বলিদান, রক্ত ক্ষরণ আর পঙ্গুত্বের স্বাক্ষী রেখে ঘটেছে এই বিপ্লব। সাথে হাজারও মা বাবার সারা জীবনের চোখের পানির নিরুত্তর মলিন চাহনি । সেই সব বীর পিতা মাতার চাহনীর আড়লে আর্জিত ২৪শের নতুন স্বাধিনতা ।

বাংলাদেশের মানচিত্রে ১৬ বছরের পচনশীল ক্যানসার । যে ক্যানসার সরানো মোটেও সহজ কাজ ছিলনা। পুরো মানচিত্রে শুরু থেকে মাথা পর্য্ন্ত পচন । সরকারি প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে পাহাড় সম বৈষম্য, লুটপাট আর দলিয় করণ । আর হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকতে প্রিয় দেশটা ভারতের হাতে তুলে দেন । মানচিত্র কি ভাবে বাঁচবে ?তাই তো জাতির আস্তিত্ব রক্ষায় এই বিপ্লব ।

পাপী যখন সীমার হয়ে যায় , তখন সে কথায় কথায় মানুষ হত্যা নিত্যকার স্বভাবিক কাজকর্ম মনে করেন।আমরা যদি একটু খেয়াল করি , ভারত নির্ভর হাসিনার ক্ষমতার সিঁড়ি কেন্দ্র বিন্দু কোথায় ? এর এক বাক্যের উত্তর ভারত । ২০০৭ সালে ভারতের সাথে গোপন চুক্তিতে শেখ হাসিনা ১/১১ সরকার দিয়ে প্রথম ফাঁদ বিস্তার করে । প্রথম জালে সফল হয়ে আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠে হাসিনা । তাই ভারতের ম্যাকানিজমে ২০০৯ সালের নির্বচনে হাসিনা জয় হয়ে সরকার গঠন করেন । মূলত তখন থেকে প্রকাশ হতে শুরু হয়: ভারতের সাথে গোপন চুক্তির রোড ম্যাপ ।

তাই ক্ষমতায় বসে হাসিনা চুক্তির শর্ত পূরনে ভারতকে প্রথম উপহার হিসেবে বিডিআর হত্যা কন্ড ঘটানো হয় । এতে ৫৭ চৌকস সেনা অফিসার ও বিডিআর সৈনিকসহ প্রায় শতাধিক সামরিক বেসামরিক সদস্যকে হত্যা করা হয় । যা তিনি সঠিক বিচার না করে নিজের মত বিচার করে ঘটনা সামলে নেন ।এতে হাসিনার প্রতি ভারতের আস্থা বৃদ্ধি পাই পরিক্ষিত দাসী হিসেবে । অন্য দিকে হাসিনার আমরণ ক্ষমতায় টিকে থাকার অভিলাস বাস্তবের দিকে অনেক দূর এগিয়ে যায়। যা প্রকাশ্যে উঠে আসে ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি। উচ্চ আদলতকে কাজে লাগিয়ে সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আইন বাতিল করা হয় । কথিত আছে আদালতের এই রায় ছিল হাসিনার ইচ্ছার প্রতি ফলন ।

যদিও আদালতের রায়ে বলা হয়েছিল আগামী আরও দুটি নির্বাচন ত্ত্বাবধায়ক সরকরের অধিনে করা যেতে পারে । কিন্তু হাসিনা এই অংশে না হেঁটে সরাসরি ত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে দেন । এবং দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ধোঁয়া তুলে নিজে ক্ষমতায় থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিজ্ঞা বদ্ধ হন । এর প্রতিবাদে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি সহ অন্যান্য বিরোধী দল প্রতিবাদ ও আন্দোলন শুরু করেন । কিন্তু হাসিনা অনড় । নিজে ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করবেই । যার কারণে বিরোধীরা এক সংঘাতের মুখো মুখিতে পড়ে যায় । অন্য দিকে হাসিনা জনগণের জান মালের নিরাপত্তার ওজুহাত দেখিয়ে আন্দোলনকারীদের উপর মাত্রারিক্ত পুলিশি বল প্রযোগ শুরু করেন ।

এতে বিরোধী শিবির হামলা মামলা গুম খুনের ঘটনায় নাস্তানাবুদ হতে থাকে । এমন অবস্থা চলতে থাকে বছরের পর বছর সমান তালে । ধর পাকড় খুন গুম আর আন্দোলনের মাঝে সামনে চলে আসে ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৪ সাল । তখন বিএনপি”র হাজার হাজার নেতা কর্মী শত শত মামলা মাথায় নিয়ে কেউ জেলে কেউ আত্মগোপনে । তাই বিএনপি স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, নির্দলীয় সরকার ছাড়া, দলীয় সরকার হাসিনার অধিনে তারা নির্বাচনে যাবেন না । সেই সাথে এইও বুঝিয়েছেন , হাসিনা অনিরাপদ,অবিশ্বাসী ও মিথ্যাবাদী ।

বিএনপি নির্বাচনে যাতে আসতে না পারে । হাসিনা ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে বিএনপির জন্য সে ব্যবস্থা বছরের পর বছর ধরে করেছেন । আর যখন বিএনপি নিজ থেকে নির্বাচন না যাওয়ার ঘোষণা দিলেন ,এতে হাসিনা সুযোগ পেয়ে যায় । যা হাসিনার পূর্ব পরিকিল্পত ছক । হাসিনা গণতন্ত্র ও দেশের শান্তির কথা বিবেচনা না করে গোপন ইচ্ছা পূরনে এক চেটিয়া নির্বাচনে দিকে হাঁটেন । বিএনপি সেই পাতানো নির্বাচনে অংশ  গ্রহণ না করাই ৩০০ আসনের ১৫৪টি আসন হাসিনার দল আওয়ামীলীগ বিনা প্রতিদ্বীতায় ঘরে তুলে নেন ।বাকি ১৪৬টি আসনে নির্বচন হয় । এতে ভোটাররা ভোট দিতে যাননি । ভোটারদের অনুপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত । যা সারা বিশ্বে সাড়া জাগানো নির্বাচন বলে অনেকে জানেন । …….চলমান………….

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo