ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানায় মাে. মমিন মিয়া, মাে. মােখলেছ মিয়া, খালেক ই কালা মিয়া'সহ অভিযোগে উল্লেখিত আসামীদের থেকে বাঁচতে নিজেদের নিরাপত্তা চেয়ে হাজী আবু তালেব'সহ জিডিতে উল্লেখিত সাক্ষিরা একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) জমা দিয়েছেন। জিডি নং ১৭৩৮।গত- ৩০/০১/২৪ মঙ্গলবার সরাইল থানায় ১৭৩৮ নং সাধারন ডায়রি হিসেবে নথিভুক্ত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানায় মাে. মমিন মিয়া, মাে. মােখলেছ মিয়া, খালেক ই কালা মিয়া'সহ অভিযোগে উল্লেখিত আসামীদের থেকে বাঁচতে নিজেদের নিরাপত্তা চেয়ে হাজী আবু তালেব'সহ জিডিতে উল্লেখিত সাক্ষিরা একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) জমা দিয়েছেন। জিডি নং ১৭৩৮।গত- ৩০/০১/২৪ মঙ্গলবার সরাইল থানায় ১৭৩৮ নং সাধারন ডায়রি হিসেবে নথিভুক্ত হয়।
জিডি গ্রহনকারী থানার ডিউটি অফিসার জিডির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।অভিযোগে ঘটনাটি রাত ৯টায় উপজেলার রাণীদিয়া সাকিনস্থ আসামী মমিন মিয়ার বসত ঘর।অভিযোগে হাজী আবু তালেব উল্লেখ করেন, আসামী মাে. মমিন মিয়া (৪২),পিতা- মাে. মুসলিম উদ্দিন, মাে. মােখলেছ মিয়া (৫৫), পিতা- হাজী মো: শহীদ মিয়া, আ.খালেক ই কালা মিয়া (৪৬), মাে. রহিজ উদ্দিন (৫৫), পিতা- মৃত হাজী রমিজ উদ্দিন, মাে.মুসলিম উদ্দিন (৬৫), পিতা- মুত শিরু মিয়া, মাে. ইয়াছিন মিয়া (২৫),পিতা- মাে. মুসলিম উদ্দিন, মাে.মােত্তাকিন মিয়া (২৫), পিতা- হাজী মাে. শহীদ মিয়া, ও মাে. লাকী মিয়া (৪০),পিতা- মাে. আব্দুল্লাহ, সর্ব সাং- রাণীদিয়া,থানা- সরাইল ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপরোক্ত ১-৯নং আসামীগন পরস্পর একদলভূক্ত দাঙ্গাবাজ, লাঠিয়াল, উচ্ছুঙ্খল ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। তাহারা এলাকায় সবসময় সন্ত্রাসী কার্য্যকলাপ করিয়া আসিতেছে। এলাকার নিরীহ লোকজন কেহ তাহাদের ভয়ে প্রতিবাদ করিতেসাহস পায় না। আসামী মমিন মিয়া একজন মাদক ব্যবসায়ী। সে এলাকার পেশাদার চোরদেরকে নিয়ে মোটর সাইকেল চুরি, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজী করিয়া থাকে । আসামী মমিন মিয়ার ডাকাত দলের সাথে সম্পৃক্ততা রহিয়াছে। এহেন কোন অপকর্ম নাই যে আসামী মমিন মিয়া করে না। অপরাপর আসামী মােঃ মােখলেছ মিয়া, মাে.মুসলিম উদ্দিন, মােঃ রহিছ উদ্দিন, আ.খালেক কালা মিয়া, মােঃ জীবন আহম্মেদ, ইয়ারছিন মিয়া, মো: মােত্তাকিন মিয়া, মােঃ লাকী মিয়াগন আসামী মমিন মিয়াকে সকল ধরনের সহায়তা করিয়া থাকে। আসামী লাকী মিয়া নৌকার মাঝি তাহার নৌকা যােগে উপরাোক্ত আসামীগন মাদকের বড় চালান পরিবহন করিয়া আনিয়া অরুয়াইল বাজার'সহ বিভিন্ন এলাকায় খুচরা মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রয় করিয়া থাকে। আসামী মুসলিম উদ্দিন অরুয়াইল দক্ষিণ বাজারে বিএভিসির পার্শ্বে প্রায় ২০০ কোটি টাকার সরকারী জায়গা জবর দখল করিয়া ভােগ করিয়া আসিতেছে। তাদের বিভিন্ন অপকর্মে আমিসহ এলাকার শান্তিপূর্ন লোকজন প্রতিবাদ করা শুরু করিলে। আসামীগন আমাদের শত্রুতাপোষন করতঃ ক্ষতি করার সুযোগ খুজিতে থাকে। গত ১৪/০১/২৪খ্রিঃ বেলা ১১.৩০ ঘটিকার সময় উপরোক্ত আসামীগন সহ ৩০/৩৫ জন লােক বেআইনী জনতায় দলবন্ধ হইয়া ধারালাে রাম দা, লােহার রড়, লাঠিসােটা ইত্যাদি আস্ত্রসন্রে সজ্জিত হইয়া অরুয়াইল বাজারস্থ আমার ভাতিজা সাক্ষী রফিকল ইসলামের কনফেকশনারী দোকানে অনাধিকারে প্রবেশ করিয়া দোকানে থাকা আমার ভাতিজা সাক্ষী রফিকল ইসলাম ও আরাে কয়েক জনকে খুন করার উদ্দেশ্যে উপর্যপুরী আঘাত করিয়া গুরুতর রক্তাক্ত জখম করুতঃ টাকা পয়সা লুটপাট করিয়া নিয়ে গেলে আমি বাদী হইয়া তাহাদের বিরুদ্ধে সরাইল থানার মামলা নং-১০।
উক্ত আসামীগন বিজ্ঞ আদালতে আত্মসমপন করিয়া জামিনে আসে। তাহারা জামিনে আসার পর আরো বেপরোয়া হইয়া উঠে এবং আমাকে খুন করার জন্য দা নিয়ে অরুয়াইল বাজারে ঘােরাফেরা করতঃ হুমকি ধমকি দিয়েআসিতেছে। ইহারই ধারাবাহিকতায় গত ২৯/০১/২৪খ্রিঃ রাত্রি অনুমান ০৯ ঘটিকার সময় আসামী মমিন মিয়া, মােঃ মােখলেছ মিয়া, মাে: মুসলিম উদ্দিন, মোঃ রহিছ উদ্দিন, আঃ খালেকে কালা মিয়া, মােঃ জীবন আহম্মেদ, ইয়াছিন মিয়া, মোঃ মোত্তাকিন মিয়া, মােঃ লাকী মিয়াসহ আরো অনেকে রাণীদিয়া সাকিনস্থ আসামী মমিন মিয়ার বসত ঘরে গােপন মিটিং করিয়া সিদ্ধান্ত নেয় যে, আমি আমার দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার না করিলে তাহারা আমাকে ও আমার ভাই, ছেলে ভাতিজাদেরকে প্রকাশ্যে খুন করিয়া জেল খাটবে। তাহারা আমার বিরুদ্ধ বিভিন্ন ভাবে ষড়যন্ত্র করে। উপরোক্ত আসামীদের আচরন, কথাবার্তায় ও হুমকি ধমকিতে আমার সন্দেহ হইতেছে যে, পর্ব বিরােধের জের ধরে উপরোাক্ত আসামীগন তাহাদের দলবল নিয়ে যেকোন সময়ে আমাকে ও আমার ভাই, ছেলে, ভাতিজাদের সহ পরিবারের অপরাপর সদস্যদেরকে আক্রমন করিয়া মারধর করতঃ খুন জখম করাসহ যেকোন মারাত্মক দৃর্ঘটনা ঘটাইতে পারে। কিংবা আমারদের বাড়ীঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অ্নী সংযোেগ, ভাঙচুর লুটপাট করাসহ যেকোন মারাত্মক দূর্টনা ঘটাইতে পারে। তাহাদের ভয়ে আমরা নিরাপত্তা হীনতায় ভূগিতেছি। পরে আমি এলাকাব।গন্যমান্য লোকজনকে ঘটনা অবহিত করি। আমি এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদেরকে ঘটনা জানাইয়া অভিযােগ দায়ের করিতে কিছুটা বিলম্ব হইল।অতএব, উক্ত বিষয়ে ডায়রি তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অনুরোধ করা হইল।
এব্যপারে মো. আবু তালেব মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি, থানায় জিডির করার বিষয়টি জানিয়ে বলেন, তারা এলাকার সরকারি জায়গা দখল সহ বিভিন্ন ও নৈতিক কাজে তারা জড়িত। নিরহ মানুষ তাদের ভয়ে আতঙ্কিত থাকে। কিছু দিন আগে ও আমার ভাতিজার উপর আক্রমণ করেছে। নিরাপত্তার জন্য সরাইল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি)করেছি।
অরুয়াইলে মমিন মিয়ার সাথে যোগাযোগ করাহলে তিনি জানান, থানার জিডির ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা।তবে খোঁজ খবর নিয়ে দেখব।
সরাইল থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে তদন্ত তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. মেজবা উল আলম ভূইঁয়া বলেন, সরকারি সম্পত্তি কেউ দখল করতে পারবে না। সরকারি জায়গা উদ্ধারে অভিযান চলমান প্রক্রিয়া। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান ইউএনও।