ঈদ বাজার : ভিড় বাড়ছে প্রসাধনীর দোকানে

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ৫ এপ্রিল , ২০২৪ ১০:০০ আপডেট: ৫ এপ্রিল , ২০২৪ ১০:০০ এএম
ঈদ বাজার : ভিড় বাড়ছে প্রসাধনীর দোকানে
এবারের ঈদ পড়ছে গ্রীষ্মের খরতাপের মধ্যে। এ কারণে ঈদের সাজের ক্ষেত্রে সচেতন মেয়েরা মাথায় রাখছেন প্রকৃতি ও পরিবেশের কথা। চৈত্রের কাঠফাটা রোদ থেকে ত্বককে রক্ষা করতে হবে ঠিকই, কিন্তু দাবদাহে ভারি মেকআপও ফেলতে পারে অস্বস্তিতে। এবারের ঈদে তাই হালকা ও স্নিগ্ধ সাজসজ্জার প্রতিই তরুণীদের ঝোঁক।

এবারের ঈদ পড়ছে গ্রীষ্মের খরতাপের মধ্যে। এ কারণে ঈদের সাজের ক্ষেত্রে সচেতন মেয়েরা মাথায় রাখছেন প্রকৃতি ও পরিবেশের কথা। চৈত্রের কাঠফাটা রোদ থেকে ত্বককে রক্ষা করতে হবে ঠিকই, কিন্তু দাবদাহে ভারি মেকআপও ফেলতে পারে অস্বস্তিতে। এবারের ঈদে তাই হালকা ও স্নিগ্ধ সাজসজ্জার প্রতিই তরুণীদের ঝোঁক।

রাজধানীর প্রসাধনীর বাজার ঘুরে সে চিত্রই দেখা গেল।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আনান কোরেশি ছোট বোনকে নিয়ে এসেছিলেন শপিং মলে। প্রসাধনীর দোকানে খুঁজছিলেন পছন্দের মেকআপ। আনানের মতো আরো অনেক মেয়েই এখন গয়না ও প্রসাধনীর বাজারে ভিড় করছেন।

তাঁদের পোশাক-আশাক, জুতা কেনা হয়েছে আগেই। শেষ সময়ে প্রসাধনীতে সাজগোজ সম্পূর্ণ করার প্রস্তুতি চলছে এখন।

সারা বিশ্বেই এখন ‘নো মেকআপ-মেকআপ লুক’-এর ধারা জনপ্রিয়। বাংলাদেশের নারীরাও এদিকে ঝুঁকছেন।

সাজের এই ধারায় মেকআপ করার পরও মনে হবে না কোনো মেকআপ করা হয়েছে। আতিশয্যহীন এই সাজে স্বাভাবিক সৌন্দর্য আভা ছড়ায়। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকায় এবারের ঈদে এই ধারা জোরদারভাবে দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন রূপ বিশেষজ্ঞ ও প্রসাধনী বিক্রেতারা। তবে সহজ স্বাভাবিক ‘লুক’ আনলেও এ ধরনের সজ্জার খরচ কম নয়। এর বাইরে ত্বকের যত্ন নিয়ে বাড়তি সচেতনতা দেখা যাচ্ছে তরুণীদের মধ্যে।

তাঁদের ঝোঁক মূলত ‘স্কিন কেয়ার’ ধারার প্রসাধনীতে। তবে ঈদে হাত রাঙানোর জন্য মেহেদিও অনেকেরই চাই। ঈদের সময় রাজধানীর প্রায় সব বিপণিবিতানের বাইরেই বসে যায় অস্থায়ী প্রসাধনীর দোকান। তবে নকল বা নিম্নমানের প্রসাধনীর ক্ষতি থেকে বাঁচতে নির্ভরযোগ্য জায়গা থেকেই এসব সামগ্রী কেনার পরামর্শ দেন অভিজ্ঞরা। পান্থপথের বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের লেভেল ওয়ান ও থ্রিতে রয়েছে বেশ কিছু প্রসাধনীর দোকান। দেশি-বিদেশি ব্র্যান্ডের সব ধরনের প্রসাধনী পাওয়া যায় সেখানে।

তোফাজ্জল কসমেটিকস অ্যান্ড গিফট শপ নামে একটি দোকানের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ মুন্না জানালেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার তাঁদের বিক্রি ভালো। তিনি বললেন, সারা দেশ থেকেই বসুন্ধরা শপিং মলে আসেন ক্রেতারা। মুন্না বেশ গর্বের সঙ্গে বললেন, অস্ত্রোপচারের রোগী হওয়া সত্ত্বেও দুই দিন আগে বারিধারা থেকে একজন ক্রেতা এসেছিলেন তাঁর দোকানে। বাসার কাছের একটি বড় শপিং মল রেখে তিনি এসেছিলেন বসুন্ধরায়। ব্যবসায়ী হিসেবে এখানেই তাঁর তৃপ্তি। ওই ক্রেতার কাছে আট হাজার টাকার প্রসাধনী বিক্রি করেছিলেন। মুন্না জানান, গরমের ঈদ হিসেবে এবার সানস্ক্রিন বিক্রি হচ্ছে বেশি।




এই বিভাগের আরোও খবর

Logo