কচুরিপানার জটলা অপসারণের জন্য প্রশাসন যেন দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে জনদুর্ভোগ দূর করে দেয় সাধারণ মানুষ এই আশাবাদী।
কাপ্তাই লেকে নৌ-চলাচল স্বাভাবিক হলেও মাইনীমুখ বাজার, লংগদু হতে রাঙ্গামাটি নৌপথে কচুরিপানা ভোগান্তিতে পড়ছে লঞ্চ, ইঞ্জিন চালিত বোট, স্পীডবোট ও জেলেদের নৌকা চলাচলের। টানা অতিবৃষ্টি ফলে পানিতে কানায় কানায় পূর্ণ কাপ্তাই হ্রদ। পাহাড়ী ঢলে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে জট বেঁধেছে কচুরিপানা। ১২ সেপ্টেম্বর গতকাল (মঙ্গলবার) সকালে কাপ্তাই হ্রদের মাইনীমুখ বাজার লঞ্চ ঘাট ও লংগদু উপজেলা সদর হাসপাতাল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কচুরিপানায় ছেয়ে গেছে হ্রদের বেশির ভাগ অংশ। যার ফলে মাইনী-লংগদু-হতে রাঙ্গামাটি বা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে নৌ-চলাচলে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
ইঞ্জিন চালিত বোটগুলো কচুরিপানার বিশাল জটলায় আটকা পড়ে যেমন সময় ক্ষেপণ হচ্ছে তেমনি বোটের পাখা ভাঙ্গা সহ অতিরিক্ত জ্বালানি ব্যয় করে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে চালকেরা। স্থানীয় ইন্জিনবোট চালক আনসুর জানায়, ‘লেকের কচুরিপানার বিশাল জটলা সৃষ্টি হওয়ায় নৌ-যান চলাচলে প্রচুর পরিমানে ভোগান্তি হয়েছে। এর ফলে এলাকার স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীগণ সহ সাধারণ মানুষ ইচ্ছে করলেও যথাসময়ে নদী পারপার হয়ে যেতে পারছে না। এছাড়াও দৈনন্দিন কাজে নান শ্রেণি পেশার মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। কচুরিপানার জটলায় পড়ে অতিরিক্ত তেলও খরচ হচ্ছে। লঞ্চ স্টাফ নজরুল বলেন, বর্ষায় পানি ঢলে চারদিক থেকে ছুটে আস কচুরিপানাগুলো জট হয়েছে। কাপ্তাই লেকের কচুরিপানায় নৌ-যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটছে।
এ দিকে গুলশাখালী ঘাটে অপেক্ষমান কয়েকজন যাত্রী জানান, এক ঘন্টা যাবৎ ঘাটে বোটের অপেক্ষায় বসে আছি। কচুরিপানার জট লাগার ফলে ঠিকভাবে তারা চলাফেরা করতে পারছেন না। যতক্ষণ নৌ চলাচল স্বাভাবিক না হবে ততক্ষণ এই দুর্ভোগ পোহাতে হবে তাদের। উল্লেখ্য যে, উপজেলার গুলশাখালী, কালাপাকুজ্যা, বগাচতর, ভাসান্যাদম ও লংগদু ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা কচুরিপানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। প্রতি বছর কাপ্তাই হ্রদের পানি বৃদ্ধি হওয়ার পর কচুরিপানার জটের কারণে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা সহ স্থানীয়দের এই ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। কচুরিপানার জটলা অপসারণের জন্য প্রশাসন যেন দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে জনদুর্ভোগ দূর করে দেয় সাধারণ মানুষ এই আশাবাদী।