গল্প ও চরিত্রের প্রয়োজনে অভিনয়শিল্পীদের কত কিছুই না করতে হয়। কিন্তু তাই বলে টানা তিন দিন উপবাস, তাও আবার একটি দৃশ্যের জন্য! হ্যাঁ, এমনই বিস্ময়কর কাণ্ড ঘটিয়েছেন ভারতের মালায়লাম তারকা পৃথ্বীরাজ সুকুমারন। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ছবি ‘আদুজিভিথাম’র জন্যই এমন ত্যাগ স্বীকার করেছেন তিনি। যেটার ইংরেজি নাম ‘দ্য গোট লাইফ’।
গল্প ও চরিত্রের প্রয়োজনে অভিনয়শিল্পীদের কত কিছুই না করতে হয়। কিন্তু তাই বলে টানা তিন দিন উপবাস, তাও আবার একটি দৃশ্যের জন্য! হ্যাঁ, এমনই বিস্ময়কর কাণ্ড ঘটিয়েছেন ভারতের মালায়লাম তারকা পৃথ্বীরাজ সুকুমারন। সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ছবি ‘আদুজিভিথাম’র জন্যই এমন ত্যাগ স্বীকার করেছেন তিনি। যেটার ইংরেজি নাম ‘দ্য গোট লাইফ’।
গত ২৮ মার্চ মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। বক্স অফিসে যদিও আশানুরূপ সাড়া ফেলতে পারেনি। তবে ছবির গল্প ও পৃথ্বীরাজের অভিনয়ে মুগ্ধ হচ্ছেন সমালোচক থেকে শুরু করে তারকারা। অনেকেই তার প্রশংসায় সরব হয়েছেন। চরিত্রের প্রয়োজনে তিনি যে চেষ্টা আর সাধনা করেছেন, তা অন্য অভিনেতাদেরও উৎসাহ দিচ্ছে।
এই ছবিতে একটি নগ্ন দৃশ্যে অভিনয় করেছেন পৃথ্বীরাজ। সেই দৃশ্যের জন্য টানা তিন দিন না খেয়ে ছিলেন অভিনেতা। বিষয়টি সামনে এনেছেন ‘আদুজিভিথাম’র সিনেমাটোগ্রাফার কেএস সুনীল। তিনি বলেন, ‘শুধু তিন দিন না খেয়ে থাকা নয়, বরং শুটিংয়ের আগের রাতে তিনি ৩০ মিলিলিটার ভদকা খেয়েছিলেন; যাতে শরীরের ভেতরের অতিরিক্ত সব পানি বের হয়ে যায়। পর দিন তিনি হাঁটতেও পারছিলেন না। তাকে একটি চেয়ারে করে আনা হয় এবং দৃশ্যধারণের জায়গায় রাখা হয়। শট শেষে তার শরীরে কোনও শক্তি ছিল না। তাকে অন্যরা কোলে তুলে নিয়ে যেতে হয়েছিল।’
পৃথ্বীরাজের এমন ত্যাগ চোখে লেগে আছে দর্শক-সমালোচকদের। ইন্ডিয়া টুডে’র রিভিউতে ছবিটি সম্পর্কে বলা হয়েছে, “এই ছবির প্রাণ পৃথ্বীরাজ। ছবিতে খুব কম সংলাপ রয়েছে, গল্পটা তার অভিব্যক্তির নির্ভর করে এগিয়েছে, আর এতে তিনি একটুও হতাশ করেননি। গল্পের প্রতিটি বিষয় দর্শক তার সঙ্গে অনুভব করছে।’’
এই ছবি নির্মাণের গল্পটাও বিস্ময়কর। দীর্ঘ ১৬ বছরের ইচ্ছে আর সাধনা মিশে আছে এতে। ২০০৮ সালে যখন বেনিয়ামিন রচিত উপন্যাস ‘আদুজিভিথাম’ প্রকাশ হয়, তখন সেটা পড়েই ছবিটি বানানোর সিদ্ধান্ত নেন নির্মাতা ব্লেসি। কিন্তু প্রি-প্রোডাকশনের কাজ প্রযোজক খুঁজতে খুঁজতে বহু বছর চলে যায়। বিভিন্ন জটিলতা পেরিয়ে শেষমেশ ২০১৮ সালে শুরু হয় ছবিটির চিত্রায়ন। এবং তা শেষ হয় ২০২২ সালে। বছরের বিভিন্ন মৌসুমের আবহাওয়া বিবেচনা করে মরুভূমিতে এর শুটিং করতে হয়েছিল; তাই এমন দীর্ঘ শিডিউল। এর অধিকাংশ দৃশ্য ধারণ করা হয়েছে জর্ডানের ওয়াদি রাম মরুভূমি ও আলজেরিয়ার সাহারা মরুভূমিতে।
মালায়লাম ভাষার ছবিটিতে আরও রয়েছেন অমলা পাল, জিমি জিন-লুইস, শোভা মোহন প্রমুখ। প্রায় ৮২ কোটি রুপি ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে এটি।