চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব দস্তগীর চৌধুরী দলীয় দায়িত্ব পালনে একজন নিবেদিত প্রাণ মানুষ ছিলেন। চট্টগ্রামের রাজনীতি ও ক্রীড়াঙ্গনের প্রিয়মুখ ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা দস্তগীর চৌধুরী।
তিনি তার স্বভাব সুলভ গুণাবলী দিয়ে সবার মন জয় করেছেন। একজন স্পষ্টভাষী, সদা হাস্যোজ্জ্বল ও সদালাপী ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন তিনি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে তার গৌরব উজ্জ্বল ভূমিকা চট্টগ্রামী আজীবন মনে রাখবে। চট্টগ্রামের ক্রীড়াঙ্গনের উন্নয়নে তার স্বতস্ফূর্ত উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। ডেপুটি মেয়র থাকাকালীন সময়ে তিনি চট্টগ্রামের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। দস্তগীর চৌধুরী তার কর্মের গুণেই মানুষের মাঝে আজীবন বেঁচে থাকবেন।
তিনি বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বাদে আসর কদমতলী রওশন জামে মসজিদে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব দস্তগীর চৌধুরীর ১৩ তম
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সদরঘাট থানা বিএনপির দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সদরঘাট থানা বিএনপির সভাপতি হাজী মো. সালাউদ্দীনের সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাওসার হোসেন বাবুর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান।
মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি নেতৃবৃন্দ বিআরটিসি চৈতন্য গলি বাইশ মহল্লা কবরস্থানে মরহুমের কবর জিয়ারত করেন। ২০১১ সালের এই দিনে মৃত্যুবরণ করেন কর্মিবান্ধব এই প্রিয় নেতা। নেতৃবৃন্দ অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে গভীর শ্রদ্ধার সহিত স্মরণ করেন দলের প্রতি নিবেদিত ও কর্তব্যনিষ্ঠ এই মানুষটিকে। দোয়া ও মোনাজাতে নেতৃবৃন্দ পরম করুণাময় আল্লাহর নিকট মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
উল্লেখ্য, আলহাজ্ব দস্তগীর চৌধুরী ১৯৮৯ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ডেপুটি মেয়র ছিলেন। ১৯৯৭ সালে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হন। টানা সাত বছর তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন। এক এগারোর পর চট্টগ্রামের প্রথম রাজনীতিবিদ হিসেবে গ্রেপ্তার হন তিনি। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি ছিলেন ক্রীড়া সংগঠক। তিনি চট্টগ্রাম বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার জ্যেষ্ঠ সহ সভাপতি, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ সভাপতি এবং চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেডের সহ সভাপতি ছিলেন।
বিএনপির রাজনীতিতে দস্তগীর চৌধুরীর কর্মময় জীবনের বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে আবুল হাশেম বক্কর বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে দস্তগীর চৌধুরী যে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন তা বিএনপির নেতাকর্মীদের সবসময় অনুপ্রাণিত করে। তিনি বিএনপিকে সুসংগঠিত করতে যে অবদান রেখেছেন নেতাকর্মীরা তা কোনোদিন ভুলবে না। মানুষ তার কর্মের মাধ্যমে বেঁচে থাকেন। দস্তগীর চৌধুরীও তার কর্মের মাধ্যমে আমাদের মাঝে অনন্তকাল বেঁচে থাকবেন। দলের প্রতি তার অবদানকে আমরা আজীবন স্মরণে রাখবো
এসময় আবু সুফিয়ান বলেন, আলহাজ্ব দস্তগীর চৌধুরী বিএনপির রাজনীতিতে ছিলেন একজন কর্মীবান্ধব নেতা। তিনি মৃত্যুর আগে পর্যন্ত বিএনপিকে শক্তিশালী করতে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। তিনি ছিলেন একজন প্রকৃত গণমানুষের নেতা। তিনি অসহায় মানুষের অধিকারের জন্য সব সময় সংগ্রাম করেছেন। রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি জীবিত থাকবেন চট্টগ্রামবাসী ও বিএনপির কাছে। চট্টগ্রামের রাজনীতি ও ক্রীড়াঙ্গনের ইতিহাসে দস্তগীর চৌধুরী চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
দোয়া ও মোনাজাতে শরিক হন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, আহবায়ক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন জিয়া, নিয়াজ মো. খান, আনোয়ার হোসেন লিপু, মো. কামরুল ইসলাম, মরহুম দস্তগীর চৌধুরীর পুত্র ব্যারিস্টার ফয়সাল দস্তগীর চৌধুরী, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, মহানগর বিএনপি নেতা মো. আলী, দিদারুল আলম, আবদুল বাতেন, একেএম পেয়ারু, ইদ্রিস আলী, মোস্তাফিজুর রহমান বুলু, ইউছুপ শিকদার, বুলবুল আহমেদ, থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় যুবদলের সদস্য সাইফুর রহমান চৌধুরী শপথ, মহানগর তাঁতীদলের আহবায়ক মনিরুজ্জামান টিটু, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইফুল আলম, জাসাসের আহবায়ক এম এ মুছা বাবলু, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এস এম মফিজ উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক হাজী আবু ফয়েজ, মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, সদরঘাট থানা বিএনপি নেতা মো. শাহজাহান, তসলিম উদ্দিন, জামশেদ হায়দার, থানা যুবদলের আহ্বায়ক নুর খান, সদস্য সচিব মো. রাশেদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ইয়াসির আরাফাত, সদস্য সচিব আনোয়ারুল আবেদীন মুন্না, ছাত্রদলের আহ্বায়ক ইউনুস আলী জুয়েল প্রমূখ।