নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিলেন বিভিন্ন সময়ে আলোচনায় থাকা বাঁশখালীর সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী।
নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিলেন বিভিন্ন সময়ে আলোচনায় থাকা বাঁশখালীর সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী।
চট্টগ্রাম-১৬ আসনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এই প্রার্থী বুধবার চট্টগ্রামের মহানগর হাকিম জুয়েল দেবের আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে তার জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক।
৩ জানুয়ারী বুধবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে তিনি আদালত চত্বরে আসেন। সেখান থেকে এজলাসে যান। জামিন মন্জুর হবার পর তিনি আদালত চত্বর ত্যাগ করেন।
সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর আইনজীবী ও চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এস এম বজলুর রশিদ মিন্টু সাংবাদিকদের বলেন, ” তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন মঞ্জুর করেছেন।”
বাঁশখালীর নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হারুন মোল্লা গত ২৬ ডিসেম্বর মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। নির্বাচনি আচরণ বিধি আইনের ৮(খ) ধারায় মামলাটি করা হয়। মামলাটি গ্রহণ করে বিচারক সেদিন মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীকে ৩ জানুয়ারির মধ্যে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, ৩০ নভেম্বর ২০২৩ ইং ঘটনার সূত্রপাত চট্টগ্রামের রিটার্নিং কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের কার্যালয়ে। চট্টগ্রাম-১৬ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোস্তাফিজুর যখন রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় কার্যালয়ের সামনেই তাকে ঘিরে ধরেন কিছু গনমাধ্যম কর্মী। মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় কয়েকজন ব্যক্তির কটুক্তির শিকার হন। জনৈক সাংবাদিক তাকে উদ্দ্যেশ্য করে ‘চোর’ ‘চোরাইয়ারে ধর ‘ ‘বিকাশ এমপি’ – এমন সব বাক্যবানে তাকে উত্ত্যক্ত করেন। একারণে তিনি সংক্ষুব্ধ হয়ে গণমাধ্যমে বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান।এই ঘটনার পর সাংবাদিককে মারধর কিল-ঘুষি দেবার অভিযোগ আনা হয়। সাংবাদিকরা তাৎক্ষণিকভাবে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের কাছে গিয়ে ঘটনার প্রতিবাদ জানান। কিন্তু তদন্ত কমিটি ও নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি সিসিটিভি ফুটেজ, ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে এসব অভিযোগের সত্যতা পায়নি৷
এ বিষয়ে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আবু সালেম মোহাম্মদ নোমানের প্রতিবেদনে বলা হয় অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ঘটনাস্থলে সাংবাদিককে মারধর, কিল-ঘুষি মারা, ক্যামেরা ভাংচুর কিংবা হুমকি দেবার কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে অভিযোগ ও সংসদ সদস্যের বক্তব্য যাচাই বাছাই করে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি যে প্রতিবেদন দেন, সেখানে আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রমাণ পাওয়ার কথা বলা হয়।