দীর্ঘদিন যাবত একটি প্রতারক চক্র ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করে বিকাশ, রকেট, নগদ, উপায় এর মাধ্যমে ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন থানা হতে বয়স্কভাতা, ছাত্রছাত্রীদের উপবৃত্তি টাকা আসছে বা কাস্টমার কেয়ারের পরিচয় দিয়ে ওটিপি হ্যাকিং এর মাধ্যমে সাধারণ জনগণের টাকা আত্মসাৎ করে আসছে । উক্ত প্রতারক চক্র অজ্ঞাত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ঝিনাইদহ জেলার পুলিশ সুপার জনাব মো: আজিম - উল - আহসান মহোদয় সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল, ডিবি, ঝিনাইদহ এর একটি চৌকস টিম কে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন। উক্ত নির্দেশনা মোতাবেক সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল, ঝিনাইদহ এ কর্মরত অফিসার ও ফোর্স অনলাইন প্রতারণা সহ সাইবার অপরাধ দমনে সাইবার পেট্রোলিং অব্যাহত রাখে।
তারই ধারাবাহিকতায় গত ১৭/০৯/২০২৩ খ্রিঃ তারিখ জনৈক শেখ মিলন সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলে এসে জানান যে, অজ্ঞাত প্রতারক তার নিকট থেকে কৌশলে বিকাশ ও রকেট এর মাধ্যমে প্রতারণা করে সর্বমোট ১,০০,০০০/- টাকা হাতিয়ে নেয়। এসংক্রান্তে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে হরিনাকুন্ডু থানায় একটি প্রতারণা মামলা দায়ের করেন। যা হরিনাকুন্ডু থানার মামলা নং-০৬, তাং- ১৭/০৯/২৩খ্রিঃ, ধারা-৪২০/৪০৬ পেনাল কোড। সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেল এর এসআই খালিদ হাসান, এসআই রবিউল ইসলাম ও এএসআই একলাছুর রহমান এর নেতৃত্বে গঠিত একটি চৌকস টিম আসামীদের সনাক্ত পূর্বক গত ২৩/০৯/২৩খ্রিঃ রাতে মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে প্রতারক চক্রের ১। মোঃ রিকাবুল ইসলাম(২৮), পিতা-আলতাফ হোসেন, সাং-মাধবপুর, ২। মোঃ উজ্জল হাসান (৩৫), পিতা-মোঃ রফিকুল ইসলাম, সাং-চরমাধবপুর, সর্ব থানা-মোহাম্মদপুর, জেলা-মাগুরাকে গ্রেফতার করে এবং তাদের নিকট হতে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত ০৬ (ছয়) টি মোবাইল ফোন ও ১০ (দশ)টি সীম কার্ড উদ্ধার করে ।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় যে, বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা হতে তাদের চক্রের সদস্যরা এজেন্টের দোকান হতে টাকা লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ করে whatsapp এর মাধ্যমে তাদের নিকট ছবি পাঠিয়ে দেয়। উক্ত নাম্বারে লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে বিভিন্ন অ্যাপস ব্যবহার করে গ্রাহকের নাম সংগ্রহ করে তাদের কে কাস্টমার কেয়ার বা অন্য কোন পরিচয় দিয়ে ওটিপি হ্যাকিং ও ছাত্রছাত্রীদের উপবৃত্তি প্রদানের জন্য অগ্রীম টাকা প্রেরণের কথা বলে দীর্ঘদিন যাবত প্রতারণা করে আসছে। আসামিদের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।