মাদারীপুরের শিবচরে ডাকাতি শেষে পালানোর সময় গণপিটুনিতে এক জন নিহত অপর এক জন আহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আহতকে উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করেছে। স্থানীয়রা সকালে আরো ২ ডাকাতকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন। ডাকাতরা হামলা করে এক জনকে আহত করেন।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) ভোররাতে জেলার শিবচর উপজেলার বাঁশকান্দি ইউনিয়নের বাজিতপুর এলাকায় সাবেক সচিব আঃ হাকিমের ভাই আঃ হালিমের বাড়িতে ৫ জনের একটি ডাকাত দল ডাকাতি করতে প্রথমে হানা দেয়। এসময় ওই বাড়ির লোকজন চিৎকার শুরু করলে ডাকাত দলটি পালিয়ে গিয়ে একই এলাকার ভ্যান চালক দেলোয়ার হাওলাদারের বাড়িতে হানা দিয়ে তুষার হাওলাদারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করে লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করেছে।
এ সময় স্থানীয়রা ধাওয়া দিয়ে ডাকাত দলের সদস্য মির্জন খালাসী(৪২) ও হাসমত বেপারীকে (৪৩) আটক করে পরে গণধোলাই দেয়। খবর পেয়ে শিবচর থানা পুলিশের এসআই গোলজার হোসেনসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গুরুতর আহতাবস্থায় ২ জনকে উদ্ধার করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক মির্জন খালাসীকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মির্জন খালাসী শিবচর উপজেলার সম্ভুক এলাকার মৃত আবু আলী খালাসীর ছেলে।
এদিকে সকালে সন্দেহজনক চলাফেরা করার কারণে সাগর হাওলাদার(২৮) ও মোস্তফা কামালকে(৬৫) আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। হাসপাতালে আহত হাসমত বলেন, এই প্রথমই গেছিলাম অটো চুরি করতে। আমরা ৫ জন ছিলাম। জেলখানায় ওদের সাথে পরিচয়। এলাকার লোকজন মারছে।
শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা: মাইনুল ইসলাম বলেন, ভোররাতে দুইজনকে হাসপাতালে আনা হয়। এর মধ্যে হাসপাতালে আনার আগেই একজনের মৃত্যু হয়েছে। বাশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান খোকন বলেন, মির্জন এর আগেও ডাকাতি করেছে বলে জেনেছি। তার বিরুদ্ধে আগেও মামলা আছে।
শিবচর থানার এসআই গুলজার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দুই জনকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে আনি। এর মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। অপরজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। সকালে স্থানীয়দের সহায়তায় আরো দুই জনকে আটক করা হয়েছে।