ড্রেন নির্মানের পর থেকে মেয়র কাউন্সিলররা পরিস্কার না করানোই অন্তোষ প্রকাশ জেলা প্রশাসকের

এসএম মিরাজুল কবীর টিটো প্রকাশিত: ২ অক্টোবর , ২০২৪ ১৩:৪৬ আপডেট: ২ অক্টোবর , ২০২৪ ১৩:৪৬ পিএম
ড্রেন নির্মানের পর থেকে মেয়র কাউন্সিলররা পরিস্কার  না করানোই অন্তোষ প্রকাশ জেলা প্রশাসকের
তিনি বলেন কাজের পৌরসভার মূল কাজ নাগরিকের সেবা দেয়া। কাজের মাধ্যমে সেবা দিতে না পারলে ,সে কাজ করার প্রয়োজন নেই। নাগরিকের দূর্ভোগ লাঘবে স্থায়ী ব্যবস্থা করা। তাদের সেবা দেয়ার জন্য আন্তরিকতার সাথে পৌরসভার সকলকে কাজ করতে হবে। ড্রেনগুলো পরিস্কার করার মতো করতে হবে। সেই সাথে শহরকে পরি”ছন্ন রাখার জন্য ময়লা পরিস্কার কার্যক্রম সঠিক ভাবে করতে হবে। লোক দেখানো কাজ করার দরকার নেই। এমন উন্নয়নমূলক কাজ করতে হবে যা নাগরিকের কল্যাণে আসে।

যশোর শহরের ডেঙ্গু প্রতিরোধে পৌরসভার বিশেষ মশক নির্ধন অভিযানের উদ্বোধন করা হয়। সেই সাথে কর্মকর্তা,কর্মচারীদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

পৌরসভার সভা কক্ষে মঙ্গল দুপুরে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পৌরসভা সহকারী প্রকৌশলী মখলেচুল রহমান জানান পৌরএলাকায় নির্মান করা ২থেকে ৩ টি ড্রেন নির্মানের পর থেকে তেমন পরিস্কার করা হয় না। এর মধ্যে ভোলা ট্যাংক রোডে ও নওদাগা রোডের ড্রেন। ২০১৮ সালে নওদাগা রোডের ড্রেন ও ২০১৯ সালে ভোলা ট্যাংক রোডে ড্রে নির্মান করা হয়। এর আগে ২০১৭ সালে পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শংকরপুর জিরো পয়েন্ট মোড় থেকে টার্মিনাল পর্যন্ত পাইপ ড্রেন নির্মান করা হয়। অথচ নির্মানের পর থেকে আজ পর্যন্ত পরিস্কার করা হয়নি। পরিস্কার না করার ফলে বৃষ্টি হলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এসব ড্রেন নির্মানের পর থেকে  মেয়র কাউন্সিলররা ড্রেন পরিস্কার না করানোই অন্তোষ প্রকাশ করেন জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম।

তিনি বলেন  কাজের পৌরসভার মূল কাজ নাগরিকের সেবা দেয়া। কাজের মাধ্যমে সেবা দিতে না পারলে ,সে কাজ করার প্রয়োজন নেই। নাগরিকের দূর্ভোগ লাঘবে  স্থায়ী ব্যবস্থা  করা। তাদের সেবা দেয়ার জন্য আন্তরিকতার সাথে পৌরসভার সকলকে কাজ করতে হবে। ড্রেনগুলো পরিস্কার করার মতো করতে হবে। সেই সাথে শহরকে পরি”ছন্ন রাখার জন্য ময়লা পরিস্কার কার্যক্রম সঠিক ভাবে করতে হবে। লোক দেখানো কাজ করার দরকার নেই। এমন উন্নয়নমূলক কাজ করতে হবে যা নাগরিকের কল্যাণে আসে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ও পৌর প্রশাসক রফিকুল হাসানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন, পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাবিদ হোসেন, নির্বাহী কর্মকর্তা জায়েদ হোসেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা উত্তম কুমার কুন্ডু, সহকারী প্রকৌশলী বিএম কামাল আহমেদ, সহকারী প্রকৌশলী মখলেছুর রহমান সহ কর্মকর্তা,কর্মচারী বৃন্দ।

এর আগে সকালে কালেক্টরেট চত্বরে পৌরসভার ডেঙ্গু প্রতিরোধে পৌরসভার পক্ষব্যাপি বিশেষ মশক নির্ধন অভিযানের উদ্বোধন করা হয়।প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন, জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম।এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক ও পৌর প্রশাসক রফিকুল হাসান, পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাবিদ হোসেন, নির্বাহী কর্মকর্তা জায়েদ হোসেন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা উত্তম কুমার কুন্ডু, সহকারী প্রকৌশলী বিএম কামাল আহমেদ, সহকারী প্রকৌশলী মখলেছুর রহমান সহ কর্মকর্তা,কর্মচারী বৃন্দ।

প্রশাসনিক কর্মকর্তা উত্তম কুমার কুন্ডু  জানান, জলাবদ্ধতায় ডেঙ্গু মশার লার্ভা ধ্বংস করার জন্য টেমিফস ও বয়স্ক মশা মারার জন্য ম্যালাথিয়ান  ঔষুদ স্প্রে করা হবে।  ৯টি ওয়ার্ডে ১৮টি স্প্রে মেশিন ও ২টি ফগার মেশিন দিয়ে মশা নিধন করা হবে। একটানা ১৫দিন মশক নিধন কাজ করা হবে। একাজ শেষ হলে আবার ১৫ দিন করা হবে।

এই বিভাগের আরোও খবর

Logo